fbpx

“কুবি শিক্ষার্থী ফাহিমের উদ্যোক্তা হয়ে ওঠার গল্প”

                                           
রাফাত মিয়া
প্রকাশ : শুক্রবার, ১৫ এপ্রিল, ২০২২

কুবি প্রতিনিধিঃ কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের রসায়ন বিভাগের তৃতীয় বর্ষের মেধাবী শিক্ষার্থী ফাহিম।

উত্তরবঙ্গের বগুড়া জেলা থেকে আসা ফাহিম কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ে ২০২১ সালের মে মাস থেকে নিজ উদ্যোগে শুরু করেছেন বগুড়া থেকে নিয়ে আসা দই,ছানা,ঘি সহ সকল ঐতিহ্যবাহী রুচিশীল খাবার।দিয়ে থাকেন হোম ডেলিভারিও ।

এ বিষয়ে ফাহিমের সাথে কথা বলতে গিয়ে…

*দইয়ের সরবরাহ এবং ব্যবসা কবে থেকে শুরু করলেন ?

– করোনা কালীন সময়ে লকডাউনের মধ্যে ভাবলাম অবসরেই আছি কিছু করা দরকার,অনেকই দেখলাম অনেক কিছু নিয়ে কাজ করছে। ২০২১ সালের মে মাসের দিকে ভাবলাম ফেসবুকে একটা পোস্ট দিয়েই দেখি সাড়া কেমন । পোস্ট দিলাম,আলহামদুলিল্লাহ প্রথম দিনেই ৩২ টা অর্ডার পেলাম, তখন থেকেই শুরু।

*এই ব্যবসা নিয়ে আপনার ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা কি?

-চাকরির চেয়ে আমি মনে করি ব্যবসায় মুনাফা বেশি । আমার শুভাকাঙ্ক্ষীরা বলে, নিজে কিছু করে অন্যদের চাকরির ব্যবস্থা করার মতো উদ্যোক্তা হতে এবং তুমি নিজেই অন্যকে চাকরি দিবে,চাকরির পেছনে ঘুড়তে হবে না ।কিন্তু প্রথমের দিকে আমার এ উদ্যোগ আমার পরিবার খুব বেশি পছন্দ করতো না,এখন সবাই প্রশংসা করে । তাই এখান থেকে শিক্ষা নিয়ে সামনে বড় পরিসরে বিজনেস করার পরিকল্পনা আছে।

*ক্রেতাদের কেমন সাড়া পাচ্ছেন?

-আলহামদুলিল্লাহ্ অনেক ভালো সাড়া পাচ্ছি । শুধু গত মাসেই ১০০০+ কাপ দই বিক্রি হয়েছে।সাথে মাঝারী বড় দই তো আছেই । এভাড়াও বিভিন্ন ডিপার্টমেন্টের বিভিন্ন প্রোগ্রামে দই অর্ডার করছে।

*আপনার পণ্য কোথায় কোথায় সরবরাহ করে থাকেন ? বগুড়া থেকে বাসে সরাসরি যোগাযোগ ব্যবস্থা আছে এমন সব জেলাতেই দই সাপ্লাই দিয়ে থাকি । প্রথমত ক্যাম্পাস এবং কুমিল্লা শহরের প্রাণকেন্দ্র কান্দিরপাড়ে চাহিদানুযায়ী বেশি সরবরাহ হয়ে থাকে ।

*পণ্য কিভাবে সংরক্ষণ করেন ?

-সংরক্ষণ করতে হয় না আর সাধারণত বগুড়ার দই ২৪থেকে ৪৮ ঘন্টা কোন প্রক্রিয়াকরণ ছাড়াই ভালো থাকে । যেহেতু প্রি-অর্ডার থাকে তাই সকালে রিসিভ করার পর সুবিধাজনক সময়ের মধ্যে ডেলিভারি দিয়ে দেই । তবে আগামী তে সংরক্ষন করে সব সময় বিক্রি করার পরিকল্পনা আছে ।

*আপনার মূল ‘পলিসি’ কি?

ক্রেতাকে সন্তুষ্ট করা, কম লাভে বেশি বিক্রি করা।

কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থী থেকে শুরু করে সকলের মুখে দইয়ের প্রশংসা, যেন উত্তরবঙ্গের ঐতিহ্য ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের আনাচে কানাচে।

ফাহিমের দই বিক্রি যেমন তাকে স্বাবলম্বী করছে পাশাপাশি তিনি নিজ অঞ্চলের ঐতিহ্য রক্ষায় প্রশংসনীয় অবদান রেখে যাচ্ছেন ।

বিশ্ববিদ্যালয়ের যেকোনো অনুষ্ঠান আয়োজন কিংবা ক্রেতাদের চাহিদার ভিত্তিতে তিনি নিয়ে আসেন দই,ছানা,ঘি সহ বগুড়ার ঐতিহ্যবাহী সবকিছুই ।

প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষার তীব্র প্রতিযোগিতার ক্রান্তি লগ্নে উদ্যোক্তা ফাহিমের উদ্যোগটি প্রশংসনীয় এবং রুচিশীল ।

সংবাদটি শেয়ার করুন


এই বিভাগ থেকে পড়ুন