fbpx
সংবাদ শিরোনাম
সৌদি আরবের জেদ্দায় ফ্লাইট শুরু করতে যাচ্ছে ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্স তীব্র তাপদাহেও গ্রীষ্মের সৌন্দর্য অমলিন ঢাকা মহানগর ছাত্রলীগের উপ-কর্মসূচি ও পরিকল্পনা সম্পাদক হলেন প্রিয়ন ফুলছড়িতে প্রার্থীর প্রচার-প্রচারণায় জমে উঠেছে নির্বাচনী আমেজ বৈষম্যের প্রতিবাদে সারাদেশের ন্যায় কর্মবিরতিতে মাগুরা পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি ডুমুরিয়ায় নিসচা’র নতুন কমিটির পরিচিতি সভা অনুষ্ঠিত নরসিংদীর রায়পুরা উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে ১০ প্রার্থীর মনোনয়ন দাখিল হযরত আয়েশা সিদ্দিকা রা. কওমী মাদ্রাসা উদ্বোধন টাইমস হায়ার এডুকেশন র‌্যাঙ্কিংয়ে দেশে তৃতীয় স্থানে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় মণিরামপুরে আসন্ন উপজেলা নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদ প্রার্থী থেকে সরে দাড়ালেন মিকাইল হোসেন

মিজোরামের জীবন্ত ভূত || চন্দন চ্যাটার্জি

                                           
প্রকাশ : মঙ্গলবার, ১৫ নভেম্বর, ২০২২
মিজোরামের জীবন্ত ভূত || চন্দন চ্যাটার্জি

মিজোরামের জীবন্ত ভূত

চন্দন চ্যাটার্জি

 

সমীর বাবুর কথা তো আপনাদের আগেই বলেছি, সমীর কুমার দেবনাথ, সম্প্রতি আমাদের পাড়ায় ফ্ল্যাট কিনে বসবাস করছেন ।  বয়স আনুমানিক ৬৫ বছর হবে, কর্মজীবনের ইতি এখন শুধুই অবসর ।

তিনি তার কর্মজীবনে নানা কোম্পানিতে কাজ করেছেন,  তাই নানান দেশ ঘুরেছেন ।  তার অভিজ্ঞতার ঝুলি পরিপূর্ণ ।  আমার বাবার সঙ্গে তাঁর খুব বন্ধুত্ব, কারণ দুজনেই সমবয়স্ক, সমমনস্ক । সকালে মর্নিং ওয়াক আর সন্ধ্যায় সান্ধ ভ্রমণ এটাই ছিল দু’জনের রোজনামচা ।  ভালো কিছু রান্না হলে মা সমীর কাকুকে বাড়িতে ডেকে খাওয়াতেন ।

তখন শ্রাবণ মাস, সান্ধ্য ভ্রমণের পর সমীর কাকু আমাদের বাড়িতে এসে  বসলেন চা খাবেন বলে ।  আজ রবিবার তাই  মধ্যাহ্ন ভোজন ভালোই হয়েছিল তাতে ভাতঘুমটা একটু বেশিক্ষণ হয়েছিল,  অতএব সান্ধ্য ভ্রমণ শেষ করে  আমাদের বাড়ি আসতে তাদের প্রায় সন্ধ্যা হয়ে গেল ।  বাইরে বসার ঘরে দুই বৃদ্ধের আড্ডা চলছে, এমন সময় বৃষ্টি শুরু হল ।  শ্রাবণের জলভরা মেঘ, বৃষ্টি কি আর সহজে থামে ।  আমাদের এই হাওড়া মন্দিরতলা এলাকায় আরেকটা সমস্যা হল জোর বৃষ্টি বা  ঝড় শুরু হলেই লোডশেডিং ।  কাজেই পাড়াময় এখন অন্ধকার, ঘরে ঘরে কেরোসিনের বাতি জ্বলছে ।  যখনকার কথা বলছি তখন এই এলাকায় জেনারেটরও বসে নেই এবং ব্যাটারি চালিত বিজলী বাতি আসেনি ।  হয় সরকারি বিদ্যুৎ অথবা কেরোসিনের বাতি এই দুটো ওপরই  মানুষকে ভরসা করতে হতো ।  ইতিমধ্যে  মুড়ি ও তেলে ভাজা  এসে গেছে, বর্ষার এটাই টাইম পাস-এর উপযুক্ত মেনু ।  আমার ভাইপো হঠাৎ এসে বললো,” ছোট দাদু একটা ভূতের গল্প বলো না । তুমি তো অনেক জায়গায় গেছো তার থেকে একটা সত্যি ভূতের গল্প বলো”

বাবা বললেন, ” হ্যাঁ সমীর শুরু করো, এতো বৃষ্টিতে তো এখন আর তুমি বাড়ি যেতে পারবেনা, বৃষ্টি কমলে আমার ছোট ছেলে বাইকে করে তোমাকে বাড়ি পৌঁছে দেবে ।  কথাটি সমীর কাকুর মনে ধরল চায়ের কাপে শেষ চুমুক দিয়ে তিনি শুরু করলেন ।

প্রত্যন্ত গ্রামাঞ্চলে যদি কোনো অ্যাক্সিডেন্ট হয় তবে আমার মনে হয় প্রতিবছর সেই সময়, সেই স্থানে, সেই ঘটনার পুনরাবৃত্তি হয় ।  কেন আমি এই কথা বলছি কারন আমি নিজে এই ঘটনার সাক্ষী ।  তখন আমি দিল্লির একটা রোড কনস্ট্রাকশন কোম্পানিতে কাজ করি, পোস্টিং হয় মিজোরামের একটা প্রত্যন্ত গ্রামে ।

মিজোরাম সম্বন্ধে একটু ধারনা দিয়ে দি ।  পুরো রাজ্যটা পাহাড়ি রাজ্য,  কিন্তু শক্ত পাথরের নয়, স্লেট  পাথরের, আমরা ছোটবেলায় যে স্লেটে চখ দিয়ে লিখতাম সেই পাথরের ।  আমার ভাইপো বিল্টু কিছু বলতে যাচ্ছিল বাবা তাকে হাতের ইশারা করে থামিয়ে দিলেন এবং আস্তে আস্তে বললে স্লেট পেন্সিলের কথা তোকে পরে বুঝাবো, এখন শোন ।  সে শান্ত হয়ে শুনতে লাগল ।  এই পাথরের পাহাড় মোটেই মজবুত নয়, একবার পাহাড়ে ধস নামলেই  সোজা নিচের খাদে ।  বাঁচার আশা প্রায় নেই ।  এখানে পাহাড়ে নানান গাছ আপনা থেকেই জন্মায় । বাঁশ মূলত বেশি দেখা যায়, এছাড়া কলা গাছ, কাঁঠাল গাছ, ইত্যাদি আপনা থেকে জন্মায় ।  ড্রাগন ফুট, আনারস, কমলালেবু, চেরি ইত্যাদি ফলের চাষ হয় ।  আমাদের এখানে যেমন মেঘ দেখতে হলে আমরা আকাশের দিকে তাকাই……..

সংবাদটি শেয়ার করুন


এই বিভাগ থেকে পড়ুন