কিংবদন্তি ফুটবলার দিয়েগো ম্যারাডোনার স্মরণে অনুষ্ঠিত ফাইনালিসিমার ম্যাচে আর্জেন্টিনার কাছে পাত্তাই পেল না চারবারের বিশ্বচ্যাম্পিয়ন ইতালি। মেসি ঝলকে এবং লাওতারো মার্টিনেজ, অ্যাঞ্জেল ডি মারিয়া ,পাওলো দিবালার গোলে রবার্তো মানচিনির শিষ্যদের ৩-০ গোলের দাপুটে জয়ে চ্যাম্পিয়নদের চ্যাম্পিয়ন হলো লিওনেল মেসির আর্জেন্টিনা।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়েছে একটা ছবি, লিওনেল মেসিকে ঘিরে ধরেছেন জর্জো কিয়েল্লিনিসহ ইতালির চারজন খেলোয়াড়। মেসিকে আটকাতে তাঁর জার্সিও টেনে ধরেছেন কিয়েল্লিনি। যে কয়েকটা ম্যাচজুড়ে এমন অনেক ছবিই রচিত হয়েছে। যার বেশির ভাগেরই শেষে বিজয়ীর নাম লিওনেল মেসি। আজকের ম্যাচেও এই চিত্রের ফলাফল গোল । এমন ঘটনা ম্যাচের ২৭ মিনিটে । মেসি সফল হলেন ঐ মিনিটেই ইতালির পেনাল্টি বক্সের বাঁ প্রান্ত থেকে রক্ষণচেরা এক পাস দিলেন লাউতারো মার্তিনেজকে। ডান পায়ের আলতো ছোঁয়ায় আর্জেন্টিনাকে এগিয়ে দিলেন তিনি।
৪৪ মিনিটে লাউতারো মার্তিনেজের অসাধারণ এক থ্রু পাস থেকে আনহেল দি মারিয়ার গোলে ২-০ গোলে এগিয়ে যায় আর্জেন্টিনা। ২-০ গোলে এগিয়ে থেকে দ্বিতীয়ার্ধ শুরু করা আর্জেন্টিনা ইতালিকে যেন আরও চেপে ধরতে চাইল। টানা দ্বিতীয়বারের মতো বিশ্বকাপের বাছাইপর্ব উতরাতে না পারা ইতালি এ ম্যাচে ঘুরে দাঁড়ানোর যে সংকল্প নিয়ে এসেছিল, তা কোনো পাত্তাই পেল না আর্জেন্টিনার দারুণ ফুটবলের কাছে। দ্বিতীয়ার্ধ শুরু থেকেই একের পর এক আক্রমণে ইতালিকে রীতিমতো বিপর্যস্ত করে ফেললেন মেসিরা। যা বলা চলে বাংলা প্রবাদের মতো ‘একপ্রকার ছেলে খেলা’ ।
ম্যাচের শেষ মুহূর্তে মেসির পাস থেকে আর্জেন্টিনার তৃতীয় গোলটি করেন পাওলো দিবালা ।
মেসি দেখা দিয়েছেন মেসির রূপে। এই ম্যাচে আলাদা করে নজর কেড়েছেন দি মারিয়া। ৪৯ থেকে ৬১ এই ১২ মিনিটে তিনটি গোলের সুযোগ তৈরি করেছে আর্জেন্টিনা। তিনটি আতঙ্ক ধরিয়েছে দি মারিয়ার মাধ্যমে। ৪৯ ও ৫৯ মিনিটে দি মারিয়ার বাঁ পায়ের দুর্দান্ত দুটি শট দারুণ দক্ষতায় বাঁচিয়েছেন ইতালির গোলকিপার জিয়ানলুইজি দোন্নারুম্মা। ৬১ মিনিটে দি মারিয়ার অসাধারণ বাঁকানো শটও গোলে ঢুকতে পারেনি দোনারুম্মার কারণেই। তিনটি সুযোগের দুটিই তৈরি হয়েছিল মেসির অসাধারণ ড্রিবলিং থেকে।