fbpx
সংবাদ শিরোনাম
সৌদি আরবের জেদ্দায় ফ্লাইট শুরু করতে যাচ্ছে ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্স তীব্র তাপদাহেও গ্রীষ্মের সৌন্দর্য অমলিন ঢাকা মহানগর ছাত্রলীগের উপ-কর্মসূচি ও পরিকল্পনা সম্পাদক হলেন প্রিয়ন ফুলছড়িতে প্রার্থীর প্রচার-প্রচারণায় জমে উঠেছে নির্বাচনী আমেজ বৈষম্যের প্রতিবাদে সারাদেশের ন্যায় কর্মবিরতিতে মাগুরা পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি ডুমুরিয়ায় নিসচা’র নতুন কমিটির পরিচিতি সভা অনুষ্ঠিত নরসিংদীর রায়পুরা উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে ১০ প্রার্থীর মনোনয়ন দাখিল হযরত আয়েশা সিদ্দিকা রা. কওমী মাদ্রাসা উদ্বোধন টাইমস হায়ার এডুকেশন র‌্যাঙ্কিংয়ে দেশে তৃতীয় স্থানে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় মণিরামপুরে আসন্ন উপজেলা নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদ প্রার্থী থেকে সরে দাড়ালেন মিকাইল হোসেন

লড়াইয়ে জুটিতে রেকর্ড আর দুজনেরই শতক

                                           
স্পোর্টস ডেস্ক
প্রকাশ : সোমবার, ২৩ মে, ২০২২

দলীয় ২৪ রানে ৫ উইকেট হারানোর বাংলাদেশের হাল ধরেছেন মুশফিকুর রহিম এবং লিটন দাস। তাদের দুইজনের ব্যাটে ভর করেই এগিয়ে যাচ্ছে দল। দলকে এগিয়ে নেওয়ার পাশাপাশি জুটিতে দুইটি রেকর্ড নিজেদের নামে করে নিয়েছেন লিটন-মুশফিক। সোমবার (২৩ মে) মিরপুরে টস জিতে ব্যাটিংয়ে নামে বাংলাদেশ। ম্যাচের শুরুর ঘণ্টাতেই স্কোরবোর্ডের ২৪ রান তুলতেই পাঁচ উইকেট হারিয়ে বসে বাংলাদেশ। খেই হারিয়ে ফেলা দলকে টেনে তোলার দায়িত্ব নিজের কাঁধে তুলে নেন লিটন দাস এবং মুশফিকুর রহিম।

লিটন দাস যখন ক্রিজে আসেন দল তখন অল্প রানে গুটিয়ে যাওয়ার শঙ্কায় কাঁপছে। ম্যাচের আয়ু তখনো ৭ ওভারও হয়নি। ২৪ রানে ৫ উইকেট খুইয়ে বিব্রতকর পরিস্থিতিতে স্বাগতিকরা। দলের ভীষণ চাপে অভিজ্ঞ মুশফিকুর রহিমের সঙ্গে দারুণ এক জুটি গড়লেন লিটন। বরাবরের মতই নান্দনিক ব্যাটিংয়ে আলো কেড়ে নেন তিনি। মুশফিককে পেছনে ফেলে তুলে নিলেন টেস্টে নিজের তৃতীয় সেঞ্চুরি। ১৪৯তম বল তিন অঙ্ক স্পর্শ করেন লিটন। আসিতা ফার্নান্দোর বল পুল করেছিলেন। শর্ট স্কয়ার লেগের ফিল্ডার বল ধরে ওভারথ্রো করলে তাতে হয়ে যায় বাউন্ডারি। ৯৬ থেকে এক লাগে ১০১ রানে পোঁছে যান লিটন। সেঞ্চুরির পথে ডানহাতি এই ব্যাটসম্যান মেরেছেন ১৩ চার।

