fbpx
সংবাদ শিরোনাম

প্রতারক কবিরাজের সন্ধান

                                           
রাজবাড়ী জেলা প্রতিনিধি
প্রকাশ : মঙ্গলবার, ১৬ এপ্রিল, ২০২৪

এমনি এক প্রতারক কবিরাজের সন্ধান পাওয়া গেছে রাজবাড়ীর কালুখালী উপজেলার বোয়ালিয়া ইউনিয়নের ভবানীপুর গ্রামে। প্রতারক কবিরাজ ভবানীপুরের মিরাজ আলীর স্ত্রী লাইলী বেগম। নিজ বসত বাড়িতেই প্রতারক কবিরাজের আস্তানা।
সপ্তাহের বিশেষ দুই দিন, শনি ও মঙ্গলবার কবিরাজ লাইলী রোগী দেখেন। রোগ ভেদে তাকে দিতে হয় চিকিৎসার আসন ফি। বন্ধাত্ব, জ্বীনেধরা, বশিকরন, সংসারে অশান্তি, জাদু, টোনা, গ্যাস্টিক, আলসার এসব চিকিৎসার জন্য লাইলী কবিরাজের ফি ৩ থেকে ৪ হাজার টাকা। এছাড়া মোড়গ, জিরা, কাপড়, সরিসার তেল, মদনা কলা, দুধসহ প্রায় ২৫ প্রকার উপকরন লাগে লাইলীর চিকিৎসায়। এছাড়া ওরশের নামে গরু, ছাগল, ভেড়া, মোরগও মানত করতে হয়। তবে অনেকেই জানান লাইলী বেগমের এসব চিকিৎসায় কেউ কোনো প্রতিকার পায়নি। এটা এক ধরনের প্রতারনা।

কুষ্টিয়ার খোকসা থেকে আসা স্কুল ছাত্রী সুমাইয়া সিমু। টিকটকে আসক্ত থাকায় তার নানী কুলসুম তাকে কবিরাজের কাছে নিয়ে আসে। কবিরাজ লাইলী বলে ওকে জ্বীনে ধরেছে। আসন ফি প্রয়োজনীয় উপকরণ দিলেই নাকি জ্বীন ছাড়িয়ে দিবে।

রাজবাড়ীর বালিয়াকান্দি থেকে আসা ছকিনা জানায়, গ্যাষ্টিক চিকিৎসার জন্য কবিরাজ লাইলী বেগমকে ১৫ দিন আগে ২ হাজার টাকা দিয়েছি। এখনো রোগের প্রতিকার হয়নি। এজন্য আমি টাকা ফেরতের জন্য তার কাছে আসছি।

কালুখালীর চরচিলকা গ্রাম থেকে আসা রুবিনা জানায়, বন্ধাত্ব ভালো করার জন্য কবিরাজ আমার থেকে ৫ হাজার টাকা প্রয়োজনীয় উপকরণ ৭ মাস আগে নিয়েছে কিন্তু এখনো কাজ হয়নি।

কবিরাজী বিদ্যা সম্পর্কে জানতে চাইলে লাইলী বেগম জানায়, আমার কোন শক্তি নেই, জ্বীনে ভালো করে তাই ভালো হয়। অনেক ডিসি, এসপি, সেনাবাহিনী আমার দরবারে এসেছে চিকিৎসা নিতে।

মানুষ প্রতারণার শিকার হলেও এই প্রতারনা চিকিৎসার অর্থদিয়ে লাইলী বেগম বাড়িতে গড়ে তুলেছে একতলা ভবন। এ নিয়ে কেউ কিছু লেখালেখি করলে মারা যাবে, পুড়ে ছারখার হবে, গোখরা সাপে কামড় দিবে। বলে সংবাদ কর্মীদের ভয় দেখায় লাইলী।

উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা ইশরাত জাহান উম্মন জানান, এ ধরেনর চিকিৎসা অবৈজ্ঞানিক। মানুষের সরলতার সুযোগ নিয়ে কেউ এধরেনর প্রতারনা করলে তা বন্ধ করতে হবে।

সংবাদটি শেয়ার করুন


এই বিভাগ থেকে পড়ুন