দেশান্তর প্রতিবেদন ৬ জানুয়ারি ২০২১ , ৮:১৩:৫৪
নিউজ ডেস্ক: করোনা ভাইরাসের টিকা পাওয়া না পাওয়ার দোলাচলেই দেশে কারা আগে পাবে ভ্যাকসিন তা চূড়ান্ত করেছে সরকার। অগ্রাধিকার ভিত্তিতে ঝুঁকিতে থাকা মানুষদের প্রথমে টিকা দেওয়া হবে। বিশেষ কারণ ছাড়া ১৮ বছরের নিচে কাউকে টিকার আওতায় আনা হবে না। এভাবে পর্যায়ক্রমে দেশের ১৩ কোটি ৭৬ লাখ মানুষকে করোনা টিকার আওতায় আনা হবে।
মঙ্গলবার (৫ জানুয়ারি) জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) বৈঠক শেষে পরিকল্পনা কমিশনের সদস্য (সচিব) আবুল কামাল আজাদ (আর্থসামাজিক অবকাঠামো বিভাগ) সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান।
এর আগে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে চলমান প্রকল্পের আওতায় করোনার ভ্যাকসিন কেনা, সংরক্ষণ ও সরবরাহের জন্য চার হাজার ২৩৬ কোটি ৪৩ লাখ টাকার একটি প্রকল্প অনুমোদন দেওয়া হয়।
আবুল কালাম আজাদ বলেন, প্রধানমন্ত্রী ইতোমধ্যে রাজস্ব তহবিল থেকে ১২০০ কোটি টাকা দিয়েছেন। এই টাকা থেকে আমরা ৯ শতাংশ মানুষের জন্য (দেড় কোটি মানুষ) সেরাম ইনস্টিটিউটের তৈরি তিন কোটি ভ্যাকসিন আনার উদ্যোগ নিয়েছি।
প্রাথমিক পর্যায়ে এই নয় শতাংশ মানুষের মধ্যে কারা আছেন তাদের নাম তুলে ধরে তিনি বলেন, ‘এর কিছু ব্যক্তিশ্রেণির নাম এসেছে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে। এর বাইরে পরিকল্পনা কমিশনও কিছু শ্রেণির জনগোষ্ঠীর নাম প্রস্তাব করেছে। প্রস্তাবিত জনগোষ্ঠী হলো-কোভিড-১৯ সংক্রমণের সর্বোচ্চ ঝুঁকিতে থাকা সম্মুখ সারির স্বাস্থ্যকর্মী, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী, বিভিন্ন স্তরের সরকারি কর্মকর্তা-কর্মজীবী, সাংবাদিক ও গণমাধ্যমকর্মী, জনপ্রতিনিধি, জরুরি সেবায় নিয়োজিত কর্মী, ধর্মীয় প্রতিনিধি, বন্দরগুলোতে দায়িত্বরত কর্মী, অন্ত্যেষ্টিক্রিয়ার সঙ্গে জড়িত কর্মী, ব্যাংককর্মী, স্বল্প বা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাহীন জনগোষ্ঠী, রোহিঙ্গা ক্যাম্পে কর্মরত স্বাস্থ্যকর্মী, প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের যারা কোভিডের সঙ্গে সম্পৃক্ত, শ্রমঘন প্রতিষ্ঠানের কর্মী (গার্মেন্ট), পরিবহন শ্রমিক, শ্রমঘন হাটবাজার-ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের কর্মী, এতিমখানা এবং বিদেশগামী ও বিদেশফেরত সব ব্যক্তিবর্গ।’