কান পাতলেই কানাঘুষা ছিল মুশফিকুর রহিমকে নিয়ে। দীর্ঘদিন থেকেই পরিচিত ছন্দে ছিলেন না মিস্টার ডিপেন্ডেবল। দক্ষিণ আফ্রিকায় হাফ সেঞ্চুরির দেখা পেলেও মুশফিক ছিলেন না চেনা ছন্দে। তবে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে মুশফিক খুঁজে পেয়েছেন নিজেকে। চট্টগ্রাম টেস্টের পর ঢাকা টেস্টে ব্যাক টু ব্যাক সেঞ্চুরিতে মুশফিক জানিয়ে দিলেন, ফুরিয়ে যাননি তিনি। এখনো ভরসা করা যায় মিস্টার ডিপেন্ডেবলের ওপর। চট্টগ্রাম টেস্টে প্রায় ২৭ মাস পর টেস্ট সেঞ্চুরির দেখা পান মুশফিকুর রহিম। তার টেস্ট ক্যারিয়ারের মন্থরতম সেঞ্চুরিতে সেঞ্চুরি খরা কাটালেও প্রয়োজনের সময় রানের গতি বাড়াতে না পারায় সমালোচিত হয়েছিলেন তিনি। তাই আজ হয়তো দলের চরম দুঃসময়ে মুশফিক জানান দিলেন, কখনো কখনো ধীর ব্যাটিংটাও দরকারি হয়ে ওঠে। মিরপুরে তাই ২৪ রানে ৫ উইকেট হারানোর পর লিটনকে নিয়ে হাল ধরলেন মুশফিক। অবিচ্ছিন্ন জুটিতে লিটনের সেঞ্চুরির পর সেঞ্চুরির দেখা পেলেন মুশফিকও। চট্টগ্রামের পর ঢাকাতেও সেঞ্চুরি তুলে নিলেন মিস্টার ডিপেন্ডেবল। ক্যারিয়ারের নবম সেঞ্চুরির জন্য মুশফিককে খেলতে হয়েছে ২১৮ বল। ১১ বাউন্ডারিতে তিনি এই চমৎকার ইনিংস খেলেন।

চট্টগ্রামে সিরিজের প্রথম টেস্টে চতুর্থ উইকেট জুটিতে ১৬২ রান করেছিলেন মুশফিক এবং লিটন। এবার মিরপুরে সেই রানকেও ছাড়িয়ে গেছেন। দ্বিতীয়বারের মতো জুটি গড়ে ২০০ রান পার করলেন এই দুই ব্যাটার। চতুর্থবারের মতো শতরানের জুটি গড়েছেন মুশফিকুর রহিম এবং লিটন দাস। ১৬ ইনিংস একসাথে ব্যাট করার সুযোগ পেয়েছে এই জুটি। ১৬ ইনিংসেই জুটি পার করেছে হাজার রানের মাইলফলক। বাংলাদেশের অষ্টম জুটি হিসেবে এই কীর্তি গড়েছেন তারা। এছাড়াও বাংলাদেশি ব্যাটারদের মধ্যে জাভেদ ওমর এবং হাবিবুল বাশার সর্বোচ্চ ৫ টি শতরানের জুটি গড়েছিলেন। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ৪ বার শতরানের জুটি গড়লেন মুশফিক-লিটন।

এছাড়াও ৬ষ্ঠ উইকেট জুটিতে বাংলাদেশের সর্বোচ্চ রানের জুটিও এটি। এর আগে ২০০৭ সালে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে মোহাম্মদ আশরাফুলকে সাথে নিয়ে ১৯১ রানের জুটি গড়েছিলেন মুশফিকুর রহিম। এবার লিটনকে সাথে নিয়ে এই রেকর্ড ভেঙেছেন তিনি। এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত, এই জুটির সংগ্রহ ২১৪ রান।এতোদিন ধরে ২৫ রানের কমে ৫ উইকেট পতনের পর সর্বোচ্চ রানের জুটির রেকর্ড ছিল পাকিস্তানের ওয়ালিস ম্যাথিয়াস ও সুজাউদ্দিনের দখলে। দলীয় ২২ রানে ৫ উইকেট পড়ার পর তারা দুজন মিলে ১৯৫৯ সালে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে তৎকালীন ঢাকা স্টেডিয়ামে গড়েছিলেন ৮৬ রানের জুটি।

সেটি ছাপিয়ে এরই মধ্যে ২২৫ রানের জুটি গড়ে ফেলেছেন মুশফিক-লিটন। বাংলাদেশের টেস্ট ইতিহাসে ষষ্ঠ উইকেটে এটিই সর্বোচ্চ রানের জুটি। যা এখনও অপরাজিত। ২০০৭ সালে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষেই কলম্বোতে ষষ্ঠ উইকেটে ১৯১ রান যোগ করেছিলেন মুশফিক ও মোহাম্মদ আশরাফুল। এবার লিটনকে নিয়ে সেই রেকর্ড ভাঙলেন মুশফিক।

এ দুজনের সামনে এখন রয়েছে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে যে কোনো উইকেটে বাংলাদেশের সর্বোচ্চ রানের জুটির রেকর্ড ভাঙার সুযোগ। ২০১৩ সালের গল টেস্টে আশরাফুল ও মুশফিক গড়েছিলেন ২৬৭ রানের জুটি। আর মাত্র ৪২ রান যোগ করলেই সেটিকে ছাড়িয়ে যাবেন মুশফিক ও লিটন।

সংবাদটি শেয়ার করুন


এই বিভাগ থেকে পড়ুন