অ্যান্টি টেলিফোন
মৌসম সামন্ত (অসুর)
তৃতীয় রিপু যখন হর্ষধ্বনির মধ্যমা হয়ে বৃত্তকে খনন করে যায় কোন এক অন্তর্বাসে
সত্য-অসত্য থৈলির মতো জাদুর প্রাসাদে লুকোচুরি খেলে,
আস্তে আস্তে বরফ বাষ্প হয়ে উড়ে যায় কর্পূরের ঘরানায়
দৈত্য হয়ে ফানুস হয়ে ওঠে বরফ-চ্যুত এই মহাপ্রাসাদের আদি পরিহাস…
কন্নরের খুলি আড়ম্বরের মতোই একটা একটা করে যেভাবে ফেলে দেয় পদ্মমণির জারজ
ঋণগুলো সব বাস্তুশাপে বন্দী রাখা সেই ভৈরবরা আর ফেরে না…
ফজরের নামাজ পড়ে বরফ ঘরের মালি হয়ে যেভাবে বিচ্যুত ঢিলের মতো মানুষ হয়ে যাই
আমি সেই বরফের মানুষ, যার মৃত্যু অগ্নিকন্যার সৎসঙ্গে হয়!
সরলাক্ষের দর্পণ যেভাবে কবীরের অণুকে এককোষী শলাকায় ভেদ করে দেয়,
সেইভাবে যদি সবুজাভ শিরাগুলো-ও সগর্বে ভেঙে দিত একটা একটা করে কই মাছের জেরা
গ্ৰন্থিগুলোও যদি রক্ত শুষে ভালোবাসার অবক্ষেপন করতো,তবে হরমোনের ইতিহাসও মানুষ একদিন পড়তো।
পিটুইটারি গ্ল্যান্ডকে ভাঙছে আমার প্রেম,যেখানে ভীমের গদা ভেঙেছিল দুর্যোধনের প্রলাপ
আজ আর আমি প্রেমে নেই,পথে রেখেছি অনেক ঋণ,
ক্ষয়িষ্ণু ভালোবাসা দেহ ছাড়বে,তবে পাঁচটা মিনিট ধার নিলাম।
আশঙ্কিত বিকৃত বিক্রিত আত্মারা শিরার টানে আর বেঁচে নেই;
কত পরিহাসে পরিযায়ী প্রেমগুলো আমার থেকে তোমার দেহে ভাগ্য বদলাতে গেল
চাতক লজ্জিত আমার মন খুঁজে যায় মাইক্রোপ্লাজম,যেভাবে আমার পিটুইটারি নিশাচর হয়ে বধ করে আমায় প্রতি মধ্যরাতে
সময়ের কাঁটা আলোকবর্ষ পেরিয়ে ফিরছে,ব্ল্যাকহোলও আমায় কাছে টেনে নিচ্ছে
পরমাত্মা হয়েই মানুষের প্রেম পরজন্মে ভালোবাসা হয়ে ফেরে,
আমারও প্রেম মরেছে। তবুও ভালোবাসা হয়ে ফিরছে না কেন?
সংবাদটি শেয়ার করুন