fbpx
সংবাদ শিরোনাম
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কবি জসীম উদদীন হল ছাত্রলীগের উদ্যোগে বৃক্ষরোপণ আমিও সুখী ছিলাম বিশ্বের শীর্ষ বিজ্ঞানীদের তালিকায় স্থান করে নিয়েছেন মেহেরপুরের গাংনীর সন্তান রাইট টক বাংলাদেশ মেহেরপুর জেলা শাখার আংশিক কমিটি প্রকাশ শ্যালক রুবেলকে নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ানোর নির্দেশ দিলেন প্রতিমন্ত্রী কালুখালীতে প্রাণিসম্পদ সেবা সপ্তাহ ও প্রদর্শনী প্রাণিসম্পদ দপ্তর ও ভেটেরিনারি হাসপাতালের আয়োজনে দিনব্যাপী প্রাণিসম্পদ প্রদর্শনী দিনব্যাপী প্রাণী সম্পদ প্রদর্শনী মেলা অনুষ্ঠিত পিএসসি’র সদস্য হওয়ায় প্রদীপ কুমার পাণ্ডেকে রাবি গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের অভিনন্দন পিএসসির সদস্য পদে ড. প্রদীপ কুমার পাণ্ডে

ঐতিহাসিক জগদ্দল বিহার – অচিন দেশ

                                           
মোসফিকা আক্তার
প্রকাশ : শনিবার, ২৭ ফেব্রুয়ারি, ২০২১
ঐতিহাসিক জগদ্দল বিহার - অচিন দেশ

বাংলাদেশের নওগাঁ জেলার ধামুরহাট উপজেলার একটি প্রাচীন প্রত্মতাত্ত্বিক স্থান। এটি উপজেলার সদর থেকে প্রায় ৮ কিলোমিটার উত্তর – পূর্বে এবং মঙ্গলবাড়ি থেকে ৬ কিলোমিটার উত্তর – পশ্চিমে অবস্থিত। এটি জগতপুর মৌজার উওরে ও জগদ্দল মৌজার দক্ষিণংশে অবস্থিত।এক অতি প্রাচীন নিদর্শন।

নওগাঁ জেলার ধামুইরহাট থানার জয়পুর -ধামুইরহাট সড়কের উওর দিকে অবস্থিত এই প্রাচীন কীর্তি। বর্তমানে স্থানীয় জনগন এটিকে বটকৃষ্ণ রায় নামক এক জন জমিদারের বাড়ির ধ্বংসাবশেষ বলে মনে করে।ইতিহাস থেকে জানা যায় যে রাজা রামপাল গৌড় রাজ্য পুনরুদ্ধারের পর রামাবতী নগরে রাজধানী স্হান করেন।আইন -ই আকবার রচয়িতা আবুল ফজল এ স্থানটিকে রমৌতি বলে উল্লেখ করেছেন। প্রাচীন বাংলার ধর্মমঙ্গল কাব্যগুলিতে রামাবতীর উল্লেখ আছে। রাজা রামপালের পুত্র মদনপালের তাম্র শাসনে ও রামাবতী নগরীর উল্লেখ আছে। দীনেশ চন্দ্র সেন বলেছেন যে,এই রামাবতী নগরে রাজা রামপাল জগদ্দল মহাবিহারের প্রতিষ্ঠা করেন।

ঐতিহাসিক রামপ্রাণগুপ্ত জগদ্দল বিহার দিনাজপুর অবস্থিত বলে উল্লেখ করেছেন। রামপ্রাণ গুপ্তের জগদ্দল বিহার যে নওগাঁ জেলার আলোচ্য বিহার তা সহজেই অনুমান করা যায়।কারণ পূর্বে এ জেলা দিনাজপুর জেলার অংশ ছিল।একাদশ বা দ্বাদশ শতাব্দীতে রাজা রামপাল এই মন্দির নির্মাণ করেন বলে নীহাররন্জন রায়ের বাঙ্গালীর ইতিহাস গ্রন্হে উল্লেখ আছে।ঐতিহাসিক জগদ্দল বিহার -অচিন দেশ

এ গ্রন্হে আর ও ছিলেন অবলোকিতেশ্ণের, আর অধিষ্ঠাত্রী দেবী ছিলেন মহাতারা। এই বিহারটি প্রাচীন বাংলার শিক্ষা – দীক্ষার একটি গুরুত্বপূর্ণ কেন্দ্র ছিল। সুভাষ মুখোপাধ্যায়ের মতে এ বিহারের দুইজন স্বনামধন্য পন্ডিত হলেন দানশীলও বিভূতিচন্দ্র। প্রায় ষাটখানা গ্রন্হের তিব্বতী অনুবাদ করেন আচার্য দানশীল। রাজপুত্র বিভূতিচন্দ ছিলেন একাধারে গ্রন্হকার,টীকাকার অনুবাদক ও সংশোধক। জগদ্দল বিহারের আচার্য মোক্ষকর গুপ্ত র্তক্ভায়া নামে বৌদ্ধ ন্যায়ের উপর একটি পুঁথি লিখেছেন শুৎকর গুপ্ত, ধর্মাকর প্রভূতি মনীষী আচার্যরা কোন না কোন সময় এই মহাবিহারের অধিবাসী ছিলেন। কথিত আছে যে কাশিরের প্রসিদ্ধ পন্ডিত শাক্যশ্রীভদ্র ১২০০ খ্রিষ্টাব্দে বিভিন্ন বিহার দর্শন করে জগদ্দল বিহারে এসেছিলেন।

বাংলার জগদ্দল বিহারের বৌদ্ধ পন্ডিত বিদ্যাকর সুভাষিত। রত্নকোষ নামে একটি কোষকাব্য সংকলন সমাপ্ত করেছিলেন। প্রাচীন বাংলার এই জ্ঞান সাধন কেন্দ্র আজ সম্পূর্ণ ধ্বংসপ্রাপ্ত। বাংলাদেশ প্রত্নতত্ত্ব বিভাগের তত্ত্বাবধানে বর্তমানে এ স্হানটিতে খনন কাজ চলছে। ১৯৯৬ সালের পর তিনবার উৎখননের কাজ হয়।উৎখননের ফলে এখানে যে ধ্বংসাশেষ পড়ে রয়েছে তার আয়তন পূর্বে পশ্চিমে দীর্ঘ ১০৫মি,×৮৫মি,দেয়াল প্রায় ৫মি,×৫মিটার। জগদ্দল বিহার নওগাঁ জেলার ধামুইরহাট উপজেলার অবস্থিত। সহজ যাতায়াতের পথ হিসেবে জয়পুরহাট জেলা সদর হয়ে যাতায়াত ভাল। জয়পুরহাট রেল স্টেশন বা জেলা শহর থেকে সড়ক পথে জয়পুরহাট ভায়া মঙ্গলবাড়ী ধামুরহাট সড়কের পথে পড়কে হরতকী ডাঙ্গা হাট। সেখান থেকে তিন কিলোমিটার উওরে জগদ্দল বিহার।

সংবাদটি শেয়ার করুন


এই বিভাগ থেকে পড়ুন