fbpx
সংবাদ শিরোনাম
সৌদি আরবের জেদ্দায় ফ্লাইট শুরু করতে যাচ্ছে ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্স তীব্র তাপদাহেও গ্রীষ্মের সৌন্দর্য অমলিন ঢাকা মহানগর ছাত্রলীগের উপ-কর্মসূচি ও পরিকল্পনা সম্পাদক হলেন প্রিয়ন ফুলছড়িতে প্রার্থীর প্রচার-প্রচারণায় জমে উঠেছে নির্বাচনী আমেজ বৈষম্যের প্রতিবাদে সারাদেশের ন্যায় কর্মবিরতিতে মাগুরা পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি ডুমুরিয়ায় নিসচা’র নতুন কমিটির পরিচিতি সভা অনুষ্ঠিত নরসিংদীর রায়পুরা উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে ১০ প্রার্থীর মনোনয়ন দাখিল হযরত আয়েশা সিদ্দিকা রা. কওমী মাদ্রাসা উদ্বোধন টাইমস হায়ার এডুকেশন র‌্যাঙ্কিংয়ে দেশে তৃতীয় স্থানে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় মণিরামপুরে আসন্ন উপজেলা নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদ প্রার্থী থেকে সরে দাড়ালেন মিকাইল হোসেন

ফুটবল মহাকাব্য লেখে চ্যাম্পিয়ন ম্যানসিটি

                                           
স্পোর্টস ডেস্ক
প্রকাশ : সোমবার, ২৩ মে, ২০২২

বার্সেলোনা ছেড়ে ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগ ক্লাব অ্যাস্টনভিলায় যোগ দেয়ার পরও নিজের ঝাঁঝ হারিয়ে যেতে দেননি ফিলিপ কৌতিনহো। ম্যানসিটির মত দলকে পেয়েও জ্বলে উঠলেন। ৬৯ মিনিটে তিনি যখন গোল করলেন, ম্যানসিটি তখন পিছিয়ে গেলো ২-০ ব্যবধানে। তার আগে ৩৭ মিনিটে গোল করেছিলেন ম্যাথিউ ক্যাশ। অন্যদিকে নিশ্চিত সম্ভবনা নিয়ে মাঠে নামা ম্যানচেস্টার সিটির শিরোপা স্বপ্নে ধূসর রংয়ের আবছা আবরণে ঢেকেছে । মাথা হাত বুলিয়ে মাথা চুলকাচ্ছেন পেপ গার্দিওয়ালা। ঠিক পর মুহূর্তে মাত্র ৫ মিনিটে ৩ গোল করে ফুটবলের মহাকাব্য লিখলেন মাত্রই বদলি হিসেবে নামা গুনদোয়ান ও রদ্রি। যে ফুটবল মহাকাব্য অনেকদিন ফুটবল ভক্তদের এই রাত জাগা চোখে লেগে থাকবে।

খেলার ৭৫, ৭৬ মিনিট পার হয়ে গেলো, গোলের কোনো দেখা পাচ্ছে না ম্যানচেস্টার সিটি। নিজেদের মাঠ ইত্তিহাদে প্রায় ৫৪ হাজার দর্শকের মাঝে পিনপতন নীরবতা। ৭৬ মিনিটে এসেই পুরো গ্যালারিকে আকাশী-নীল ঢেউয়ে ভাসালেন, বার্নার্ডো সিলভার পরিবর্তে ৬৮ মিনিটে মাঠে নামা জার্মান অ্যাটাকিং মিডফিল্ডার ইলকায় গুন্ডোগান।গোলের তালা খোলার পরই যেন সব কাজ একসঙ্গে সেরে রাখার পণ করে ফেলেছিল ম্যানচেস্টার সিটি। দুই মিনিট পরই আবারও আকাশী-নীল ঢেউ। এবার গোল করলেন রদ্রি। ২-২ ব্যবধান হলো। তাতে কী কোনো লাভ হবে ম্যানসিটির?

তবে মাস্টারমাইন্ড গার্দিওলা তখন যে অন্য ছক কষছিলেন । দ্বিতীয় গোল হজম করার এক মিনিট আগেই ইয়াকি গুন্দোয়ানকে মাঠে নামান গার্দিওলা। এরপরেই ম্যাচে ফেরে সিটি। ৭৬তম মিনিটে রহিম স্টার্লিংয়ের অ্যাসিস্ট থেকে এক গোল পরিশোধ করেন গুন্দোয়ান। এর দুই মিনিট পর আলেক্সান্ডার জিনচেঙ্কোর অ্যাসিস্ট থেকে গোল করে স্প্যানিশ মিডফিল্ডার রদ্রি গোল করে সিটিকে সমতায় ফেরান। আর ৮১তম মিনিটে কেভিন ডি ব্রুইনের অ্যাসিস্ট থেকে জয়সূচক গোলটাও আসে বদলি হিসেবে নামা ইয়াকি গুন্দোয়ানের কাছ থেকেই। মাত্র ৫ মিনিটের ব্যবধানে ৩ গোলের মহাকাব্যিক প্রত্যাবর্তনে ম্যানচেস্টার সিটি লিড নেয় ৩-২ গোলের ব্যবধানে। আর শেষ পর্যন্ত এই ব্যবধানে জিতেই লিগ নিশ্চিত করে সিটিজেনরা।

