fbpx
সংবাদ শিরোনাম

ঝালকাঠিতে আত্মসাৎতের টাকা ফেরৎ দিলেন মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা

                                           
এইচ এম জহিরুল ইসলাম মারুফ
প্রকাশ : রবিবার, ১৮ জুলাই, ২০২১

স্টাফ রিপোর্টারঃ ঝালকাঠি জেলার কাঠালিয়া উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা (অতিরিক্ত দায়িত্ব) নাসরীন আক্তার আইজিএ প্রকল্পের প্রশিক্ষণার্থীদের যাতায়াত ভাতার টাকা আত্মসাৎ করে পরে আবার গোয়েন্দা সংস্থার একজন সদসস্যের হস্তক্ষেপে ফেরৎ দিতে বাধ্য হয়েছেন অভিযোগ পাওয়া গেছে । গত ১৫ জুলাই বৃহস্পতিবার দুপুরে উপজেলা মহিলা বিষয়ক কার্যালয়ে এ ঘটনা ঘটে।

এ বিষয় কাঠালিয়া গ্রামের বিউটিফিকেশনের প্রশিক্ষনার্থী লিমা, একওই ট্রেডের পশ্চিম আউরা গ্রামের নাসরিন আক্তার জানান, নাসরীন ম্যাডাম আমাদের কাউকে ২৫০০ আবার কাউকে ৩০০০ টাকা এমনি ভাবে সবোর্চ্চ ৪৯০০ টাকা দেন। কিন্তু আমাদের সকলের কাছ থেকে ৬ হাজার টাকার চেকে স্বাক্ষর নিয়েছেন। আমরা এর কারন জানতে চাইলে সে জানান, করোনার কারনে সরকার টাকা অর্ধেক দিয়েছেন, তাই তোমাদেরকে টাকা কম দিয়েছি। এ কথায় আমরা চেচা-মেচি শুরু করলে গোয়েন্দা সংস্থার একজন স্যার এসে আমাদের কতর্নকৃত টাকা ফেরৎ দিতে বলেন ম্যাডামকে। একই টেড্রের আমরিবুনিয়া গ্রামের খাদিজা জানান, আমার প্রশিক্ষণ নিতে যাতায়াতে অটো ভাড়া খরচ হয়েছে প্রায় ৪০০০ টাকা, সেখানে আমাকে যদি ৩০০০ টাকা দেয়া হয়। করোনাকালীন সময় এর চেয়ে বড় কষ্ট আর কি হতে পারে। উনি আমাদের গরীবদের টাকা মেরে প্রাইভেট কার রির্জাভ করে ঝালকাঠি থেকে কাঠালিয়া আসেন।

মশাবুনিয়া গ্রামের ফ্যাশন ডিজাইন টেড্রের লাইজু, একওই টেড্রের আমুয়া গ্রামের সম্পা ও কাঠালিয়া গ্রামের বিউটিফিকেশন টেড্রের মিমিয়া জানান, আমাদের প্রত্যেকের নামে একাউন্ট রয়েছে, সে একাউন্টের অনুকুলে ৬০০০ টাকা সরকার জমা করেছেন। টাকা উত্তোলণের জন্য মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তার অফিস সহকারী হোসনেয়ারা আপা ৬০০০ টাকার চেকে আমাদের স্বাক্ষর নিয়েছেন। অথচ টাকা দিয়েছেন কম। এনএসআই’র সদস্য মোঃ হাফিজ ভাইয়ের হস্তক্ষেপে আমরা টাকা ফেরৎ পেয়েছি। তারা আরো অভিযোগ করে বলেন, উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা নাসরীন আক্তার ৮ম গ্রেডে ৩৪,৭২০ টাকা বেতনের চাকুরী করে ঝালকাঠিতে বিলাসবহুল বাড়ী নির্মান করেছেন। এসব তদন্তের দাবি জানান তারা। উল্লেখ্য যে, নাসরীন আক্তার গত ৩০ মার্চ ২০২১ কাঠালিয়া উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তার অতিরিক্ত দায়িত্ব গ্রহণ করেন।

এ বিষয় উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা (অঃ দাঃ) নাসরীন আক্তার বলেন, যারা সব কয়দিন ক্লাস করেননি তাদের ভাতার টাকা কাটা হয়েছিলো। কিন্তু আমার অফিস সহকারী হোসনেয়ারা চেকে ৬০০০ টাকা লিখেছেন, আমি সেটা জানতাম না। তবে বিষয়টি অন্যায় হয়েছে। পরে কর্তনকৃত টাকা ফেরৎ দেয়া হয়েছে।

সংবাদটি শেয়ার করুন


এই বিভাগ থেকে পড়ুন