fbpx
সংবাদ শিরোনাম
নরসিংদীতে নানা আয়োজনের মধ্যদিয়ে বর্ষবরণ উদযাপন বৃদ্ধ নিহতের পর পুরুষশূন্য প্রতিপক্ষের বাড়ি ঘরে হামলা ভাঙচুর লুট সর্বস্তরের মানুষকে ঈদ উল ফিতরের শুভেচ্ছা জানিয়েছেন তাজ তাহমিনা মানিক রাবির অধিভুক্ত হচ্ছে রাজশাহীর চার সরকারি কলেজ ফিল্মি স্টাইলে গুলি করে নগদের ৬০ লক্ষ টাকা ছিনতাই ১৬৭ জন ভিক্ষুককে আশ্রয় কেন্দ্রে প্রেরণ করেছে ডিএনসিসি সাংবাদিকদের সংগঠন এএনসিএ’র প্রধান উপদেষ্টা হলেন অধ্যাপক আহসানুল আলম নবাগত উপজেলা নির্বাহী অফিসারের সাথে প্রেসক্লাব কালুখালীর সাংবাদিকদের মতবিনিময় নাটোরে হাফসা ছাত্রী-নিবাস থেকে কলেজ ছাত্রীর ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার বিপ্লব তীর্থ চান্দনাইশের উদীয়মান নক্ষত্র ও প্রতিবাদী লেখক মোহাম্মদ ইমাদ উদ্দীন

থানকুনি গাছের  উপকারিতা

                                           
মোসফিকা আক্তার
প্রকাশ : শনিবার, ২৪ জুলাই, ২০২১
থানকুনি গাছের  উপকারিতা

থানকুনি (বৈজ্ঞানিক নাম : centella asitica ইংরেজি ঃlndian pennywort ইন্ডিয়ান পেনিওর্ট সিংহলি গোটু কোলা বাংলাদেশ  স্হানীয় নাম ( ডানমানিক) সংস্কৃত খামের ত্রাচিয়াক ক্রাঞ কন্নড় তামিল ভাল্লাবাহ্ন মালযালম কুচাংভাল বা মুত্তির্ল এক ধরনের খুব ছোট বর্ষজীবি ভেষজ উদ্ভিদ এর বৈজ্ঞানিক পরিবারের  নাম  ম্যাকিনলেয়াসি যাকে অনেকে এপিকেসি পরিবারের  উপপরিবার মনে করেন। বাংলাদেশ, ভারত, সিংহল,উত্তর অস্ট্রেলিয়া, ইন্দোনেশিয়া, ইরান, মালয়ে শিয়া,পাপুয়া  নিউ গিনিং,এবং  এশিয়ার

অন্যান্য প্রান্তে এই উদ্ভিদ পাওয়া যায়। ভেষজ  হিসাবে এর বহুল ব্যবহার আছে  আয়ুবৈদিক,প্রাচীন আফ্রিকীয়,চৈনিকসহ অনেকে দেশের   চিকিৎসা বিদ্যালয়।

এর বৈজ্ঞানিক নাম আগে ছিল hydrocotyie asiatica l,এবং trisanthus cochinchinensis(lour) সেন্টেল্লায় এশিয়াটিকোসাইড, ব্রাক্ষোসাইড, অ্যাসিইয়্যাটিক অ্যাসিড এবং ব্রাহ্মিক অ্যাসিড( ম্যাডস্যাসিক অ্যাসিড) সহ পেন্টাসাইক্লিক ট্রাইটারপেনয়েড রয়েছে। অন্যান্য উপাদানগুলির মধ্যে  রয়েছে সেন্টলোজ সেন্টলোসাইড এবং ম্যাডেক্যাসোসাইড।

গুনাগুণ:
এতে আছে প্রচুর ভিটামিন সি তাই রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়।
মুখের ব্রণ দুর করে।
মুখে ঘা ও অন্যান্য ক্ষতে উপকারী।
সর্দির জন্য উপকারী।
পেটের অসুখে থানকুনির ব্যবহার আছে।
আমাশয়ে ভাল কাজ করে।
সাময়িকভাবে কাশি কমাতে সাহায্য করে।
গলা ব্যাথার জন্য উপকারি।

জবা গাছের উপকার জানতে ক্লিক করুন…..

