fbpx
সংবাদ শিরোনাম
সৌদি আরবের জেদ্দায় ফ্লাইট শুরু করতে যাচ্ছে ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্স তীব্র তাপদাহেও গ্রীষ্মের সৌন্দর্য অমলিন ঢাকা মহানগর ছাত্রলীগের উপ-কর্মসূচি ও পরিকল্পনা সম্পাদক হলেন প্রিয়ন ফুলছড়িতে প্রার্থীর প্রচার-প্রচারণায় জমে উঠেছে নির্বাচনী আমেজ বৈষম্যের প্রতিবাদে সারাদেশের ন্যায় কর্মবিরতিতে মাগুরা পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি ডুমুরিয়ায় নিসচা’র নতুন কমিটির পরিচিতি সভা অনুষ্ঠিত নরসিংদীর রায়পুরা উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে ১০ প্রার্থীর মনোনয়ন দাখিল হযরত আয়েশা সিদ্দিকা রা. কওমী মাদ্রাসা উদ্বোধন টাইমস হায়ার এডুকেশন র‌্যাঙ্কিংয়ে দেশে তৃতীয় স্থানে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় মণিরামপুরে আসন্ন উপজেলা নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদ প্রার্থী থেকে সরে দাড়ালেন মিকাইল হোসেন

জেএমবির সামরিক শাখার মৃত্যুদণ্ড সাজাপ্রাপ্ত পলাতক আসামি গ্রেপ্তার

                                           
প্রকাশ : রবিবার, ১৭ এপ্রিল, ২০২২

নিজস্ব প্রতিবেদকঃ নষিদ্ধ ঘোষিত জঙ্গি সংগঠন জামায়াতুল মুজাহিদিন বাংলাদেশের (জেএমবি) সামরিক শাখার মৃত্যুদণ্ড সাজাপ্রাপ্ত পলাতক আসামি মো: সানোয়ার হোসেনকে (৪৪) গ্রেপ্তার করেছে এন্টি টেররিজম ইউনিট (এটিইউ)। এন্টি টেররিজম ইউনিটের একটি দল গোপন সংবাদের ভিত্তিতে শনিবার ১৬ এপ্রিল সন্ধ্যায় বিশেষ অভিযান চালিয়ে নওগাঁ জেলার পত্নীতলা থানার নজিপুর এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে।

এন্টি টেররিজম ইউনিটের পুলিশ সুপার মোহাম্মদ আসলাম খান বলেন, গ্রেপ্তার সানোয়ার হোসেন চাঁপাইনবাবগঞ্জের নাচোল উপজেলার মল্লিকপুর এলাকার চাঁদপাড়ার মৃত. এরশাদ আলীর ছেলে। বেশ কিছুদিন ধরে এন্টি টেররিজম ইউনিট চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলার নাচোল থানায় ২০১২ সালের ২৬ এপ্রিল দায়ের ১৬নং মামলার মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত পলাতক আসামি সানোয়ার হোসেনের ওপর নজরদারি শুরু করে।

এক পর্যায়ে এটিইউর একটি চৌকস দল জানতে পারে, সানোয়ার হোসেন নওগাঁর পত্নীতলা থানার ছোট চাঁদপুর এলাকায় আব্দুল্লাহ নামে আত্মগোপন করে আছে। সেখানে তিনি রাজমিস্ত্রী হিসেবে কাজ করেন এবং পাশাপাশি ভেড়া লালন-পালন করেন। ওই তথ্যের ভিত্তিতে শনিবার সন্ধ্যায় এটিইউ দল ইসাবা গ্রুপের সদস্য সানোয়ার হোসেনকে গ্রেপ্তার করে।

গ্রেপ্তার সানোয়ার হোসেন ২০০০ সালের পরে শায়খ আব্দুর রহমানের নেতৃত্বে জেএমবির সদস্যভূক্ত পায়। তখন তিনি হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসক হিসেবে নাচোল ও গোমস্তাপুরে জেএমবির প্রধান হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। ২০০৭ সালে ২৯ মার্চ শায়খ আব্দুর রহমানের কুমিল্লা কেন্দ্রীয় কারাগারে ফাঁসির কিছু দিন পর মাওলানা সাইদুর রহমান জেএমবির আমির হয়। পরবর্তীতে তারা তাদের কার্যক্রম অব্যাহত রাখে। তাদের আন্তঃকোন্দলের কারণে ২০১২ সালের ২৬ এপ্রিল জেএমবির স্বঘোষিত আমির সালমানকে চাঁপাইনবাবগঞ্জের নাচোল থানার খুলশী বোরিয়া আমবাগান এলাকায় কৌশলে ডেকে নিয়ে গিয়ে দেহ থেকে মাথা বিচ্ছিন্ন করে হত্যা করে। তার মাথা ও দেহ দুই জায়গায় ফেলে দেয়। পরবর্তীতে গ্রেপ্তার আ. শাকুর ও জাহাঙ্গীরের দেওয়া তথ্য মতে, মহানন্দা নদীর তীর থেকে পুঁতে রাখা সালমানের মাথাটি উদ্ধার করা হয়।

গ্রেপ্তার সানোয়ার হোসেন ১০ বছর ধরে চাঁপাইনবাবগঞ্জ ও নওগাঁ জেলার বিভিন্ন এলাকায় আত্মগোপনে থেকে পুরাতন জেএমবিকে সক্রিয় করার চেষ্টা চালাচ্ছিলেন। তার বিরুদ্ধে চাঁপাইনবাবগঞ্জের নাচোল থানায় সন্ত্রাস বিরোধী আইনে দুটি গ্রেপ্তারি পরোয়ানা আছে। তাছাড়া গোমস্তাপুর থানার একটি মামলায় অভিযুক্ত তিনি। তার বিরুদ্ধে পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।

সংবাদটি শেয়ার করুন


এই বিভাগ থেকে পড়ুন