fbpx
সংবাদ শিরোনাম
সৌদি আরবের জেদ্দায় ফ্লাইট শুরু করতে যাচ্ছে ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্স তীব্র তাপদাহেও গ্রীষ্মের সৌন্দর্য অমলিন ঢাকা মহানগর ছাত্রলীগের উপ-কর্মসূচি ও পরিকল্পনা সম্পাদক হলেন প্রিয়ন ফুলছড়িতে প্রার্থীর প্রচার-প্রচারণায় জমে উঠেছে নির্বাচনী আমেজ বৈষম্যের প্রতিবাদে সারাদেশের ন্যায় কর্মবিরতিতে মাগুরা পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি ডুমুরিয়ায় নিসচা’র নতুন কমিটির পরিচিতি সভা অনুষ্ঠিত নরসিংদীর রায়পুরা উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে ১০ প্রার্থীর মনোনয়ন দাখিল হযরত আয়েশা সিদ্দিকা রা. কওমী মাদ্রাসা উদ্বোধন টাইমস হায়ার এডুকেশন র‌্যাঙ্কিংয়ে দেশে তৃতীয় স্থানে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় মণিরামপুরে আসন্ন উপজেলা নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদ প্রার্থী থেকে সরে দাড়ালেন মিকাইল হোসেন

এম কোরবান আলীর ৯৭তম জন্মদিন আজ 

                                           
প্রকাশ : বৃহস্পতিবার, ২৮ জানুয়ারি, ২০২১
এম কোরবান আলীর ৯৭তম জন্মদিন আজ 

রোমায়েত হোসেন: বাংলাদেশ আওয়ামিলীগ এর সাবেক সহ-সভাপতি জননেতা এম কোরবান আলীর ৯৭তম জন্মদিন আজ। ১৯২৪ সালের এই দিনে (২৮ শে জানুয়ারি) মুন্সিগঞ্জের লোহজং উপজেলার কান্দিপাড়া গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন তিনি।

আজীবন সংগ্রামী রাজনীতিবিদ ছিলেন এম কোরবান আলী। ছিলেন মহান মুক্তিযুদ্ধ ও স্বাধীনতা সংগ্রামের অন্যতম মহানায়ক। ছাত্রজীবন থেকেই রাজনীতি করতেন তিনি। কোরবান আলী ১৯৪৭ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে অর্থনীতিতে এমএ ডিগ্রি লাভ করেন। ১৯৫০ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বিএল ডিগ্রি লাভের পর তিনি ঢাকা জেলা আদালতে আইন ব্যবসা শুরু করেন।

এম কোরবান আলী ১৯৫০ সালে আওয়ামী মুসলিম লীগে যোগ দেন। এ সময় তাঁকে বৃহত্তর ঢাকা জেলায় দলকে সংগঠিত করার দায়িত্ব দেয়া হয়। ভাষা আন্দোলনের প্রাথমিক পর্যায়ে ১৯৪৮ সাল থেকেই কোরবান আলী আন্দোলনের সঙ্গে সম্পৃক্ত হন এবং ১৯৫২ সালে কারাবরণ করেন। ১৯৫৩ সালে তিনি আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক নির্বাচিত হন এবং ১৯৫৫ সাল পর্যন্ত এ পদে অধিষ্ঠিত ছিলেন। ১৯৫৪ থেকে ১৯৫৮ সাল পর্যন্ত তিনি আওয়ামী লীগের ঢাকা জেলা কমিটির সভাপতি ছিলেন।

এম কোরবান আলী যুক্তফ্রন্ট মনোনীত প্রার্থী হিসেবে ১৯৫৪ সালে মুন্সিগঞ্জের লৌহজং-টঙ্গীবাড়ী নির্বাচনী এলাকা থেকে পূর্ববঙ্গ প্রাদেশিক পরিষদের সদস্য নির্বাচিত হন। ওই বছর ২৯ মে দেশে ৯২-ক ধারা জারীর পর তিনি গ্রেফতার হন। ১৯৫৫ থেকে ১৯৫৮ সাল পর্যন্ত তিনি পূর্ববঙ্গ প্রাদেশিক পরিষদের ডেপুটি চীফ হুইপ ছিলেন। ১৯৫৮ সালের ৭ অক্টোবর দেশে সামরিক শাসন জারীর পর কোরবান আলী গ্রেফতার হন এবং প্রায় দুই বছর কারাভোগ করেন।

১৯৬২ সালে আইউব বিরোধী ছাত্র আন্দোলন সংগঠনে তাঁর ভূমিকার জন্য পুনরায় তিনি গ্রেফতার হন। ১৯৬৬ সাল থেকে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ছয়দফা কর্মসূচি বাস্তবায়ন এবং ১৯৬৯ সালের গণঅভ্যুত্থানে তাঁর সক্রিয় ভূমিকা ছিল। ১৯৭০ সালে জাতীয় ও প্রাদেশিক পরিষদের নির্বাচনের সময় কোরবান আলী আওয়ামী লীগের নির্বাচন পরিচালনা ও প্রচার সেলের প্রধান ছিলেন।

১৯৭১ সালের মার্চ মাসে বঙ্গবন্ধু ঘোষিত অসহযোগ আন্দোলনে কোরবান আলী বলিষ্ঠ ভূমিকা রাখেন।

১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধ শুরু হলে ভারতে যান এবং প্রবাসী সরকার গঠনের চিন্তা করেন। প্রবাসী মুজিবনগর সরকারের অস্থায়ী রাষ্ট্রপতি সৈয়দ নজরুল ইসলামের রাজনৈতিক উপদেষ্টা হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। ৪ এপ্রিল দিল্লিতে ইন্দিরা গান্ধীর সঙ্গে তাজউদ্দীনের আনুষ্ঠানিক আলোচনা হয়। ১০ এপ্রিল এম কোরবান আলী আগরতলায় সরকার গঠন করার উদ্যোগ নেন। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের অনুপস্থিতিতে মুক্তিযুদ্ধকে সফল সমাপ্তির দিকে নিয়ে যেতে তার অসামান্য অবদান ছিল।

স্বাধীনতার পর ১৯৭২ সালে কোরবান আলী বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হন এবং ১৯৭৪ সাল পর্যন্ত এ দায়িত্ব পালন করেন। তিনি ১৯৭৫ সালে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের মন্ত্রিসভায় তথ্য ও বেতার সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বপ্রাপ্ত মন্ত্রী ছিলেন। ১৯৭৫ সালে বাংলাদেশ কৃষক শ্রমিক আওয়ামী লীগ (বাকশাল) গঠিত হলে তিনি দলের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য মনোনীত হন। ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধুর নৃশংস হত্যাকান্ডের পর অন্যান্য আওয়ামী লীগ নেতৃবৃন্দসহ তিনি গ্রেফতার হন এবং প্রায় দুই বছর কারান্তরিণ থাকেন। ১৯৮১ সালে তিনি আওয়ামী লীগ প্রিসিডিয়ামের সদস্য নির্বাচিত হন।

একজন উদার গণতান্ত্রিক, অসাম্প্রদায়িক ও বাঙালি জাতীয়তাবাদী রাজনৈতিক নেতা কোরবান আলী এদেশের জনগণের স্বাধিকার আন্দোলনে অসামান্য অবদান রাখেন। ১৯৯০ সালের ২৩ জুলাই ঢাকায় তাঁর মৃত্যু হয়

সংবাদটি শেয়ার করুন


এই বিভাগ থেকে পড়ুন