প্রায় ৪৩ একর আয়তনের সেই বিশাল দিঘী। পরিবেশ ও বন মন্ত্রণালয় ২০১৯ সালে এটিকে আলতাদিঘী জাতীয় উদ্যান হিসেবে ঘোষণা করেছে। ২০১১ সালে ২৪ ডিসেম্বর এটি প্রতিষ্ঠিত হয়। এছাড়া ও জাতীয় উদ্যানের পশের ১৭.৩৪ হেক্টর বনভূমিকে ৯ জুন ২০১৬ তারিখে বাংলাদেশের বন অধিদপ্তর বিশেষ জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণ এলাকা ঘোষণা করে।
আলতাদিঘী জাতীয় উদ্যানে মেছোবাঘ, গন্ধগোকুল, শিয়াল,অজগর,ও বানর পাওয়া যায় এছাড়াও ও বিভিন্ন প্রাজাতির পাখি, পোকামাকড়সহ নানা প্রজাতির জীববৈচিত্র্য রয়েছে। বিশেষত্ব শালগাছকে আলিঙ্গন করে গড়ে ওঠা উঁই পোকার ঢিবিগুলো সবচেয়ে আকর্ষণীয়। আলতাদিঘী বাংলাদেশ ভারত সীমান্তবর্তী অংশে অবস্থিত একটি প্রাচীন জলাশয় দিঘীটির আয়তন ৪৩ একর এই জলাশয়। এই জলাশয় দৈর্ঘ্য ১১০০ মিটার এবং প্রস্হে ৫০০ মিটার। পাহাড়ের মতো পাড়গুলি উঁচু এবং দক্ষিণ পাড় শালবনে ঢাকা।প্রাচীন দিঘীগুলির মধ্যে এটিই বোধ হয় বাংলাদেশের সর্ববৃহৎ সচল দিঘী।
উল্লেখ বিশাল দিঘীর হলেও চওড়ায় ১৫০ মিটার কম। আর রামসাগর ১৭৫০ সালের দিকে খনন করা হয়। কিন্তু আলতাদিঘী হিন্দু – বৌদ্ধ যুগের দিঘী। প্রমানের অভাবে এই জলাশয়ের সম্বেন্ধে সঠিক ভাবে কিছু বলা যায় না । তবে এই জলাশয় জগদ্দল মহাবিহারের সমসাময়িক হতে পারে। বর্তমানে আলতাদিঘীটি ইজারাদের নিকট ইজারা দেওয়া হয়েছে যা এলাকার পরিবেশ ও জীববৈচিত্র্যর জন্য হুমকি বলে বিশেষজ্ঞ গন বিবেচনা করেন