তোমাকে এক সুদীর্ঘ রাতের কথা বলি-
অন্যান্য রাতের মত নয়- এ রাত;
অশ্রুসজল আঁখিতে গ্লানির হাতছানি
বিষন্নতায় ডুবে থাকা চাহনি
কিংবা বলতে পারো আর্তনাদের শহরে-
মৃত্যুদের হানাহানি।
এই সেই কালরাত-
যে রাতে আমার অনুভূতির শরীরে ব্যাথা ছিল;
আমার আত্ম-চিৎকারে কম্পিত ছিল ধমনী
বোবা শব্দে গুমরে ছিল হৃদয়
প্রতিটা নিঃশ্বাস যেন দীর্ঘশ্বাস-
আমি ডুবেছিলাম এক মহাশূন্যে।
বিশ্বাস কর, সময় থেমে যায়-
যখন বেদনারা জেগে ওঠে ;
খা-খা বুকটা যখন মুচড়ে ওঠে
তখন মৃত্যুভয় নিস্ফল হয়ে যায়
নিঃসংকোচে বরণ করি মৃত্যুকে
বারবার হাজারবার।
এই রাত অনেক বিভৎস রাত-
বিরতিহীন ভাবে পুড়িয়েছে আমায়;
যন্তণায় বলেছি আমাকে ফিরিয়ে দাও
আমার শৈশবের লাটিম ঘোরানো বাকি
আমার ঘুড়িরা উড়তে চাই আকাশে
আমায় মুক্তি দাও, আমায় মুক্তি দাও।
তারা শুনতে চাই না আমার আর্তনাদ-
হাহাকার কিংবা আহাজারি ;
আমি নাকি মস্ত বড় পাপী
তুমি বলে দাও আমায়
কোন সে পাপের শাস্তি এমন
বর্বরোচিত, নির্মম, নিষ্ঠুর আর সুনিপুণ।
সে রাতের নেই কোনো ভোর-
জেগে রয় চেতনারা ক্লান্তিতে;
আমি ভুলে যাবো সব-
যদি কেটে যায় সে রাতের ঘোর।।