পান গাছের উপকারিতা

উপকারিতাঃ
১. চুল পড়ার হার কমে:  নানা সময়ে হওয়া বেশ কিছু গবেষণায় দেখা গেছে সপ্তাহে ২-৩ বার থানকুনি পাতা খেলে স্কাল্পের ভেতরে পুষ্টির ঘাটতি দূর হয়। ফলে চুল পড়ার মাত্রা কমতে শুরু করে। চুল পড়ার হার কমাতে আরেকভাবেও থানকুনি পাতাকে কাজে লাগাতে পারেন। কীভাবে? পরিমাণ মতো থানকুনি পাতা নিয়ে তা থেঁতো করে নিতে হবে। তারপর তার সঙ্গে পরিমাণ মতো তুলসি পাতা এবং আমলা মিশিয়ে একটা পেস্ট বানিয়ে নিতে হবে। সবশেষে পেস্টটা চুলে লাগিয়ে নিয়ে কিছু সময় অপেক্ষা করতে হবে। ১০ মিনিট পরে ভাল করে ধুয়ে ফেলতে হবে চুলটা। প্রসঙ্গত, সপ্তাহে কম করে ২ বার এইভাবে চুলের পরিচর্যা করলেই দেখবেন কেল্লা ফতে!
২. টক্সিক উপাদানেরা শরীর থেকে বেরিয়ে যায়:  না নাভাবে সারা দিন ধরে একাধিক ক্ষতিকর টক্সিন আমাদের শরীরে, রক্তে প্রবেশ করে। এইসব বিষেদের যদি সময় থাকতে থাকতে শরীর থেকে বের করে দেওয়া না যায়, তাহলে কিন্তু বেজায় বিপদ! আর এই কাজটি করে থাকে থানকুনি পাতা। কীভাবে করে? এক্ষেত্রে প্রতিদিন সকালে অল্প পরিমাণ থানকুনি পাতার রসের সঙ্গে ১ চামচ মধু মিশিয়ে খেলে রক্তে উপস্থিত ক্ষতিকর উপাদানগুলি বেরিয়ে যায়। ফলে একাধিক রোগ দূরে থাকতে বাধ্য হয়।
৩. ক্ষতের চিকিৎসা করে:  থানকুনি পাতা শরীরে উপস্থিত স্পেয়োনিনস এবং অন্যান্য উপকারি উপাদান এক্ষেত্রে বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে। তাই তো এবার থেকে কোথাও কেটে গেলে সঙ্গে সঙ্গে সেখানে অল্প করে থানকুনি পাতা বেঁটে লাগিয়ে দেবেন। দেখবেন নিমেষে কষ্ট কমে যাবে।
৪. হজম ক্ষমতার উন্নতি ঘটে:  থানকুনি পাতা হজম ক্ষমতারও উন্নতি হবে। কারণ একাধিক গবেষণায় দেখা গেছে থানকুনি পাতায় উপস্থিত একাধিক উপকারি উপাদান হজমে সহায়ক অ্যাসিডের ক্ষরণ যাতে টিক মতো হয় সেদিকে খেয়াল রাখে। ফলে বদ-হজম এবং গ্যাস-অম্বলের মতো সমস্যা মাথা চাড়া দিয়ে উঠতে পারে না।
৫. ত্বকের সৌন্দর্য বৃদ্ধি পায়:  থানকুনি পাতায় উপস্থিত অ্যামাইনো অ্যাসিড, বিটা ক্যারোটিন, ফ্য়াটি অ্যাসিড এবং ফাইটোকেমিকাল ত্বকের অন্দরে পুষ্টির ঘাটতি দূর করার পাশাপাশি বলিরেখা কমাতে বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে। ফলে স্বাভাবিকভাবেই স্কিনের ঔজ্জ্বলতা বৃদ্ধি পায়। সেই সঙ্গে কম বয়সে ত্বকের বুড়িয়ে যাওয়ার সম্ভাবনাও কমে।থানকুনি গাছের  উপকারিতা
