fbpx
সংবাদ শিরোনাম

লজ্জাবতী গাছের গুণ

                                           
মোসফিকা আক্তার
প্রকাশ : শনিবার, ১৭ জুলাই, ২০২১
লজ্জাবতী গাছের গুণ

লজ্জাবতী( লাতিন” mimosa”)হলো প্রায় ৪০০ প্রজাতির গুল্ম ও লতার একটি গণের নাম যা লেগিউম জাতীয় ফ্যাবায়েসি পরিবারের mimosoideac উপ পরিবারের অন্তর্গত।এই গনটির নাম এসেছে গ্রিক ভাষার শব্দ uruoc(mimos) থেকে যার অর্থ নকল এবং মেয়েলি প্রত্যয়ে osa অনুরূপ এর সংবেদনশীল পাতাগুলির নির্দেশে যা সচেতনভাবে প্রতিক্রিয়া জানানোর ভান করে বলে মনে করা হয়। এর দ্বি- পক্ষল পাতা রয়েছে। এর মধ্যে সবচেয়ে পরিচিতি প্রজাতি হলো mimosa pudical এর পাতা ছোঁয়া মাত্র বন্ধ হয়ে যায়।

তাপের প্রভাবে,বা সন্ধ্যা বেলাতে ও পাতা বন্ধ হয়ে যায়। মূলত সিসমোন্যা স্টিক চলন(seismonastic movcmcnt) এর প্রভাবেই এর পাতা বন্ধ হয়ে যায়। থোকায় থোকায় ফুল ফোটে। এর ফলগুলো চ্যাপ্টা বাঁকা লম্বাটে। অনেকে একে লতা বা অঞ্জলিকারিকা ও বলে থাকেন।এই গাছের শেকড় বেটে গুড়ো করে ডায়রিয়ার জন্য খাওয়া হয়ে থাকে। পাতা ঘা- পাঁচড়া নিরাময়ের জন্য ব্যবহার করা হয়। গাছের পাতা ও ফুল বেটে শরীরের ক্ষতের স্থানে ব্যবহার করা হয়। বাতজ্বর বা হাড়ের ব্যাথায় ও এই গাছটি বেটে দিলে উপকার পাওয়া যায়।

এছাড়াও আমাশয়, হাত- পায় জলুনির জন্য অনেকে লজ্জাবতী গাছের মিশ্রণ ব্যবহার করেন।ঔষধি গুণাগুণ : লজ্জাবতীর ঔষধি গুণাগুণ অত্যন্ত বেশি। নানা রোগের চিকিৎসায় হারবাল মেডিসিন তৈরিতে এর ব্যবহার যুগযুগ ধরে চলে আসছে। নাক, কান, দাঁত ও ক্ষুদ্রনালির ঘা সারাতে লজ্জাবতীর শিকড় লতা-পাতার ব্যবহার দেশে বিদেশে বহুল প্রচলিত। জন্ডিস, অ্যাজমা, টিউমার, হুপিংকফ, চর্মরোগ, ডায়াবেটিক্সসহ, হার্ট, লিভারের নানা রোগ সারাতে মাইমোসার ঔষধি গুণাগুণ খুব বেশি।লজ্জাবতী গাছ

লজ্জাবতীর উৎপত্তি স্থান : অনেকে মনে করেন মেক্সিকো লজ্জাবতীর উৎপত্তি স্থান। দক্ষিণ পূর্ব এশিয়া, আমেরিকার উত্তর-দক্ষিণ কোস্টাল বেল্টে আফ্রিকার অনেক দেশে ও অস্ট্রেলিয়ায় প্রচুর লজ্জাবতী দেখা যায়। ট্রপিক ও সাব-ট্রপিকের আওতাধীন সব দেশে লজ্জাবতী ভালো জন্মে। ভারতের রাজস্থানে বিভিন্ন বাগানে কভার ফসল হিসেবে ও গ্রিন ম্যানুয়ারিং ফসল হিসেবে চাষ প্রচলন আছে।

