মোতালেব বিশ্বাস, ইবিঃ ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) দেশরত্ন শেখ হাসিনা হলে ফুলপরী নামের নবীন এক ছাত্রীকে নির্যাতনের ঘটনায় অভিযুক্ত শিক্ষার্থীদের ১ বৎসরের জন্য বহিষ্কারাদেশের শাস্তি বিধিসম্মত হয়নি বলে জানালেন হাইকোর্ট। একইসাথে ওই ঘটনায় ইবি প্রশাসন কী ব্যবস্থা নিয়েছে আবেদনকারীর কাছে তা লিখিত আকারে জানতে চেয়েছেন।
বুধবার (১৯ জুলাই) বিচারপতি জে বি এম হাসান ও বিচারপতি রাজিক আল জলিলের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ মন্তব্য করেন। পরবর্তী আদেশের জন্য ২৬ জুলাই দিন ধার্য করা হয়েছে। এর আগে গত শনিবার (১৫ জুলাই) বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র শৃঙ্খলা কমিটির সভায় বিশ্ববিদ্যালয়টির স্টুডেন্টস কোড অব কন্ডাক্ট অনুযায়ী বহিষ্কৃত ছাত্রলীগ নেত্রী সানজিদা চৌধুরী অন্তরা সহ ৫ শিক্ষার্থীকে ১ বছরের জন্য বহিষ্কার করে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।
বহিস্কৃতরা হলেন পরিসংখ্যান বিভাগের সানজিদা অন্তরা চৌধুরী, ফিন্যান্স অ্যান্ড ব্যাংকিং বিভাগের তাবাসসুম ইসলাম ও মোয়াবিয়া জাহান, আইন বিভাগের ইসরাত জাহান মীম ও চারুকলা বিভাগের হালিমা খাতুন উর্মী।
প্রসঙ্গত, গত ১২ ফেব্রুয়ারী ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের দেশরত্ন শেখ হাসিনা হলের গনরুমে রাতভর নির্যাতন ও বিবস্ত্র ধারণা করে ভিডিও ধারণের অভিযোগ উঠে বিশ্ববিদ্যালয়ের শাখা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি সানজিদা চৌধুরী অন্তরা ও তাঁর সহযোগিদের বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় গত ১৪ ফেব্রয়ারী ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর বরাবর লিখিত অভিযোগ করেন। এ ঘটনা দেশজুড়ে আলোচিত হয়ে পড়ে। এ ঘটনায় উচ্চ আদালত তদন্ত কমিটি গঠন করে। এছাড়াও বিশ্ববিদ্যালয়, হল ও ছাত্রলীগের পক্ষ থেকে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়।
ভুক্তভোগীর লিখিত অভিযোগের পর বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন, হল প্রশাসন ও শাখা ছাত্রলীগ এবং হাইকোর্ট কর্তৃক পৃথক পৃথকভাবে তদন্ত কমিটি গঠিত হয়। এর প্রেক্ষিতে অভিযুক্তদের বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সাময়িক বহিষ্কার করা হয় এবং শাখা ছাত্রলীগ থেকেও বহিষ্কার করা হয়।