fbpx

নরকের কারাগার; মো.রিয়াদুল ইসলাম

                                           
প্রকাশ : শনিবার, ৮ মে, ২০২১

নরকের কারাগার

মো.রিয়াদুল ইসলাম

এই তো সেইদিন!

এ পিঞ্জরার সকল রাগ,অভিমান গুলারে যতনের মোড়ক দিয়া ভালোবাসতাছিলা।

মরনের আগ পর্যন্ত ভালোবাসা দিবা কইয়া কইয়া কতই না ভালোবাসতাছিলা।

তোমার ভালোবাসা পাওনের লাইগা
অবুঝ পরাণের ভিতর ভালোবাসার একটা কুটির তৈয়ার হইতাছিলো।

অন্তরের অভিমান,তাহার সাথে থাকা দুঃখ বেদনাগুলোরে কত্ত কইতাম,

“এইতো কদিন পরেই তগো মুক্তি,
তাহার ভালোবাসায় তগোরে মুক্তি দিবো”।

পরানের শুকনা জমিতে সুখের বীজ ফালাইলাম।

নিভাইবা কইয়া কইয়া চাইরপাশের হারা দুঃখ কষ্টের আগুনে তুমি পানি ফেলাইতাছিলা।

কিন্তু একদিন চাইয়া দেহি তোমার পিরিতের নামে দেয়া পানিগুলান খুব গরম।

এইগুলো স্বার্থের রূপে গরম হইয়া অন্তরের সাদা চামড়াডারে পোড়াইতাছে।

ছোট্ট কুটিরটা আঘাতে তছনছ হইয়া গেলো,

কাল বৈশাখের কালা মেঘের লাহান অন্তরে ভারি দাগ বসাইয়া দিলো!

কিছু সুখ যা বাকি আছিলো তাও বাতাসের লাহান পরাণ থেইকা উইড়া গেলো।

এহন অন্তরে মাঝে মাঝে ঝড় হয় খুব কিন্তু তোমার দেওয়া কষ্টগুলোরে তছনছ কইরা সরাইতে পারেনা।

এহন বাদলাও হয় পরানে কিন্তু তোমার ছলনার হাসিটারে ভাসাইয়া নিতে পারেনা

তুমি থাকবা কইয়া কইয়া যে ঘর তৈয়ার হইছিলো সেইটা এখন মরা পোড়াইননা ঘাট হইয়া গেছে।

ওইখানে দিইনে রাইতে একটা পরাণরেই হাজারবার পোড়ায় তোমার স্মৃতিগুলো!

আমি কিচ্ছু কইতে পারি না,
আমার ইচ্ছেগুলান আমারে কামারের গরম হাতড়া দিয়া পিডায়।

অহন সেই কাহিল পিঞ্জরায় লোহার শিক দিয়া তৈয়ার হইছে নরকের কারাগার।

আমার সিনা আজ তাহার ধারণক্ষমতারে পাড় কইরা ফালাইছে!

এইখানে পোড়ার গন্ধে মেলা হয়,ব্যাথার কষ্টে খায়েশ জাগে,ভাংতে চাইলে আরো বেশি ইস্পাতের লাহান হইয়া যায়।

আহহারে!

তুমি আছিলানা, হঠাৎ কইরা আইলা
মাঝখান থাইকা জীবনডারে দুঃখ গিলা শেখাই চইলা গেলা।

লেখকঃ শিক্ষার্থী,নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়।

সংবাদটি শেয়ার করুন


এই বিভাগ থেকে পড়ুন