জাত : পৃথিবীতে অনেক রকম জাতের লজ্জাবতী দেখা যায়। তবে জায়ান্ট মাইমোসা (কাঁটাবিহীন লজ্জাবতী) ডাঙ্গায় এবং ওয়াটার মাইমোসা অগভীর পানিতে চাষের প্রচলন বেশি দেখা যায়। বিশেষ প্রয়োজনে এ দুটি জাতের চাষাবাদে চাষিদের আগ্রহ প্রতিনিয়তই বাড়ছে। তবে আস্ট্রেলিয়ার কোনো কোনো এলাকায় প্রাকৃতিকভাবে তা অত্যাধিক বৃদ্ধি পাওয়ায় তা ক্ষতিকারক ঘাস প্রধানত: দুইভাবে, বীজ থেকে অথবা পুষ্ট লতা কেটে তা রোপণের মাধ্যমে চাষাবাদ করা যায়। আগস্ট মাস হতে লতায় ফুল ধরা আরম্ভ করে এবং ক্রমান্বয়ে সেপ্টেম্বর হতে ফেব্রুয়ারি মাস পর্যন্ত ফল পাকা আরম্ভ করে। এ সময় পাকা ফল থেকে বীজ সংগ্রহ করা যায়। বীজের জীবনী শক্তি খুব বেশি। সংরক্ষিত বীজে ৫০ বছর পর্যন্ত অঙ্কুরোদগম ক্ষমতা বজায় থাকে। মাইমোসার বীজ খুব ছোট। প্রতি ১০০০টা বীজের ওজন প্রায় ৬ গ্রাম।

পান গাছের উপকারিতা 

ওয়াটার মাইমোসা

এটি অগভীর পানিতে ভালো জন্মে। খাল-বিল, নালা-নর্দমা ও পুকুরে সহজেই ওয়াটার মাইমোসার চাষ করা যায়। পুকুর পাড়ের পানির উপরিভাগে ২ থেকে ৩ ফুট দূরত্বে চারা বা কাটিং লাগালে তা দ্রুত কলমির মতো ছড়িয়ে পড়ে। এ গাছের লতা সাধারণত ১০ থেকে ২০ ফুট পর্যন্ত ছাড়াতে দেখা যায়। এছাড়াও লতার শাখা প্রশাখা দুইধারে বাড়তে থাকে। লতার প্রতি গিঁটে যে পাতা মঞ্জুরি বের হয় তার প্রতিটির উভয় পাশে জোড়ায় জোড়ায় ২০-৪০টা ক্ষুদ্র পাতা গজায় এবং পানির উপরিভাগে বৃদ্ধি পেয়ে ভেসে থাকে। লতার প্রতি গিঁট থেকে প্রচুর গুচ্ছমূল গজায়।

এর প্রভাবে মাছ ও জলজ প্রাণীর কষ্টের কারণ হয়ে দাঁড়ায়। এসব পুকুর পাড়ে ওয়াটার মাইমোসা চাষের মাধ্যমে এ প্রতিকূলতা দূর করা যায়, পানিকে ঠান্ডা রাখা সহজ হয়। ওয়াটার মাইমোসার গুচ্ছ শিকড়ের ভেতর কৈ, তেলাপিয়া মাছে ডিম পাড়ে এবং তা ছোট মাছের আশ্রয় স্থান হিসেবে কাজে লাগে। মাগুর, শিং, কৈ, তেলাপিয়া জাতীয় পুকুরের সব মাছ মাইমোসার শিকড়, কচি লতা-পাতা ও ফুল খেয়ে দ্রুত বৃদ্ধি পায়। উত্তরাঞ্চলের খরা প্রধান এলাকায় ও দক্ষিণাঞ্চলের উপকূলীয় এলাকায় এ জাতের মাইমোসা পুকুর ও নালায় চাষ করে এর সুফল আহরণ করা প্রয়োজন চারা তৈরি করে নিয়ে অথবা লতার কাটিং এপ্রিল/মে মাসে লাগানোর উপযোগী। পুকুর পাড়ে পানির স্তরের ৮-১০ ইঞ্চি উপরে রসালো মাটিতে ২-৩ ফুট দূরুত্বে চারা/কাটিং রোপণ করতে হয়। লাগানোর অল্প সময়ের মধ্যে তা বাড়তে থাকে।লজ্জাবতী গাছ

