মা
পৌলমী মান্না
মা মানে তো সর্বত্যাগী একটা দেবী রূপ,
মা মানেতো হার না মানা একটা মাংস স্তূপ।
মা মানেতো দিনরাত্রি ডিউটি সাথে ফ্রি,
মা মানেতো আমোদে- আয়েশে নেভার, নো-এন্ট্রি।
মা মানেতো সখ- সাধহীন একটা ঈজি যন্ত্র,
মা মানেতো গোটা বাড়ির সুসজ্জিতার মন্ত্র
মা মানেতো একটা হাঁকেই চোখের সামনে চাই,
মা মানেতো চেঁচামেচি , কিছু খুঁজে যদি না পাই।
বলতে পারো মাকে এমন রূপ দিয়েছে কে?
সবটা থেকেও সর্বহারার প্রতিমূর্তি সে!
মা মানেতো আমার মা, আমার বাবার স্ত্রী;
মা মানেতো আমার মেয়ে, আমার নারী কাটা ঝি।
মা মানেতো ছেলের বউ , আমার বংশ কূলের জননী;
আজকের মেয়ে -কালকের মা’ আমরা সেটা ভাবিনী।
আমার মেয়ের স্বাধীনতা অবাধ করে চাই,
আমি ও যে কারোর মেয়ে , এটা অমনি ভূলে যাই!
আমিও যে মা নামের এক সুপরিচিত কল,
ছেলের বউ মা হলে আমরা সব ভুলে যাই বল!!
আসলেতে মা’কে মোরা বানিয়েছিই এমন,
চুপ করে সে সয়ে গেছে যে বলেছে যেমন।
খায়সে যদি সবার সাথে ,দোষটা কিবা তাতে?
ঘুমোয় যদি একটু বেশি- সকালে কিংবা রাতে,
পড়ে যদি সবার থেকে একটা দামি শাড়ি,
মানুষ হয়ে এক মানবীর সুখ কেমনে কাড়ি?
মাগো তুমি বাঁচ এবার একটু নিজের মতো,
মাগো মনের দ্বার খুলে দাও, মেটাও মনের ইচ্ছা যত।
মাগো মেটাও এবার এমন কষ্ট করুণ রূপ,
আজকে মেয়ে, কাল ” মা” হব, রব না আর চুপ।
নষ্ট হলে মায়ের এমন সর্বত্যাগী পক্ষ,
তোমার মেয়ে মা হলে তার ঘুচবে এসব দুঃখ।