দেশান্তর প্রতিবেদন ৩ জানুয়ারি ২০২১ , ১২:৪২:৩১
ভূরুঙ্গামারী প্রতিনিধি: আসুন ভূরুঙ্গামারী ফাউন্ডেশনের সাধারণ সম্পাদক জনাব রাশেদ ব্যপারীর মুখ থেকে শুনি ;
বিবেকমান সমাজের কুলুপ লেগে থাকা বিবেকহীন সমাজের চরিত্র মাঝে মাঝেই বেরিয়ে আসে।হাজারো প্রতিশ্রুতি, গল্পের চাঁদমাথা পাহাড় অবশেষে বেদনার ফুলঝুরি পতিত হয়ে আমাদের মাঝে। তারপরে কোন এক টেবিলে চায়ের কাপে ফুক দিয়ে বস্তাভরা সমালোচন করতে একদমই ভুল করি না আমরা।
ভূরুঙ্গামারী উপজেলা শহরের এমন কোন মানুষ আছে কি? যে কিনা সোহাগের মা রে চিনে না? আমার সমাজের বিত্তবান কির্পণ সাহেব আপনাকেই বলছি, আপনার সম্পদ তো কোন কাজেই আসবে না। আপনি তো দেখেছেন কিভাবে বরফের ন্যয় গলে যায় টাইটানিক, আপনিই তো দেখেছেন কিভাবে হিরোশিমা এবং নাগাসাকি শহর তুলোর মতই বাষ্পীয় পর্দাথে রূপ নেয়।
তবুও কেন জানি সোহাগের মায়েদের জন্য আমাদের বাঙালি সমাজে বিত্তবানদের নুন পরিমাণ সভানুভূতি প্রকাশ পেতে দেখা যায় না্। তবে ১৩ নভেম্বরে উন্নত বিশ্বে “দয়া বা সহানুভূতি দিবস” মাকাল ফলের রঙে পালিত হলেও আমাদের মাঝে সেটিও অনুপস্থিত। মাঝে মাঝে অসাম্প্রদায়িক রীতি-নীতির বেশ কুচর্চা করলেও প্রকৃত মানবিক গুণাবলির চরমপন্থা অবলম্বন করেছেন দেশীয় কথিত সুধিসমাজ (সুবিধাভোগী)।
আমরা সকলেই মানবিক হওয়ার চেষ্টা করি। বাঙালি মুসলিম সমাজের ধর্মীয় মূল্যবোধের জায়গাটুকু পূরণ করি। সকলের জায়গা থেকে সাম্য, মানবিক মর্যাদা ও সামাজিক সুবিচার নিশ্চিত করণের প্রতিজ্ঞা বদ্ধ হই। আমাদের সমাজের সোহাগের মায়েদের গল্পগুলো পরিবর্তন হয়ে যাবে ইনশাআল্লাহ।