দেশান্তর প্রতিবেদন ২৩ আগস্ট ২০২৩ , ১১:৩০:৩১
দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী ডা: মোঃ এনামুর রহমান বলেছেন,আগামী ৫০ বছরে পুরো দেশকে ভূমিকম্প সহনীয় রাষ্ট্রে পরিণত করা হবে ।
বুধবার (২৩ আগস্ট) রাজধানীর গুলশানে একটি হোটেলে ‘সুপার-সমকাল আর্থকোয়েক অ্যান্ড ফায়ার প্রিপেয়ার্ডনেস অ্যাওয়ার্ড ২০২৩’ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি একথা বলেন।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘ভূমিকম্প মোকাবেলায় এখনও পর্যাপ্ত সক্ষমতা অর্জন করতে পারেনি বাংলাদেশ। দেশে ৭ মাত্রার ভূমিকম্প হলে ঢাকায় দেড় লাখ মানুষ নিহত হবে, ৫ লাখ মানুষ হতাহত হবে। ১ লাখ ৭২ হাজার বাড়িঘর ধ্বংস হবে। জাপানের মতো দেশের ভূমিকম্প সহনীয় দেশে পরিণত করতে ৩০ বছর লেগেছে। সেখানে আমরা চেষ্টা করছি অন্তত ৫০ বছরে হলেও যেন বাংলাদেশ ভূমিকম্প সহনীয় দেশে পরিণত করা যায়। সে লক্ষ্যে কাজ করছে সরকার।’
ঢাকার ঝুঁকিপূর্ণ ও ১০০ বছরের বেশি পুরোনো ভবনগুলো পর্যায়ক্রমে ভেঙ্গে ফেলা হবে জানিয়ে প্রতিমন্ত্রী বলেন, বিল্ডিং কোড ছাড়া নতুন করে কোনো ভবন নির্মাণ করতে দেয়া হবে না। জাইকা’র সহযোগিতায় নতুন করে ভূমিকম্প সহনীয় ভবন নির্মাণ করা হবে।
তিনি বলেন, ভূমিকম্প সহনীয় দেশ হিসেবে বাংলাদেশ গড়তে আমরা কাজ করছি। এক্ষেত্রে বেসরকারি প্রতিষ্ঠান ও গণমাধ্যমের ভূমিকা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। দূর্যোগের ঝুঁকি কমানোর সুফল আমরা পাচ্ছি। ইতোমধ্যে দুর্যোগের ঝুঁকি হ্রাস করতে পোশাক খাতে ব্যাপক পরিবর্তন সাধিত হয়েছে।
‘সরকার ইতোমধ্যে ৮টি জোনে ভাগ করে ঢাকাকে ভূমিকম্প সক্ষমতা তৈরি করার প্রকল্প হাতে নিয়েছে। জাইকা’র সহযোগিতায় ভূমিকম্প সহনীয় ভবনের উপর সার্ভে করা হয়েছে। জাপান সর্বাত্মক সহযোগিতা করছে।’
ভূমিকম্পের ঝুঁকি কমাতে পুরনো ভবন ভাঙ্গা হবে জানিয়ে এনামুর রহমান বলেন, জাপানের আর্থিক ও জাইকা’র কারিগরি সহযোগিতায় নতুন ভবন নির্মাণ করা হবে। এজন্য বেসরকারিভাবে প্রকৌশলী নিয়োগ দেয়া হবে। শুধু ভবন নয়, নতুন সব ব্রিজ নির্মাণ করা হবে ভূমিকম্প সহনীয় সক্ষমতায়।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, ভূমিকম্প মোকাবেলায় আসলে আমাদের খুব বেশি সক্ষমতা নেই। দুর্যোগ ব্যবস্থাপনায় সাফল্যের জন্য আমাদের অর্জন আছে,অ্যাওয়ার্ড পেয়েছি। বন্যা, ঘূর্নিঝর মোকাবেলায় আমরা শতভাগ সফল। আমরা ৪২০ কোটি টাকার উদ্ধার ও অনুসন্ধান কাজের উপকরণ কিনেছি। সেগুলো ফায়ার সার্ভিস, সিটি কর্পোরেশন ও সেনাবাহিনীকে দেয়া হয়েছে।