fbpx
সংবাদ শিরোনাম
ছাত্রলীগের উদ্যোগে রাবিতে বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কবি জসীম উদদীন হল ছাত্রলীগের উদ্যোগে বৃক্ষরোপণ আমিও সুখী ছিলাম বিশ্বের শীর্ষ বিজ্ঞানীদের তালিকায় স্থান করে নিয়েছেন মেহেরপুরের গাংনীর সন্তান রাইট টক বাংলাদেশ মেহেরপুর জেলা শাখার আংশিক কমিটি প্রকাশ শ্যালক রুবেলকে নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ানোর নির্দেশ দিলেন প্রতিমন্ত্রী কালুখালীতে প্রাণিসম্পদ সেবা সপ্তাহ ও প্রদর্শনী প্রাণিসম্পদ দপ্তর ও ভেটেরিনারি হাসপাতালের আয়োজনে দিনব্যাপী প্রাণিসম্পদ প্রদর্শনী দিনব্যাপী প্রাণী সম্পদ প্রদর্শনী মেলা অনুষ্ঠিত পিএসসি’র সদস্য হওয়ায় প্রদীপ কুমার পাণ্ডেকে রাবি গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের অভিনন্দন

নরসিংদীতে মরা নদীর তীরে অষ্টমী স্নানে ভক্ত পূণ্যার্থীদের ঢল

                                           
নরসিংদী জেলা প্রতিনিধি
প্রকাশ : মঙ্গলবার, ১৬ এপ্রিল, ২০২৪

নরসিংদীর রায়পুরায় মেঘনার শাখা মরা নদীর তীরে ঐতিহ্যবাহী পাগলনাথ মন্দির ঘাটে অষ্টমী স্নান ও গ্রামীণ মেলা হয়েছে। এ সময় দুর দুরান্ত থেকে আগত ভক্ত পূণ্যার্থীদের ঢল নামে।

মঙ্গলবার ১৬ এপ্রিল ভোর রাত থেকে সারাদিন পৌর তাত্তাকান্দা পাগলনাথ তীর্থ স্নান ঘাটে এ স্নান ও মেলা হয়।
মঙ্গলবার সকালে সরেজমিনে গিয়ে জানা গেছে, সনাতন ধর্মমতে পাপ মোচনের আশায় ‘ অষ্টম তৃথীর’ ভোর থেকে মেঘনা নদী ঘাটে স্নান শেষে মন্ত্রপাঠ করতে সমবেত হন ভক্ত ও পূণ্যার্থীরা। তাদের আগমনে পূর্ণাত্তিদের ঢল।
স্নান শেষে আগত ভক্তরা পূর্বপুরুষদের সর্গীয় আত্মার শান্তি মঙ্গল কামনায় এবং পূন্যলাভের আশায় পোরুহীতদের মাধ্যমে ভগবানের নিকট মঙ্গলবার কামনা করছেন। রায়পুরার অষ্টমীর স্নান শেষে পুণ্যার্থীরা স্কুল মাঠে ভেজা কাপড় শুকাচ্ছে পাশে গাছ তলায় বসে খাবার খাচ্ছেন অনেকে।
জানা গেছে, অষ্টমী তিথিতে পুণ্যস্নান সম্পন্ন করেন সনাতন ধর্মাবলম্বীরা। মেঘনার শাখা মরা নদীর তীরে তাত্তাকান্দা এলাকাটি তাঁরা তীর্থস্থান হিসেবে বিবেচনা করেন। হিন্দুধর্মমতে, এটি পুণ্য কর্ম এবং এই স্নানের মাধ্যমে তাঁদের পাপমোচন হয়। এ উপলক্ষে মন্দির এলাকায় ও স্থানীয় স্কুল মাঠে গ্রাম্য মেলা বসেছে। এটি সনাতন ধর্মীয় অনুষ্ঠান হলেও সকল ধর্মের মানুষের মিলন মেলায় পরিনত হয়। এ ছাড়াও দিনব্যাপী নানান আচার অনুষ্ঠান হয়ে থাকে।

আয়োজকেরা জানান, অষ্টমীর স্নান উপলক্ষে ঘাট এলাকায় দিনব্যাপী স্নান ও মেলার আয়োজন থাকে। পাপমোচনের অভিপ্রায়ে প্রতিবছর জেলা ও জেলার বাইরে থেকে পুণ্যার্থী জড়ো হন। এলাকায় পর্যাপ্ত নিরাপত্তার ব্যবস্থা নিয়েছে প্রশাসন।

পাগলনাথ মন্দির পরিচালনা কমিটির সভাপতি সঞ্জয় পাল বিটু বলেন, প্রায় শত বছরের অধিক কাল থেকে উক্ত স্থানে স্নান অনুষ্ঠান চলে আসছে। সকলের সহযোগিতা পেলে আগামীতে আকর্ষণীয় পূণ্য তীর্থ স্থানে পরিনত হবে এমনটাই আশা করি।
এখানে শ্রীকৃষ্ণের জন্মাষ্টমী, রাধা অষ্টমী,শিব চতুর্দশী, অন্নপ্রসাদ উৎসব, বালি পূজা, শ্যামা পূজা, কালী পূজা, দোল পূর্ণিমাসহ বিভিন্ন আচার অনুষ্ঠান হয়ে থাকে। এখানে সপ্তাহে একদিন হরিসভা হয়।
আগত আরসি দাস, কমল চন্দ্রসহ অনেকে বলেন, ‘প্রতিবছর এখানে পরিবার ও আত্মীয়স্বজন মিলে স্নান করতে এসেছি। নদে স্নান করলে সব পাপমোচন হয়। এটি পুণ্যার্থীদের জন্য পবিত্র দিন। এ বছর অষ্টমীর স্নানে পুণ্যার্থীর আগমন ঘটে।’

আগত ভক্ত সাধন দাশ বলেন, মেঘনা নদীর তীরবর্তী বিশাল বটবৃক্ষের মাঝে পাগলনাথ বাবার মন্দিরের মনোমুগ্ধকর পরিবেশ আসতে পেরে খুবই আনন্দিত। পাপ মোচন এর আশায় দূরদূরান্ত থেকে হাজারো পূণ্যার্থীরা মনোবাসনা পূর্ণ করতে এখানে আসেন।

সংবাদটি শেয়ার করুন


এই বিভাগ থেকে পড়ুন