fbpx
সংবাদ শিরোনাম
সৌদি আরবের জেদ্দায় ফ্লাইট শুরু করতে যাচ্ছে ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্স তীব্র তাপদাহেও গ্রীষ্মের সৌন্দর্য অমলিন ঢাকা মহানগর ছাত্রলীগের উপ-কর্মসূচি ও পরিকল্পনা সম্পাদক হলেন প্রিয়ন ফুলছড়িতে প্রার্থীর প্রচার-প্রচারণায় জমে উঠেছে নির্বাচনী আমেজ বৈষম্যের প্রতিবাদে সারাদেশের ন্যায় কর্মবিরতিতে মাগুরা পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি ডুমুরিয়ায় নিসচা’র নতুন কমিটির পরিচিতি সভা অনুষ্ঠিত নরসিংদীর রায়পুরা উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে ১০ প্রার্থীর মনোনয়ন দাখিল হযরত আয়েশা সিদ্দিকা রা. কওমী মাদ্রাসা উদ্বোধন টাইমস হায়ার এডুকেশন র‌্যাঙ্কিংয়ে দেশে তৃতীয় স্থানে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় মণিরামপুরে আসন্ন উপজেলা নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদ প্রার্থী থেকে সরে দাড়ালেন মিকাইল হোসেন

আম পাড়ার সময় নির্ধারণ করেনি চাঁপাইনবাবগঞ্জ প্রশাসন 

                                           
ইয়ামিন হাসান শুভ
প্রকাশ : শুক্রবার, ১৩ মে, ২০২২

চাঁপাইনবাবগঞ্জ প্রতিনিধঃ চাঁপাইনবাবগঞ্জে পাকা আম পড়ার সময়সীমা এ বছর নির্ধারণ করে দেয়নি জেলা প্রশাসন চাঁপাইনবাবগঞ্জ। আম পাকার সাথে সাথেই বাজারজাত করতে পারবেন ব্যবসায়ীরা। প্রশাসনের এমন সিদ্ধান্তে তাই খুশি আম চাষীরা।

তবে শৈত্যপ্রবাহ আর আমের জন্য আবহাওয়া অনুকূলে না থাকায় এ বছর আম পাকতে দেরি হচ্ছে বলে জানিয়েছেন বাগানিরা। একই সঙ্গে ফলন কম হওয়ায় এবং নায্য দাম পাওয়া নিয়ে শঙ্কায় আছেন তারা।

চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, এবার চাঁপাইনবাবগঞ্জে ২ লাখ ৭৭ হাজার ৬২২ বিঘা জমিতে ৩১ লাখ ৩৭ হাজার ৪০ টি আম গাছ রয়েছে। এর মধ্যে চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর উপজেলায় ৩৮ হাজার ৪৭০ দশমিক ৫ বিঘা, শিবগঞ্জে ১ লাখ ৫২ হাজার ১৪ দশমিক ৫ বিঘা, গোমস্তাপুরে ৩১ হাজার ৫২৩ দশমিক ৪ বিঘা, নাচেলের ২৮ হাজার ২৭৩ দশমিক ৯৫ বিঘা, ভোলাহাট উপজেলায় ২৭হাজার ৩৪০ দশমিক ২ বিঘা জমিতে আম গাছ রয়েছে। গত বছরের চেয়ে এবার ৩০ হাজার ৯১১ বিঘা বেশি জমিতে আম উৎপাদন হচ্ছে।

এ বছর জেলায় আম উৎপাদনের লক্ষ মাত্রা ধরা হয়েছে প্রায় ৩ লাখ ১৫ হাজার মেট্রিক টন।

আম বাগানি মেহেদী হাসান জানান, এবার বাগানের বড় গাছে মুকুল কম হওয়ায় গাছ গুলোতে ফলন কম। তবে ছোট গাছের বাগান গুলোতে আম আছে। আমের বাগান গুলোতে গত বছরের চেয়ে অর্ধেক আম আছে। গুটি জাতের কয়েকটা গাছে আম পাকতে দেখা গেছে। পরিপূর্ণভাবে তা এখনও পাকেনি। বাণিজ্যিক প্রথম জাত গোপালভোগ আম পাকতে আরও ১০ থেকে ১৫ দিন সময় লাগবে।‘

সামসাদ শেখ নামের অপর এক বাগানি জানান, প্রথম থেকেই আবহওয়া আমের বিপরীত দিকে যাচ্ছে। মাঝে একদিন শিলাবৃষ্টি হওয়ায় আমের অনেক ক্ষতি হয়েছে। তারপর থেকে কখনও রোদ আবার কখনও বৃষ্টি। আবহওয়া ঠান্ডা থাকায় আম পাকতে সময় লাগছে। যদি আবহওয়া অনুকূলে থাকতো তাহলে এতোদিনে বাজারে পাকা আম বিক্রি শুরু হয়ে যেত।

রাকিব দয়াল নামের এক বাগানি জানান, গতবছর আমের অনেক ফলন হয়েছিল। কিন্তু দাম পাওয়া যায়নি।এবার আমের ফলন খুব কম। গত বছরের চেয়ে অর্ধেক আম আছে বাগানে। ক্ষতিগ্রস্ত আম চাষিদের কৃষি প্রণোদনা দিলে, কিছুটা ক্ষতি পুষিয়ে নেওয়া যাবে।

বাগান মালিক বরজাহান শেখ জানান, বিগত বছরগুলোতে আম বাজারজাত করতে সময় বেধে দিতো প্রশাসন। নির্ধারিত সময়ে বাজারে আম নামানোর আগেই অনেক আম গাছে পচে যেতো। এখন সময়সীমা না থাকায় যখনই আম পাকবে তখনিই বাজার জাত করতে পারবো। ব্যবসায়ীরা আমাদের নায্য দাম দিলেই খুশি। গত বছররে ব্যবসায়ীরা এক মণ ওজনের আম কিনতে এসে নির্ধারিত ওজনের চেয়ে ১০-১২ কেজি বেশি নিত। এমন চলতে থাকলে ক্ষতি হয়ে যাবে।

আম ব্যবসায়ী মিনহাজ ইসলাম জানান, প্রশাসন আম বেচাকেনার সময় নির্ধারণ না করায় বেশ খুশি হয়েছি। তবে বাইরের জেলার আম ব্যাপারীরা যেন সঠিক সময়ে আম কিনতে আসে।এ বিষয়ে প্রশাসনের নজরদারি করা দরকার বলে মনে করেন তিনি।

চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক মোহাম্মদ নজরুল ইসলাম জানান, এবার মৌসুমে আম বাজারজাত করতে কোন সময়সীমা নির্ধারণ করা হয়নি। যখনিই বাগানের গাছে আম পাকবে, তখনিই বাজারজাত করতে পারবে আম ব্যবসায়ীরা।

তিনি আরো জানান, চাষিদের সুবিধার কথা বিবেচনা করেই এমন সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। তবে অপরিপক্ক আম বাজারে তুললে ব্যবসায়ীর বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

সংবাদটি শেয়ার করুন


এই বিভাগ থেকে পড়ুন