৬. আমাশয়ের মতো সমস্যা দূর হয়:  এক্ষেত্রে প্রতিদিন সকালে খালি পেটে নিয়ম করে থানকুনি পাতা খেতে হবে। এমনটা টানা ৭ দিন যদি করতে পারেন, তাহলেই কেল্লাফতে! এই ধরনের সমস্যা কমাতে আরেকভাবেও থানকুনি পাতাকে কাজে লাগাতে পারেন। প্রথমে পরিমাণ মতো থানকুনি পাতা বেটে নিন। তারপর সেই রসের সঙ্গে অল্প করে চিনি মেশান। এই মিশ্রনটি দু চামচ করে, দিনে দুবার খেলেই দেখবেন কষ্ট কমে যাবে।
৭. পেটের রোগের চিকিৎসায় কাজে আসে:  অল্প পরিমাণ আম গাছের ছালের সঙ্গে ১ টা আনারসের পাতা, হলুদের রস এবং পরিমাণ মতো থানকুনি পাতা ভাল করে মিশিয়ে ভাল করে বেটে নিন। এই মিশ্রনটি নিয়মিত খেলে অল্প দিনেই যে কোনও ধরনের পেটের অসুখ সেরে যায়। সেই সঙ্গে ক্রিমির প্রকোপও কমে।
৮. কাশির প্রকোপ কমে:  ২ চামচ থানকুনি পাতার রসের সঙ্গে অল্প করে চিনি মিশিয়ে খেলে সঙ্গে সঙ্গে কাশি কমে যায়। আর যদি এক সপ্তাহ খেতে পারেন, তাহলে তো কথাই নেই। সেক্ষেত্রে কাশির কোনও চিহ্নই থাকবে না।
৯. জ্বরের প্রকোপ কমে:  সিজন চেঞ্জের সময় যারা প্রায়শই জ্বরের ধাক্কায় কাবু হয়ে পারেন, তাদের তো থানকুনি পাতা খাওয়া মাস্ট! কারণ আয়ুর্বেদ শাস্ত্রে উল্লেখ রয়েছে যে জ্বরের সময় ১ চামচ থানকুনি এবং ১ চামচ শিউলি পাতার রস মিশিয়ে সকালে খালি পেটে খেলে অল্প সময়েই জ্বর সেরা যায়। সেই সঙ্গে শারীরিক দুর্বলতাও কমে।
১০. গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা দূর হয়:  অসময়ে খাওয়ার কারণে ফেঁসেছেন গ্যাস্ট্রিকের জালে? নো প্রবেলম! থানকুনি পাতা কিনে আনুন বাজার থেকে। তাহলেই দেখবেন সমস্যা একেবারে হাতের মধ্যে চলে আসবে। আসলে এক্ষেত্রে একটা ঘরোয়া চিকিৎসা দারুন কাজে আসে। কী সেই চিকিৎসা? হাফ লিটার দুধে ২৫০ গ্রাম মিশ্রি এবং অল্প পরিমাণে থানকুনি পাতার রস মিশিয়ে একটা মিশ্রন তৈরি করে ফেলুন। তারপর সেই মিশ্রন থেকে অল্প অল্প করে নিয়ে প্রতিদিন সকালে খাওয়া শুরু করুন। এমনটা এক সপ্তাহ করলেই দেখবেন উপকার মিলবে

সংবাদটি শেয়ার করুন


এই বিভাগ থেকে পড়ুন