fbpx
সংবাদ শিরোনাম
সৌদি আরবের জেদ্দায় ফ্লাইট শুরু করতে যাচ্ছে ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্স তীব্র তাপদাহেও গ্রীষ্মের সৌন্দর্য অমলিন ঢাকা মহানগর ছাত্রলীগের উপ-কর্মসূচি ও পরিকল্পনা সম্পাদক হলেন প্রিয়ন ফুলছড়িতে প্রার্থীর প্রচার-প্রচারণায় জমে উঠেছে নির্বাচনী আমেজ বৈষম্যের প্রতিবাদে সারাদেশের ন্যায় কর্মবিরতিতে মাগুরা পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি ডুমুরিয়ায় নিসচা’র নতুন কমিটির পরিচিতি সভা অনুষ্ঠিত নরসিংদীর রায়পুরা উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে ১০ প্রার্থীর মনোনয়ন দাখিল হযরত আয়েশা সিদ্দিকা রা. কওমী মাদ্রাসা উদ্বোধন টাইমস হায়ার এডুকেশন র‌্যাঙ্কিংয়ে দেশে তৃতীয় স্থানে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় মণিরামপুরে আসন্ন উপজেলা নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদ প্রার্থী থেকে সরে দাড়ালেন মিকাইল হোসেন

পুঠিয়া রাজবাড়ী

                                           
প্রকাশ : বৃহস্পতিবার, ৪ ফেব্রুয়ারি, ২০২১
পুঠিয়া রাজবাড়ী

পুঠিয়া রাজবাড়ী বা পাঁচআনি জমিদারবাড়ি হচ্ছে মহারানী হেমন্তকুমারী দেবীর বাসভবন। বাংলার প্রত্মতাত্ত্বিক ঐতিহ্যের মধ্যে রাজশাহীর পুঠিয়া রাজবাড়ী অন্যতম।

 

১৮৯৫ সালে মহারানী হেমন্তেকুমারী দেবী আকর্ষনীয় ইন্দ্রো ইউরোপীয় স্হাপত্যরীতেতে আয়তাক দ্বিতল বর্তমান রাজবাড়ীটি নির্মাণ করেন।

সপ্তদশ শতকে মোগল আমলে তৎকালীন বাংলার বিভিন্ন রাজ্যের মধ্যে পুঠিয়া জমিদরি ছিল প্রাাচীনতম।

কথিত যে জনৈক নীলাম্বর মোগল সম্রাট জাঙ্গীরের(১৬০৫-২৭) কাজ থেকে রাজা উপাধি লাভ করার পর সেটি পুঠিয়া রাজবাড়ীরূপে পরিচিতি লাভ করে।

১৭৪৪ সালে জমিদারি ভাগ হয়। সেই ভাগাভাগিতে জমিদারের বড় ছেলে পান সম্পত্তির সাড়ে পাঁচ আনা এবং অন্য তিন ছেলে পান সাড়ে তিন আনা।

১৯৫০ সাল পযর্ন্ত জমিদারি প্রথা ছিল। প্রথা বিলুপ্ত হয়। কিন্তু জমিদারি বিলুপ্ত হলেও সে আমলে নির্মিত তাদের প্রাসাদ মন্দির ও অন্যান্য স্হাপনা ঠিকই এখনো টিকে রয়েছে।

অপরূপ ও প্রাসাদটি ১৮৯৫ সালে মহারানী।

হেমন্ত কুমারী দেবী তার শাশুড়ি মহারানী শরৎ সুন্দরী দেবীর সম্মানে নির্মাণ করেন।ভবনের সম্মুখ ভাগের স্তম্ভ অলংকরণ, কাঠের কাজ কক্ষের দেয়ালে ও দরজার উপর ফুল ও লতাপাতার চিত্রকর্ম চমৎকার নির্মাণ শৈলীর পরিচয় বহন করে।

রাজবাড়ীর ছাদ সমতল, ছাদে লোহার বীম,কাঠের বর্গা এবং টালি ব্যবহৃত হয়েছে।

নিরাপত্তার জন্য রাজবাড়ির চারপাশে পরিখা খনন করা হয়েছিল পুঠিয়া রাজবাড়ির আশে পাশে ছয়টি রাজদিঘী আছে।

প্রত্যেকটা দিঘীর আয়তন ছয় একর করে। মন্দির ও আছে ছয়টি। সবচেয়ে বড় শিব মন্দির।

এ ছাড়া আছে রাধাগোবিন্দ মন্দির গোপাল মন্দির, গোবিন্দ মন্দির, দোলমঞ্চ ইত্যাদি। প্রতিটি মন্দিরের দেয়ালেই অপূর্ব সব পোড়ামাটির ফলকের কারুকাজ।

জোড়াবাংলা মন্দির। বাংলা মন্দির অর্থাৎ বাংলার বিভিন্ন গঠনরীতির মন্দিরগুলো প্রতিটিই আকর্ষনীয় এ ছাড়া রানির স্নানের ঘাট, অন্দর মহল মিলিয়ে বিশাল রাজবাড়ী প্রাঙ্গান।

যেভাবে যাবেনঃ

রাজশাহী জেলা সদর হতে ৩২ কিঃমিঃ উওর পূর্বে নটোর মহাসড়ক অভিমুখে পুঠিয়া অবস্থিত ।

বাসে করে দেশের যে কোন স্হান হতে পুঠিয়া আসা যায় এবং ট্রেনে করে নটোর অথবা রাজশাহী নেমেও সড়কপথে সহজে আসাযায়।

সংবাদটি শেয়ার করুন


এই বিভাগ থেকে পড়ুন