fbpx
সংবাদ শিরোনাম
সৌদি আরবের জেদ্দায় ফ্লাইট শুরু করতে যাচ্ছে ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্স তীব্র তাপদাহেও গ্রীষ্মের সৌন্দর্য অমলিন ঢাকা মহানগর ছাত্রলীগের উপ-কর্মসূচি ও পরিকল্পনা সম্পাদক হলেন প্রিয়ন ফুলছড়িতে প্রার্থীর প্রচার-প্রচারণায় জমে উঠেছে নির্বাচনী আমেজ বৈষম্যের প্রতিবাদে সারাদেশের ন্যায় কর্মবিরতিতে মাগুরা পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি ডুমুরিয়ায় নিসচা’র নতুন কমিটির পরিচিতি সভা অনুষ্ঠিত নরসিংদীর রায়পুরা উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে ১০ প্রার্থীর মনোনয়ন দাখিল হযরত আয়েশা সিদ্দিকা রা. কওমী মাদ্রাসা উদ্বোধন টাইমস হায়ার এডুকেশন র‌্যাঙ্কিংয়ে দেশে তৃতীয় স্থানে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় মণিরামপুরে আসন্ন উপজেলা নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদ প্রার্থী থেকে সরে দাড়ালেন মিকাইল হোসেন

হারিয়ে যাচ্ছে ঐতিহ্যবাহী শীতল পাটি 

                                           
মোসফিকা আক্তার
প্রকাশ : বৃহস্পতিবার, ২০ মে, ২০২১
হারিয়ে যাচ্ছে ঐতিহ্যবাহী শীতল পাটি 

শীতল পাটির হিম পরশে শরীর জুড়ায় সে শীতল পাটি আজ বিলুপ্তির পথে। ফলে একদিকে যেমন হারাতে বসেছে স্থানীয় ঐতিহ্য, তেমনি অন্য দিকে আর্থিক দুরবস্থার পড়ছেন পাটিকররা। যারা পাটি বোনে। নিপুণ হাতে বোনা নানা কারুকার্যের এ শীতল পাটির এক সময় কদর ছিল দেশের গ্রামে- ছাড়িয়ে বাইরে ও।

সেই পাটিকরদের অনেকেরই এখন দুমুঠো আহার জুটছে না।শীতল পাটির কেবল বিছানার পেতে শুয়ে আরামের জন্যই ব্যবহার হয় না বরং রুচি সমমত এপাটি দিয়ে বাতির শেট,জাইনি,টেবিলের শ্যাট,কার্পটের বদলে নকশী মাদুর স্যুাটকেস,ব্যাগ,ওয়ালম্যাট ইত্যাদি নানা সাজসজ্জার কাজে ও ব্যবহার হয়।

বাংলা কুটির শিল্পের একটি ঐতিহ্য শীতল পাটি ইহা এক ধরনের মেঝেতে পাতা আসন। এই পাটি বাঙালির ঘরে ঘরে আবহমানকাল থেকে শোভা পাচ্ছে। শীতল পাটির বাংলাদেশ এক প্রকার হস্তশিল্প। বেত বা মুর্তা বা মোস্তাক বৈজ্ঞানিক নাম Schumanninthus diehotmus) নামক গুল্ম জাতীয় উদ্ভিদের ছাল থেকে এগুলো তৈরি হয়ে থাকে। শহরের শো পিস এবং গ্রামে এটি মাদুর অথবা চাদরের পরিবর্তনে ব্যাপকভাবে ব্যবহার করা হয়। শীতল পাটির ইতিহাস অচ্যুতচরণ চৌধুরী তত্ত্বনিধি( জন্ম ঃ১৮৬৫ খ্রি মৃত্যু ১৯৫৩ খ্রি) কর্তৃক বিরাচিত এবং ১৯২০ এর দশকে প্রকাশিত শ্রীহট্রের

ইতিবৃত্ত ” নামীয় বিশালকার গ্রন্হের প্রথম খন্ডের ৪র্থ অধ্যায়ে শীতল পাটি সম্পর্কে নিম্নরূপ বর্ণনা পাওয়া যায়” এই শিল্পের মধ্যে শীতল পাটি সর্বপ্রধান ও বিশেষ বিখ্যাত। মূর্তা নামক এক জাতীয় গুল্মের বেত্র দ্বারা ইহা প্রস্তত হয়। ইহা শীতল মসৃণ ও আরামজনক বলিয়া সর্বত্র আদৃত। বঙ্গদেশের অন্য কোথাও এইরূপ উৎকৃষ্ট পাটি প্রস্তত হইতে পারে না।

হারিয়ে যাচ্ছে গ্রাম বাংলার ঐতিহ্যবাহী বিনাদন বায়োস্কোপ

পাটির বেত্র রজ্ঞিত ক্রমে পাশা দাবা প্রভূতি বিবিধ খেলার ছক ইত্যাদি চিত্রিত করা হয়।পাটির মূল্য গণনানুসারে ১০ আনা হইতে ১০ টাকা পযর্ন্ত হইতে পারে। বেত্র যত চিরুণ হয় মূল্য ততই বর্ধিত হয়। পূর্বে নবাবের আমলে ২০-২৫ টাকা হইতে ৮০-৯০ টাকা এমন কি শত দ্বিশত টাকা পযর্ন্ত মূলোর পাটি প্রস্তত হইত বলিয়াও শুনা যায়।২০-২১ হাত দীর্ঘ পাটিকে সফ বলিয়া থাকে।

ইট ও চোঁয়ালিশ পরগনাতেই সর্বোচ্চৎকৃষ্ট শীতল পাটি প্রস্তত হয়।পাটি প্রস্ততকারকগন পাটিয়ারা দাস নামে খ্যাত।১৮৭৬-৭৭খ্রষ্টাব্দে শ্রীহট্র হইতে ৩৯২৭ টাকা মূলোর পাটি রপ্তানি হইয়াছিল।যে গুল্ম জাতীয় থেকে শীতল পাটি তৈরি করা হয় তার স্হানীয় নাম মুর্তা,মুক্তা,পাটিবেত ইত্যাদি এগুলো সাধারণত সরু বাঁশ এর মতো,জন্মায় ঝোপ আকারে। প্রথমে মুর্তা গাছের ছাল গুলো রোদ এ শুকায় যাতে পাটি মজবুত হয়।

দুটি বেত নিয়ে মাঝখানে ভাঙ্গা দিয়ে চারটি বেত বানিয়ে বুনন শুরু করে এক কোনা থেকে। আসতে আসতে ২ কোনা ৩ কোনা তারপর সর্বশেষ ৪ কোনাতৈরী হয়। এটি একটি জনপ্রিয় পাটি। তুলনা মূলক গরমের দিনে এর ব্যবহার বেশি।

কেননা এই পাটিতে শুলে শরীর শীতল হয়ে যায়।তাই সাধারণত গরমকে নিবারনের জন্য এই পাটি ব্যবহার করা হয়।কিন্তু এখন এই পাটি বিদেশে ও রপ্তানি হচ্ছে এবং এই পাটি নিয়ে অনেক কিছু তৈরী হচ্ছে এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো ব্যাগ বিভিন্ন ধরনের শিল্প দ্রব্য। এই পাটি ও একটি প্রাচীন শিল্পচার্য কিন্তু ধীরে ধীরে তা বিলিন হয়ে যাচ্ছে নানা কারণে শীতল পাটি হারিয়ে যেতে বসছে।

সংবাদটি শেয়ার করুন


এই বিভাগ থেকে পড়ুন