fbpx
সংবাদ শিরোনাম

ছয় বছর থেকে ৩৬ বছর, রাজপথই যখন আমার ঠিকানা!

                                           
প্রকাশ : শুক্রবার, ২২ সেপ্টেম্বর, ২০২৩

নব্বই এর দশকের প্রথমার্ধে রাজশাহী তে আওয়ামী রাজনীতির অবস্থা আজকের মতো এতো রমরমা ছিলো না। বর্তমানের মতো মিছিলে হাজার হাজার মানুষও পাওয়া যেতো না। তখনও আমি কৈশোরে পদার্পণ করি নাই, শৈশবকালেই ছিলো আমার অবস্থান। একটা শিশুর রাজনীতির কোন জ্ঞান থাকার কথা না। রাজনৈতিক পরিবারে জন্ম হওয়ায় এবং রাজনৈতিক আবহে বড় হওয়ায় সেই শিশু বয়সেও বঙ্গবন্ধু, শেখ হাসিন ও জয় বাংলা কে বুকে ও মস্তিষ্কে ধারণ করেই আমার বেড়ে ওঠা। শিশুকালেই বড়দের সাথে মিছিলে যাওয়া, হরতালের আগের রাতে মশাল মিছিলে অংশ নেওয়া, বিক্ষোভ মিছিলে যাওয়া কিংবা যে কোন সভায় অংশ নেওয়া ছিল নিত্য নৈমিত্তিক ঘটনা। এর সত্যতা সেসময়ে যারা রাজশাহী মহানগর আওয়ামীলীগ, ছাত্রলীগের সাথে জড়িত ছিল এবং যারা নেতৃত্বে ছিল তাদের কে জিজ্ঞেস করলেই পাওয়া যাবে।

সেসময়ে বিএনপির শাসনামলে(১৯৯১-১৯৯৫) জামাত-শিবির, রাজাকারের বিরুদ্ধাচারণ করা যে কতো কঠিন ছিল তা শুধু ঐ সময় যারা দেখেছে তারাই জানে। সেসময়ে “রাজাকারের ফাঁসি চাই” বুকে লেখে মিছিলের সামনে দাড়িয়ে মিছিল করেছি। ২০০২ সালে অষ্টম শ্রেণী তে পড়া অবস্থায় ১২ নং ওয়ার্ড ছাত্রলীগের (সুমন-মৃদুল কমিটি) সদস্য হিসেবে মনোনীত হই। সেসময়ে আওয়ামী লীগ ক্ষমতার বাহিরে ২০০৪ সালে আমি তখন এস এস সি পরীক্ষার্থী, বোয়ালিয়া থানা ছাত্রলীগের (মির্জা জনি- রনি খান কমিটি) তে সহ-সম্পাদক মনোনীত হই। তখনও আওয়ামী লীগ বিরোধী দল।

কালের পরিক্রমায় এসএসসি ও এইচএসসি পাশ করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এ ভর্তি হই। সেসময়ও আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় ছিল না, ফখরুদ্দিন এর তত্ত্বাবধায়ক সরকার তখন দেশ চালাচ্ছে। হলে উঠেই ফার্স্ট ইয়ার থেকে রাজনীতির সাথে জড়িত হয়ে যাই কারন রক্তে যখন জয় বাংলা মিশে আছে তখন কি আর থেমে থাকা যায়? সার্জেন্ট জহুরুল হক হল এর ছাত্রলীগের কমিটিতে (সুমন-রাহাত কমিটি) পরিবেশ সম্পাদক হিসেবে পদ পাই। এবং পরবর্তীতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগ এর মেহেদি -শরিফ কমিটিতে সহ-সম্পাদক হিসেবে মনোনীত হই। ছাত্রলীগের ওয়ার্ড কমিটি, থানা কমিটি, বিশ্বিবদ্যালয়ের হল কমিটি এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কমিটিসহ প্রায় সব কমিটিতেই সক্রিয় রাজনীতি করে পদ পেয়েছি।

পরবর্তীতে পেশা জীবন শুরু করে রাজশাহী মহানগর যুবলীগ এর একজন সক্রিয় কর্মী হিসবে বঙ্গবন্ধুর আদর্শ ও চেতনাকে ধারণ ও লালন করে এখনো রাজনীতি করে যাচ্ছি এবং রাজপথেই আছি। একজন মুজিব সৈনিক হিসেবে, বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা বিনির্মানে জাতির জনক কন্যা শেখ হাসিনার হাত কে শক্তিশালী করতে, শেখ ফজলুল হক মণি’র আদর্শে অনুপ্রাণিত হয়ে তার সুযোগ্য পুত্র শেখ ফজলে শামস পরশ এর মানবিক যুবলীগের একজন অতি নগন্য ও ক্ষুদ্র তৃণমূলের কর্মী হিসেবে আমি আগামী ২৬ সেপ্টেম্বর, ২০২৩ তারিখ অনুষ্ঠিতব্য রাজশাহী মহানগর যুবলীগ এর ত্রি-বার্ষিক সম্মেলনে সাধারণ সম্পাদক পদপ্রার্থী। পদ-পদবী, ক্ষমতার জন্য রাজনীতি করি না, কখনো করবোও না। বঙ্গবন্ধুর আদর্শ কে ধারণ করে, মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনা কে লালন করে রাজনীতি করেছি, করছি এবং করে যাবো এবং সেজন্য সবসময় রাজপথেই থাকবো কারন একজন মুজিব সৈনিক এর ঠিকানা রাজপথ এবং রাজপথ। জয় বাংলা। জয় বঙ্গবন্ধু।

লেখক- আশিকুর রহমান অদ্বিত, সেকশন অফিসার, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়।

সংবাদটি শেয়ার করুন


এই বিভাগ থেকে পড়ুন