fbpx
সংবাদ শিরোনাম

বিসিএস সিট প্লানে এ কেমন দুর্নীতি!

                                           
শাবলু শাহাবুদ্দিন
প্রকাশ : বৃহস্পতিবার, ২ জুন, ২০২২

৪৪ তম প্রিলিমারি পরীক্ষা ঢাকায় দিতে গিয়ে নতুন এক অভিজ্ঞতা হল। আমার যে কেন্দ্রে সিট পড়েছিলাম সেখানে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এবং ঢাকা কলেজের অনেক শিক্ষার্থীর সিট পড়ে ছিল। আমি আরো একটু আশ্চর্য হলাম, যখন দেখি আমার রুমে পাশাপাশি একাধিক পরীক্ষার্থী তারা নিজেদের মধ্যে বন্ধুর মত আচরণ করছে। অবশেষে দুই এক কথায় জানতে পারলাম তারা এই প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থী। পরীক্ষার সময় আরো আশ্চর্য বিষয় খেয়াল করলাম । পরীক্ষার শেষ দশ মিনিট আগে একজন আরেকজনকে সাহায্য করছে । এ ক্ষেত্রে হল পরিদর্শক তাদের বোঝানোর চেষ্টা করেও ব্যর্থ হচ্ছে । তারা একজন আরেকজনকে সাহায্য করতে বদ্ধপরিকর । পরীক্ষার শেষে কারণ জানতে চাইলাম ঐ সকল পরীক্ষার্থীদের কাছে থেকে । কেন তারা এমন করছে ? তারা বললো এটা আমাদের পূর্বপরিকল্পিত কাজ । আমরা আগে থেকেই এই বিষয়টি ঠিক করি। পড়াশোনা ভাগাভাগি করে নেই। ফলে অল্প পড়েই প্রিলিমারি পরীক্ষা পাস করতে পারি ।

অবশেষে তাদের কাছ থেকে জানতে চাইলাম ভাই, আপনাদের সিট এক সাথে পড়ে কেমনে। তারা প্রত্যুত্তরে আমাকে বললো এত কিছু জেনে কী করবেন ভাই? পরীক্ষা দিতে আসছেন পরীক্ষা দিয়ে চলে যান।

তাদের কথার মধ্যে আমার অনেক সন্দেহ সৃষ্ট হল । আমি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বেশ কিছু শিক্ষার্থীদের সাথে যোগাযোগ করে বুঝতে পারলাম, পিএসসির কিছু সফটওয়্যার জনিত যান্ত্রিক সমস্যার জন্য তারা এই সুযোগ নিচ্ছে । তারা দল বেঁধে ভোর রাতে একসাথে আবেদন করে এবং একই সাথে আবেদন ফি পরিশোধ করে । যেহেতু এই ভোর রাতে সারা বাংলাদেশ ঘুমিয়ে থাকে, সেহেতু তাদের আবেদন ফি পরিশোধ পাশাপাশি হয়। ফলে তাদের রেজিস্ট্রেশন নাম্বার পাশাপাশি হয় এবং পরীক্ষার দিন তাদের সিট পড়ে পাশাপাশি ।

এই দুর্নীতির কারণে অনেক পরীক্ষার্থী  তাদের মেধা অনুযায়ী বিসিএস প্রিলিমারিতে সুযোগ হারাচ্ছেন এবং অমেধাবিরা এগিয়ে যাচ্ছে। আশা করি আগামী বিসিএসে পিএসসি এই বিষয়টি গুরুত্বের সাথে নিবে এবং এই দুর্নীতির প্রতিকার করবে ।

পাঠকের কলামে লিখেছেন- শাবলু শাহাবউদ্দিন ,বিসিএস পরীক্ষার্থী, পাবনা।

সংবাদটি শেয়ার করুন


এই বিভাগ থেকে পড়ুন