মেসবাহ উদ্দিন মিহিরঃ রাস্তার মোড়ের ঝালমুড়ি, আচার কিংবা টঙ দোকানগুলোর দিকে একটু লক্ষ্য করলে দেখা যায়, দোকানী এসব খাবার পরিত্যক্ত বই-খাতা কিংবা খবরের কাগজে মুড়ে দিচ্ছে। ক্রেতারাও খুশিমনে এই প্রক্রিয়ায় খাবারের স্বাদ আস্বাদন করে। অথচ এ সামান্য অসচেতনতাই আমাদের স্বাস্থ্যঝুঁকি বাড়িয়ে ক্যান্সারের মতো জটিল রোগে আক্রান্ত হওয়ার পথ সুগম করছে। এক্ষেত্রে দোকানী যে কাগজগুলো ব্যবহার করছে তা মূলত ছাত্র-ছাত্রীদের জমানো অপ্রয়োজনীয় বই-পুস্তক অথবা পুরোনো খবরের কাগজ। এসব পরিত্যক্ত কাগজে ধুলো-বালি ও রোগ-জীবাণু জমে থাকে। তদুপরি এসব বই বা খবরের কাগজে প্রিন্টিংয়ের জন্য ব্যবহৃত কালিতে বিভিন্ন রাসায়নিক পদার্থ যেমন রং, প্রিজারভেটিভ, পিগমেন্ট, প্যাথজেনিক মাইক্রো অর্গ্যানিজম ইত্যাদি পেটে গেলেও বড় ধরণের স্বাস্থ্যঝুঁকি সৃষ্টি হতে পারে।
স্বাস্থ্যসম্মত খাবারও যখন খবরের কাগজে কিংবা পরিত্যক্ত বই-খাতা দিয়ে তৈরি ঠোঙায় পরিবেশন করা হয়, তখন কাগজে ব্যবহৃত কালি খাবারের সাথে লেগে বদ হজম, পেট ব্যাথাসহ নানান রোগের সৃষ্টি করে। এমতাবস্থায় সচেতনতাই পারে এই ভয়ংকর স্বাস্থ্যঝুঁকি থেকে আমাদের বাঁচাতে। তাই ক্রেতা এবং বিক্রেতাকে এসব অপরিচ্ছন্ন, কালিযুক্ত মোড়কে খাবার পরিবেশন বন্ধে সতর্ক করতে হবে। বিক্রেতাকে ক্ষতির ব্যাপারে অবহিত করে ব্যবহারোপযোগী ফুড গ্রেড পেপার অথবা পরিষ্কার কাগজের ঠোঙার ব্যবহার নিশ্চিত করার মাধ্যমে এই সমস্যা হতে পরিত্রাণ পাওয়া সম্ভব। এক্ষেত্রে শাস্তিযোগ্য অপরাধ হিসেবে যথাযথ পদক্ষেপ গ্রহণ ও প্রয়োজনে ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে তদারকি করা যেতে পারে।
লেখক- শিক্ষার্থী, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ও সদস্য, বাংলাদেশ তরুণ কলাম লেখক ফোরাম, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়।