ওয়াটার মাইমোসা এপ্রিল/মে মাসে হতে সেপ্টেম্বর মাস পর্যন্ত দ্রুত বাড়ে। এ সময় চাহিদা মতো লতা-পাতা রেখে কিছু ছেঁটে দিয়ে মাছ ধরা ও মাছের অবাধ চলাচল সুবিধা নিশ্চিত করা প্রয়োজন। অক্টোবর-নভেম্বর মাসে লতায় ফল ধরে এবং শীতে বৃদ্ধি বন্ধ হয়ে যায়। এ সময় পুরাতন লতা কমিয়ে দিয়ে সেগুলো জ্বালানি বা জৈবসার হিসেবে ব্যবহার করা যায়। পুকুরে অতিরিক্ত ছড়ানো ওয়াটার মাইমোসা, চাষকৃত মাছের অবাধ চলাচলে প্রতিবন্ধকতা, আলো বাতাস ও সরবরাহকৃত খাদ্য গ্রহণে মাছের জন্য যেন অন্তরায় না হয়, সেদিকে খেয়াল রাখা অত্যাবশ্যক। বাড়ন্ত মৌসুমে কলমির মতো ওয়াটার মাইমোসার কচি লতা-পাতা, ফুল-ফল সবজি হিসেবে আহারের প্রচলন করার ব্যবস্থা নেয়া প্রয়োজন। তাতে সাধারণ জনগণ এ পুষ্টিকর সবজি আহার সুবিধা পাবে এবং পুকুরে এ মাইমোসা অত্যাধিক ছড়ানো রোধ হবে।গুণাগুণঃ- এই উদ্ভিদটি প্রকৃতিতে একটু ভিন্ন প্রকারের। স্পর্ষের সাথে সাথে এটি গুটিয়ে যায় বলে এর নাম লজ্জাবতী নাম হয়েছে। এ কারনে হয়তো এর প্রতি অনেকে আকৃষ্ট হয়। এর মাঝে হয়ত অন্য কোনো রহস্যও থাকতে পারে। এনিয়ে আরো গবেষণারও প্রয়োজন রয়েছে। এ উদ্ভিদের অনেক ঔষধী গুনাগুন রয়েছে। হাত পা জ্বালায়, অর্শ রোগে, রক্তপিত্তে, যোনি ক্ষতে, নাড়ী সরে আসায়, আঁধারযোনি ক্ষতে, আমাশয়, দমকা ভেদ, মল কাঠিন্যে, বিসর্পে, দাঁতের মাড়ি ক্ষতে, বগলে দুর্গন্ধ, দুষ্ট ক্ষতে, পোড়া নারিঙ্গায়, হারিশে, কানের পুঁজে, রমনে অতৃপ্তি, মিথুন দন্ডের শৈথিল্যে, গ্রন্থিবাত, কুজ্জতায়, সংগ্রহ গ্রহণী রোগ ইত্যাদিতে এর ঔষধী গুনাগুন রয়েছে।

ঔষধি গুণাগুণ : লজ্জাবতীর ঔষধি গুণাগুণ অত্যন্ত বেশি। নানা রোগের চিকিৎসায় হারবাল মেডিসিন তৈরিতে এর ব্যবহার যুগযুগ ধরে চলে আসছে। নাক, কান, দাঁত ও ক্ষুদ্রনালির ঘা সারাতে লজ্জাবতীর শিকড় লতা-পাতার ব্যবহার দেশে বিদেশে বহুল প্রচলিত। জন্ডিস, অ্যাজমা, টিউমার, হুপিংকফ, চর্মরোগ, ডায়াবেটিক্সসহ, হার্ট, লিভারের নানা রোগ সারাতে মাইমোসার ঔষধি গুণাগুণ খুব বেশি।

লজ্জাবতীর উৎপত্তি স্থান : অনেকে মনে করেন মেক্সিকো লজ্জাবতীর উৎপত্তি স্থান। দক্ষিণ পূর্ব এশিয়া, আমেরিকার উত্তর-দক্ষিণ কোস্টাল বেল্টে আফ্রিকার অনেক দেশে ও অস্ট্রেলিয়ায় প্রচুর লজ্জাবতী দেখা যায়। ট্রপিক ও সাব-ট্রপিকের আওতাধীন সব দেশে লজ্জাবতী ভালো জন্মে। ভারতের রাজস্থানে বিভিন্ন বাগানে কভার ফসল হিসেবে ও গ্রিন ম্যানুয়ারিং ফসল হিসেবে চাষ প্রচলন আছে।

 

