fbpx

বদলগাছীতে ঈদের ৪ দিনে বৌদ্ধবিহার থেকে আয় ১৩ লাখ টাকা

                                           
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ : সোমবার, ১৬ মে, ২০২২
বদলগাছীতে ঈদের ৪ দিনে বৌদ্ধবিহার থেকে আয় ১৩ লাখ টাকা

সবচেয়ে বড় প্রত্নতাত্ত্বিক নিদর্শন পাহাড়পুর বৌদ্ধ বিহারে (সোমপুর বিহার) টিকিট বিক্রি থেকে সরকারের রাজস্ব আয় হয়েছে ১৩ লাখ টাকার ঊর্ধ্বে। আর লক্ষাধিক পর্যটকরা ভ্রমণ করেছে এই পাহাড়পুর।

মহামারী করোনাভাইরাসের সঙ্কট কেটে প্রায় দীর্ঘ দুই বছর পর আবারো নতুন করে পর্যটকদের পদচারনায় মুখরিত হয়ে উঠেছে পাহাড়পুর বৌদ্ধ বিহার প্রাঙ্গণ। বিশিষ্ট কথাসাহিত্যিক আনিসুল হকসহ দেশের বিশিষ্টজনরা এই ঈদে পাহাড়পুর বৌদ্ধ বিহার ভ্রমণ করেছেন। এ ছাড়া ঈদের দ্বিতীয় দিন থেকে চালু হওয়া ট্যুরিস্ট বাস ভ্রমণ বিলাস নওগাঁর ঐতিহাসিক স্থানগুলো ভ্রমণের ক্ষেত্রে পর্যটকদের মাঝে এক নতুন মাত্রা যোগ করেছে।

দক্ষিণ এশিয়ার মধ্যে সবচেয়ে বড় বিহার এই পাহাড়পুর। এর আদি নাম সোমপুর বিহার। এটি নওগাঁর বদলগাছী উপজেলার পাহাড়পুর ইউনিয়নে অবস্থিত। ১৯৮৫ সালে ইউনেস্কো এটিকে বিশ্ব ঐতিহ্য হিসেবে স্বীকৃতি প্রদান করে। এটি মূলত পাল রাজ্যত্বের রাজধানী ও সেই সময়ের বিশ্ববিদ্যালয় ছিল। এখানে সে সময় ভিক্ষুরা পড়ালেখা করত। নওগাঁ শহর থেকে পাহাড়পুর বৌদ্ধবিহারের দূরত্ব প্রায় ৩৪ কিলোমিটার। এখানে সারা বছর দেশ ও বিদেশ থেকে আগত দর্শনার্থীদের সমাগম ঘটে। তবে দীর্ঘ প্রায় দুই বছর ঘরে বন্দী থাকায় এই ঈদে খোলা পেয়ে লক্ষাধিক দর্শনাথী পাহাড়পুরে এসেছেন। বিগত সময়ের তুলনায় এই ঈদে দর্শনার্থীদের আগমন রের্কড পরিমাণ বেড়েছে। আগের চেয়ে অনেক আধুনিকায়ন হওয়ায় পাহাড়পুরের পরিবেশ নিয়েও সন্তুষ্ট দর্শনার্থীরা।

বিশিষ্ট কথা সাহিত্যিক আনিসুল হক বলেন, সত্যিই পাহাড়পুর বৌদ্ধ বিহার ও তার পরিবেশ খুবই সুন্দর। তবে এখানে মোবাইল নেটওয়ার্কের খুবই সমস্যা। আজকের দিনে এমন ঐতিহাসিক স্থানে এমন সমস্যা সত্যিই খুবই দুঃখজনক। এই সমস্যা দ্রুত সমাধানের লক্ষ্যে সরকারের পদক্ষেপ গ্রহণ করা উচিত। আমি এখানে এই প্রথম আসলাম। হাজার বছর আগের কীর্তি দর্শন করতে পেরে খুবই ভালো লাগছে। আর এখানে এত পর্যটকের সমাগম এর আগে আমি দেখিনি।

পাহাড়পুর বৌদ্ধ বিহারের কাস্টোডিয়ান মুহাম্মদ ফজলুল করিম আরজু বলেন, পাহাড়পুরের ইতিহাসে এত রেকর্ড পরিমাণ দর্শক কখনোই হয়নি। আমরা সীমিত লোকজন নিয়ে আগত দর্শনার্থীদের মানসম্মত সেবা দেয়ার চেষ্টা করে আসছি। এত দর্শনাথী সামাল দিতে আমাদের হিমশিম খেতে হচ্ছে।

সংস্কৃতিবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের যুগ্মসচিব মো: আতাউর রহমান বলেন, দেশের ঐতিহাসিক নিদর্শনগুলোকে আরো আধুনিকায়ন করতে সরকার নানা পদক্ষেপ নিয়েছে। অতিদ্রুত পাহাড়পুরের জনবল সঙ্কটসহ বাকি সমস্যাগুলো সমাধান করে এটিকে পর্যটকদের কাছে আরো আর্কষণীয় করতে যা যা করা প্রয়োজন তা করা হবে। দেশের সব প্রতœতাত্ত্বিক নিদর্শনগুলো আরো আধুনিকায়ন করতে সরকারের অচিরেই সেই পদক্ষেপগুলো বাস্তবায়ন করা হবে।

সংবাদটি শেয়ার করুন


এই বিভাগ থেকে পড়ুন