fbpx
সংবাদ শিরোনাম

শীতের সাথে বাড়ছে ভ্রাম্যমাণ পিঠার দোকান ও ক্রেতা

                                           
নিয়ামুর রশিদ শিহাব
প্রকাশ : রবিবার, ৩ জানুয়ারি, ২০২১
শীতের সাথে বাড়ছে ভ্রাম্যমাণ পিঠার দোকান ও ক্রেতা

শীত যতই বাড়ছে তার সাথে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে পিঠা পুলির কদর। শৈত্যপ্রবাহের ঠান্ডায় একটু হলেও মন ও শরীরকে চাঙ্গা করতে মানুষ স্বাদ নিচ্ছে এই শীতের পিঠার। এখন গ্রামের পাশাপাশি পিঠা খাওয়ার প্রতিযোগিতায় পিছিয়ে নেই নগরীরবাসীও।

বরিশাল শহরের অলি-গলির মুখে ও রাস্তার পাশে পিঠা বিক্রি করছেন উৎফুল্ল ব্যবসায়ীরাও। তাদের কাছ থেকে কিনে এসবের স্বাদ গ্রহণ করছে নগরবাসী। নগরের মহসিন মার্কেট, চকের পোল, বাজার রোড, বিবির পুকুর পাড়, শেরে-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল চক্রে, লঞ্চঘাট, সদর রোড, জেলখানার মোড়, রূপাতলী বাস টার্মিনাল, বিএম কলেজের সামনে, জিলা স্কুল, চৌমাথা, বটতলাসহ বরিশালের বিভিন্ন পাড়া-মহল্লা, অলিগলির মুখে এই পিঠার দোকান দেখা যায়।

নগরীর সদর রোডের পিঠা ব্যবসায়ীদের কাছে দেখা গেছে- সাঁজের পিঠা, পাটিসাপটা পিঠা, ভাপা পিঠা, পুলি পিঠাসহ বিভিন্ন ধরনের পিঠার সমারোহ।

বিবির পুকুরপাড়ের ভ্রাম্যমাণ পিঠা বিক্রেতাদেরও বেশ ব্যস্ততায় সময়টা কাটছে। বিকেল থেকে নগরের মোড়ে মোড়ে পিঠা বিক্রি শুরু হলেও বিশেষ করে সন্ধ্যার সময় চিতই ও ভাপা পিঠার চাহিদা অনেক বেশি থাকে।

চিতই পিঠার সাথে ধনিয়া পাতা, মরিচ, সরষে, শুঁটকি বাটা দিয়েও পিঠা বিক্রি করা হয়। এসব দোকানে প্রতি পিস ভাপা ও চিতই পিঠা ৫ টাকা থেকে ১০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। ১০ টাকার পিঠা স্পেশাল পিঠা। এই পিঠা বিক্রি করেই শীতের সময় অনেকে সংসার চালান। অনেকেই মৌসুমী এই ব্যবসার সাথে জড়িয়ে পড়েছেন। তেমন একটা পুঁজি লাগে না বলে সহজেই এ ব্যবসা শুরু করেন অনেকেই।

চকের পোল এলাকার পিঠা বিক্রেতা আলী জানান, প্রতি বছরের ন্যায় এ বছরও রয়েছে ক্রেতার ভিড়। এতে আয় রোজগারও হচ্ছে ভালোই। যেহেতু ভাপা পিঠার ব্যবসা শীতকালে ছাড়া অন্য কোন ঋতুতে হয় না তাই এই সময়টাই এই ব্যবসার জন্য উত্তম সময়।

ক্রেতা মুঃ সিফাত জানান, শীত মানেই পিঠা খাওয়ার ধুম। আর যদি হয় ভাপা পিঠা তাহলে তো আর কোন কথাই নেই। নিজেকে চাঙ্গা করার জন্য বন্ধুদের নিয়ে সন্ধ্যায় আসি ভাপা পিঠা খেতে। পিঠা ছাড়া আড্ডা জমেই না।

সংবাদটি শেয়ার করুন


এই বিভাগ থেকে পড়ুন