সরেজমিনে হাকালুকি হাওরে গিয়ে মৎস্যজীবিদের অনেকের সাথে কথা হলে তারা এ প্রতিবেদক কে বলেন, আগামীতে এ প্রজাতির মাছ একেবারেই না পাওয়ারই সম্ভাবনা।এ জাতীয় মাছের বংশ বিস্তার বা রক্ষার লক্ষ্যে মৎস্য বিভাগের কোনো উদ্যোগ নেই।যার ফলে, হাকালুকি হাওর,বিল, জলাশয়ের অতি পরিচিত প্রজাতির রাণী মাছ আজ বিলুপ্তি হওয়ার পথে। ফলজ,বনজ ও জলজ সম্পদে পরিবেষ্টিত প্রাকৃতিক সৌন্দর্যে ভরপুর, ভ্রমণ পিপাসু পর্যটকদের আকর্ষণীয় স্থান ওই হাকালুকি হাওর।এ হাওর ও জলাশয় থেকে সারা বছরই মাছ ধরা হয়।হাকালুকি হাওর,বিলসহ আশপাশের জলাশয় ও মৎস্য ভান্ডারগুলোতে নানা প্রজাতির মাছ জন্মে।মাছের বংশ বিস্তারের লক্ষ্যে উপজেলা মৎস্য বিভাগের উদ্যোগে বিভিন্ন স্থানে অভয়াশ্রম গড়ে তোলা হয়েছে। তেলাপিয়া, কার্পো, রুই, কাতলাসহ ওই জাতীয় মাছের উৎপাদন ও বংশ বিস্তারে মৎস্য বিভাগ বিভিন্ন ধরনের উদ্যোগ নিলেও দেশীয় স্থানীয় প্রজাতির মাছের বংশ রক্ষায় তেমন উদ্যোগ নিতে দেখা যায়নি।
উপজেলা মৎস্য বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, হাকালুকি হাওরসহ বিভিন্ন বিল ও জলাশয় থেকে ২৩ জাতের দেশীয় প্রজাতির মাছ বিলুপ্ত হয়ে যাচ্ছে। ওই জাতীয় মাছের বংশ রক্ষায় কোনো পদক্ষেপ গ্রহণ না করায় নতুন প্রজন্মের অনেকেই ওই সব মাছ সম্পর্কে পরিচিত হতে পারছেনা। তন্মধ্যে একটি হচ্ছে রাণী মাছ।রাণী মাছ জুড়ীসহ বৃহত্তর সিলেটের মানুষের কাছে বেশ পরিচিত। খেতে সুস্বাদু হওয়ায় অনেকে বেশী দামে এ মাছ ক্রয় করতে আগ্রহী।মাত্র এক যুগ আগেও এ সময়ে জুড়ীর বিভিন্ন হাটবাজারে রাণী মাছের ব্যাপক বেচা-কেনা ছিলো।ধীরে ধীরে এ প্রজাতির মাছের সংখ্যা কমতে থাকায় অতি পরিচিত রাণী মাছ আজ অনেকটা হারিয়ে যাচ্ছে।
এ ব্যাপারে অত্র অঞ্চলের মৎস্যজীবিদের সাথে কথা হলে, অনেকের অভিমত অন্যান্য মাছের মতো রাণী মাছ চাষে সরকারিভাবে উদ্যোগ নেয়া হলে হাকালুকি হাওরসহ আশপাশের জলাশয়গুলো আবারো অতীতের ন্যায় রাণী মাছ ভরে উঠবে।
জালালুর রহমান, মৌলভীবাজার জেলা প্রতিনিধি/দৈনিক দেশান্তর।