fbpx

ব্যবহার না হওয়ার বিলুপ্ত হতে বসেছে মূল্যবান সম্পদ

                                           
মোসফিকা আক্তার
প্রকাশ : শনিবার, ৩ জুলাই, ২০২১
ব্যবহার না হওয়ার বিলুপ্ত হতে বসেছে মূল্যবান সম্পদ

পাখির অনেক প্রজাতি হারিয়ে যাচ্ছে এগুলো হয়তো অনেকেই শুনেছেন। কিন্তু পৃথিবীর আর ও অনেক সম্পাদ দ্রুত ফুরিয়ে যাচ্ছে অথবা ঠিকমতো ব্যবহার না হওয়ার বিলুপ্ত হতে বসেছে মূল্যবান সম্পদ।যা আমাদের প্রাত্যহিক জীবনকে নানা ভাবে প্রভাবিত করে। এবার সে রকম বিষয় তুলে ধরা হলে

 

# কক্ষপথে জায়গা কমে যাচ্ছে ২০১৯ সাল পর্যন্ত কক্ষপথে প্রায় পাঁচ লাখ বস্ত পৃথিবীকে প্রদক্ষিণ করেছে।

এর মধ্যে মাত্র ২ হাজার আছে স্যাটেলাইট কার্যক্রমে।যা দিয়ে যোগাযোগ, জিপিএস বা টেলিভিশন চালানো হয়। জিনিসগুলো রকেট নিশেপন এবং কক্ষপথে নানা সংখর্ষের,ফলে তৈরি হওয়া আবর্জনা।

কক্ষপথে থাকা এসব উপ্রেয়োজীয় এবং উচিছষ্ট জিনিসপত্র পরিষ্কার করার প্রযত্তি না থাকার ফলেপৃথিবীর চারদিকের কক্ষপথ ক্রমেই ভরে যাচ্ছে।আবর্জনার সংখ্যা যত বাড়বে,কক্ষপথ ব্যস্ততা যতবেশি হবে,তখন এসব বস্তুর সঙ্গে আমাদের দরকারি উপগ্রহগুলো সংঘর্ষ হয়ে ক্ষতির ঝুঁকি বাড়বে।

# বালি পৃথিবী থেকে সবচেয়ে বেশি তুলে নেয়া কঠিন পদার্থ হলো বালি। যার সঙ্গে নুড়ি ও থাকে।

জাতিসংঘ তৈরি হয়,আমরা তার চেয়ে অনেক বেশি হারে এর ব্যবহার করছি। বিশাল বিশাল প্রাসাদ নির্মাণ, ভূমি পুনরুদ্ধার, পানি বিশুদ্ধকরণ এবং কাঁচ তৈরিতে বালি ব্যবহার করা হচ্ছে। বালি কমে গিয়ে ভঙ্গুর ইকো- সিস্টেমকে হুমকিতে ফেলছে। এ কারনে বিশ্বব্যাপী দাবি উঠেছে যে, বালির অত্যধিক ব্যবহারের ব্যাপারে নজরদারি ব্যবস্থা গড়ে তোলার।

# হিলিয়াম গ্যাস সীমিত একটি সম্পাদ। যা মাটির অনেক নীচ থেকে বের করে আনা হয়। কয়েক দশকের মধ্যে এই গ্যাসের মজুদ ফুরিয়ে যাওয়ার সম্ভবনা দেখা দিয়েছে। কিন্তু হিলিয়াম গ্যাস চিকিৎসা খুব জরুরি একটি অনুসঙ্গ।

এমআরআই করতে ব্যবহৃত চুম্বককে এই গ্যাস ঠান্ডা রাখে।এমআরআই হচ্ছে এমন একটি যুগান্তকারী রোগ নির্গয়কারী ব্যবস্হা যা ক্যাষ্কার,মস্তিষ্ক এবং মেরুদণ্ডের আঘাত নির্ণয় করতে পারদর্শী।

# কলা আমারা যে কলা খাই, তার বেশিরভাগ ক্যাভেন্ডিস জাতের।এই কলা পানামা ডিজিজ,নামের একটি ফাঙ্গাসে আক্রান্ত। কলা সরাসরি এসেছে একটি মাত্র গাছ থেকে, বাকি গুলো সব ক্লোন। ফলে কলা গাছের ভেতর পানামা রোগটি খুব দ্রুত ছড়িয়ে পড়তে পারে।

১৯৫০ সালে ঠিক একই রকমের একটি রোগে বিশ্বের কলা চাষ বন্ধ হয়ে যায়। তখন চাষিরা গ্রাস মাইকেল জাত থেকে সরে এসে ক্যাভেন্ডিস জাতের জাত থেকে সরে এসে ক্যাভেন্ডিস জাতের কলা চাষ করতে শুরু করেন।বিজ্ঞানীরা এখন কলার নতুন জাত উদ্ভাবনের চেষ্টা করছেন, যা এই ফাঙ্গাস প্রতিরোধ করতে পারবে,সেই সঙ্গে কলার স্বাদ ও বজায় থাকবে।

>>>> বিলুপ্তির পথে জাতীয় পাখি দোয়েল

# মাটি মাটির সবচেয়ে উপরের অংশ থেকে গাছপালা বা উদ্ভিদ তাদের প্রয়োজনীয় পুষ্টিগুণ সংগ্রহ করে।

ডব্লিউডব্লিউএফ নামের এনজিও বিশ্বের প্রকৃতি রক্ষার কাজ করে। তারা ধারণা করছে যে গত ১৫০ বছরে বিশ্বের মোট ভূমির অর্ধেকের উপরের অংশ হারিয়ে গেছে। কিন্তু এ রকম এক ইঞ্চি জমি প্রাকৃতিক ভাবে তৈরি হতে পাঁচশ বছর লাগে।নদী বা সাগরের ভাঙ্গন,ব্যাপক মাত্রায় কৃষিকাজ, বনভূমি উজাড় এবং বিশ্বের তাপমাত্রা বেড়ে যাওয়ার ফলে মাটির উপরের অংশ হারিয়ে গেছে যার ওপর বিশ্বের খাদ্য উৎপাদন নির্ভর করে।

# ফসফরাস মানব ডিএন গঠনের জন্য ফসফরাস শুধুমাত্র জীববিজ্ঞানের দৃষ্টিতেই যে গুরুত্বপূর্ণ তা নয় বরং এটি কৃষিকাজের জন্য অত্যন্ত দরকারি।

এটি সার তৈরিতে ব্যবহৃত হয়,যার কোন বিকল্প এখন ও জানা নেই।যদি ও এটি আমাদের সামনে আসে কাটি দিয়ে আগুন জ্বালনোর র্কাড দিয়ে মাটি থেকে এসে উদ্ভিদ এবং বর্জ্যের মাধ্যম এটি আবার মাটিতে ফিরে যাওয়ার কথা। কিন্তু এখন ফসলের সঙ্গে সঙ্গে ফসফরাস শহর এলাকায় চলে আসছে এবং শেষ পযর্ন্ত সেটি আমাদের পয়োনিষ্কাশন ব্যবস্হার মাধ্যমে সাগরে গিয়ে মিশছে।

যেভাবে চলছে তা থেকে ধারণা করা হচ্ছে যে,ফসফরাসের খানিগুলো আর ৩৫ থেকে ৪০০ বছর পযর্ন্ত যোগান দিতে পারবে।তার পর হয়তো আমাদের বেশি ক্ষুধার্ত বোধ করতে হবে।

সংবাদটি শেয়ার করুন


এই বিভাগ থেকে পড়ুন