fbpx
সংবাদ শিরোনাম
সৌদি আরবের জেদ্দায় ফ্লাইট শুরু করতে যাচ্ছে ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্স তীব্র তাপদাহেও গ্রীষ্মের সৌন্দর্য অমলিন ঢাকা মহানগর ছাত্রলীগের উপ-কর্মসূচি ও পরিকল্পনা সম্পাদক হলেন প্রিয়ন ফুলছড়িতে প্রার্থীর প্রচার-প্রচারণায় জমে উঠেছে নির্বাচনী আমেজ বৈষম্যের প্রতিবাদে সারাদেশের ন্যায় কর্মবিরতিতে মাগুরা পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি ডুমুরিয়ায় নিসচা’র নতুন কমিটির পরিচিতি সভা অনুষ্ঠিত নরসিংদীর রায়পুরা উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে ১০ প্রার্থীর মনোনয়ন দাখিল হযরত আয়েশা সিদ্দিকা রা. কওমী মাদ্রাসা উদ্বোধন টাইমস হায়ার এডুকেশন র‌্যাঙ্কিংয়ে দেশে তৃতীয় স্থানে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় মণিরামপুরে আসন্ন উপজেলা নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদ প্রার্থী থেকে সরে দাড়ালেন মিকাইল হোসেন

শাওয়ালের ছয় রোযা

                                           
এইচ এম এম ছাব্বির হুসাইন
প্রকাশ : মঙ্গলবার, ১০ মে, ২০২২

নিজস্ব প্রতিবেদকঃ ইবাদতের বসন্ত কাল রমজান মাস সদ্য অতিবাহিত হয়েছে। রমজান মাস আমাদের শিক্ষা দিয়েছে কিভাবে নফ্সের কু-প্রবিত্তি দমন করে আল্লাহর নৈকট্য অর্জন করা যায়। রমজানের পরের মাস হলো শাওয়াল। এই মাসের প্রথম দিন বছরের প্রথম ঈদ, যেটা রোযার ঈদ বা ঈদুল ফিতর হিসেবে পরিচিত।
ঈদের আমেজে উম্মত যেন ইবাদতের কথা না ভুলে যাই বা উৎসব আনন্দে মুসলমানগণ যাতে রমজানের মহৎ শিক্ষাটা ভুলে না যায়, সে জন্যই তো রাসুলে আরাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এ মাসে ছয়টি রোজা রাখতে উম্মতকে উৎসাহিত করেছেন। গ্রাম বাংলার মানুষ এই রোযাকে সাক্ষী রোযা বলে, যদিও এটার কোন ভিত্তি নেই। শাওয়ালের এই ছয়টি রোযার ফযিলত রয়েছে অনেক।
হযরত আবু আইয়ুব আনসারী রা: হতে বর্ণিত তিনি বলেন রাসূলে আরাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এরশাদ করেছেন “যে ব্যক্তি রমজানের রোযা রাখে অতঃপর শাওয়ালের ছয়টি রোযা রাখে সে যেন সারা বছর জুড়ে রোযা রাখলো” (সহীহ মুসলিম)।
চন্দ্র মাস হিসেবে তিন শ’ চুয়ান্ন বা পঞ্চান্ন দিনে একবছর হয়। এই হাদীসের ব্যাখ্যায় উলামায়ে কেরাম বলেছেন, প্রতিটি ভালো কাজের প্রতিদান আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তায়ালা দশগুন দিয়ে থাকেন। এই হিসেবে রমজানের ত্রিশ রোযা দশগুন করলে রোযা হয় তিন শ’। সুতরাং এখন ছয়টি পূর্ণাঙ্গ রোযার প্রয়োজন হয় তা হলো শাওয়ালের এই ছয় রোযা। অতএব বুঝা যায় যে কেবল মাত্র এই ছয়টি রোযা রাখলে বা শুধু মাত্র রমজানের রোযা রাখলে একবছর রোযা রাখার সওয়াব পাওয়া যাবে না। পূর্ণ সওয়াব পেতে হলে রমজানের সম্পুর্ণ রোযা রাখার পাশাপাশি শাওয়ালের ছয় রোযা আদায় করতে হবে।
বরকতময় এই ছয় রোযার কথা হাদীস শরীফে মুতলাক ভাবে বলা হয়েছে (শর্তহীন ভাবে)। সুতরাং শাওয়ালের যেকোনো সময় এই রোযা রাখা যায়, অর্থাৎ প্রথমে, শেষে বা মাঝখানে। ধারাবাহিক ভাবে বা বিরতি দিয়ে যেভাবে ইচ্ছা হয় সেভাবেই আদায় করতে পারবে, তাতে সওয়াবের কোন ঘাটতি হবে না।
শাওয়াল মাসের প্রথমদিকে, মাঝামাঝি দিনগুলোতে অথবা শেষদিকে এই রোজা রাখা যায়, আবার একাধারে ছয়দিন অথবা একদিন রোজা রেখে তারপর একদিন বা দু’দিন বিরতি দিয়ে যে কোনোভাবে রোজা রাখা যাবে। শাওয়াল মাসের মধ্যে ছয়টি রোজা রাখলেই হাদিসে বর্ণিত সওয়াব পাওয়া যাবে, ইনশাল্লাহ। শাওয়ালের ছয়টি রোযাকে উলামায়ে কেরাম “মুস্তাহাব” বলেছেন। তাই এই রোযার নিয়ত সেহরির সময় বা সূর্য উদয়ের পুর্বে করতে হবে (ফতোয়ায়ে শামী)
লেখক: মুতাআল্লীম ছারছীনা জামেয়া এ নেছারীয়া দীনিয়া।
সংবাদটি শেয়ার করুন


এই বিভাগ থেকে পড়ুন