ম্যান নির্ধারিত ৯০ মিনিটের পর আরও ৪ মিনিট হলো ইনজুরি টাইম। এরপরই রেফারি বাঁজালেন শেষের বাঁশি। ততক্ষণে উল্লাস শুরু হয়ে গেছে ম্যানসিটির ডাগআউট থেকে শুরু করে পুরো গ্যালারিতে। অ্যাস্টন ভিলাকে হারিয়েই ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগের চ্যাম্পিয়ন হয়ে গেলো ম্যানচেস্টার সিটি। গত ৫ বছরে এ নিয়ে ৪র্থবার চ্যাম্পিয়নের মুকুট পরলো সিটি।

ম্যানসিটি কোচ পেপ গার্দিওলার ৬৮তম মিনিটে নেয়া একটি সিদ্ধান্তই ম্যাচের চেহারা বদলে দিয়েছিল। অ্যাস্টন ভিলা ২-০ গোলে এগিয়ে থাকা মানে তো নিশ্চিত পরাজয়। পুরো ম্যাচে সমানে অ্যাস্টন ভিলাকে চাপের উপরে রেখেছে ম্যানসিটি। একের পর এক গোলের সুযোগ। কিন্তু কোনোটিই জাল পর্যন্ত যাচ্ছে না। বাধা পাচ্ছে পার্ক করা বাসের সামনে।

অ্যাস্টন ভিলার দুর্বোধ্য দেয়াল ভেদ করার জন্যই ৬৮তম মিনিটে বার্নার্ডো সিলভাকে তুলে নিলেন গার্দিওলা। মাঠে নামালেন জার্মান মিডফিল্ডার ইলকায় গুন্ডোগানকে। মাঠে নেমেই খেলার চিত্র বদলে ফেলেন তিনি।

৭৬ মিনিটে রাহিম স্টার্লিংয়ের ক্রস থেকে ভেসে আসা বলটিকেই দুর্দান্ত এক হেডে জড়িয়ে দিলেন অ্যাস্টন ভিলার জালে। শোধ হলো একটি গোল। ১-২। ৭৮ মিনিটে ওলেকজান্ডার জিনচেঙ্কোর পাস থেকে বল পেয়ে বক্সের বাইরে বাম পাশ থেকেই ডান পায়ের শট নেন রদ্রি। সোজা গিয়ে জড়িয়ে যায় অ্যাস্ট ভিলার জালে। ২-২ সমতা।

এরপর ৮১ মিনিটে আবারও ইলকায় গুন্ডোগান। কেভিন ডি ব্রুইনের পাস থেকে বল পেয়ে পোস্টের একেবারে সামনে থেকে ডান পায়ের শটে ভিলার জালে বল জড়িয়ে দেন জার্মান এই মিডফিল্ডার। ৩-২। ম্যাচের শেষ অংশে ভিলাকে চেপে ধরে আরও গোল আদায়ের চেষ্টা ছিল সিটির। কিন্তু আর গোল হয়নি। ৩-২ ব্যবধানে জয় নিয়েই মাঠ ছাড়েন তারা।

পরিসংখ্যান টেবিলে তাকালে দেখা যাবে ৭১ ভাগ বল দখলে ছিল ম্যানসিটির। অ্যাস্টন ভিলার মাত্র ২৯ ভাগ। ভিলার পোস্টে ২৪টা শট নিয়েছিল সিটি। টার্গেটে ছিল ৫টি। আর অ্যাস্টন ভিলা পোস্টে শট নিয়েছিল ৪টি। টার্গেটে ছিল ২টি। সে দুটিতেই হলো গোল।

৩৮ ম্যাচ শেষে সিটির পয়েন্ট দাঁড়ালো ৯৩। লিভারপুলের পয়েন্ট ৯২। চেলসি ৭৪ পয়েন্ট নিয়ে হলো তৃতীয়। ৭১ পয়েন্ট নিয়ে চতুর্থ হলো টটেনহ্যাম। ৩৮ ম্যাচে ৫৮ পয়েন্ট নিয়ে ৬ষ্ঠ হলো ম্যানইউ।

সংবাদটি শেয়ার করুন


এই বিভাগ থেকে পড়ুন