জাত : পৃথিবীতে অনেক রকম জাতের লজ্জাবতী দেখা যায়। তবে জায়ান্ট মাইমোসা (কাঁটাবিহীন লজ্জাবতী) ডাঙ্গায় এবং ওয়াটার মাইমোসা অগভীর পানিতে চাষের প্রচলন বেশি দেখা যায়। বিশেষ প্রয়োজনে এ দুটি জাতের চাষাবাদে চাষিদের আগ্রহ প্রতিনিয়তই বাড়ছে। তবে আস্ট্রেলিয়ার কোনো কোনো এলাকায় প্রাকৃতিকভাবে তা অত্যাধিক বৃদ্ধি পাওয়ায় তা ক্ষতিকারক ঘাস প্রধানত: দুইভাবে, বীজ থেকে অথবা পুষ্ট লতা কেটে তা রোপণের মাধ্যমে চাষাবাদ করা যায়। আগস্ট মাস হতে লতায় ফুল ধরা আরম্ভ করে এবং ক্রমান্বয়ে সেপ্টেম্বর হতে ফেব্রুয়ারি মাস পর্যন্ত ফল পাকা আরম্ভ করে। এ সময় পাকা ফল থেকে বীজ সংগ্রহ করা যায়। বীজের জীবনী শক্তি খুব বেশি। সংরক্ষিত বীজে ৫০ বছর পর্যন্ত অঙ্কুরোদগম ক্ষমতা বজায় থাকে। মাইমোসার বীজ খুব ছোট। প্রতি ১০০০টা বীজের ওজন প্রায় ৬ গ্রাম।

চিরতা গাছের উপকারিতা পড়ুন

ওয়াটার মাইমোসা

এটি অগভীর পানিতে ভালো জন্মে। খাল-বিল, নালা-নর্দমা ও পুকুরে সহজেই ওয়াটার মাইমোসার চাষ করা যায়। পুকুর পাড়ের পানির উপরিভাগে ২ থেকে ৩ ফুট দূরত্বে চারা বা কাটিং লাগালে তা দ্রুত কলমির মতো ছড়িয়ে পড়ে। এ গাছের লতা সাধারণত ১০ থেকে ২০ ফুট পর্যন্ত ছাড়াতে দেখা যায়। এছাড়াও লতার শাখা প্রশাখা দুইধারে বাড়তে থাকে। লতার প্রতি গিঁটে যে পাতা মঞ্জুরি বের হয় তার প্রতিটির উভয় পাশে জোড়ায় জোড়ায় ২০-৪০টা ক্ষুদ্র পাতা গজায় এবং পানির উপরিভাগে বৃদ্ধি পেয়ে ভেসে থাকে। লতার প্রতি গিঁট থেকে প্রচুর গুচ্ছমূল গজায়।

এর প্রভাবে মাছ ও জলজ প্রাণীর কষ্টের কারণ হয়ে দাঁড়ায়। এসব পুকুর পাড়ে ওয়াটার মাইমোসা চাষের মাধ্যমে এ প্রতিকূলতা দূর করা যায়, পানিকে ঠান্ডা রাখা সহজ হয়। ওয়াটার মাইমোসার গুচ্ছ শিকড়ের ভেতর কৈ, তেলাপিয়া মাছে ডিম পাড়ে এবং তা ছোট মাছের আশ্রয় স্থান হিসেবে কাজে লাগে। মাগুর, শিং, কৈ, তেলাপিয়া জাতীয় পুকুরের সব মাছ মাইমোসার শিকড়, কচি লতা-পাতা ও ফুল খেয়ে দ্রুত বৃদ্ধি পায়। উত্তরাঞ্চলের খরা প্রধান এলাকায় ও দক্ষিণাঞ্চলের উপকূলীয় এলাকায় এ জাতের মাইমোসা পুকুর ও নালায় চাষ করে এর সুফল আহরণ করা প্রয়োজন চারা তৈরি করে নিয়ে অথবা লতার কাটিং এপ্রিল/মে মাসে লাগানোর উপযোগী। পুকুর পাড়ে পানির স্তরের ৮-১০ ইঞ্চি উপরে রসালো মাটিতে ২-৩ ফুট দূরুত্বে চারা/কাটিং রোপণ করতে হয়। লাগানোর অল্প সময়ের মধ্যে তা বাড়তে থাকে।

ওয়াটার মাইমোসা এপ্রিল/মে মাসে হতে সেপ্টেম্বর মাস পর্যন্ত দ্রুত বাড়ে। এ সময় চাহিদা মতো লতা-পাতা রেখে কিছু ছেঁটে দিয়ে মাছ ধরা ও মাছের অবাধ চলাচল সুবিধা নিশ্চিত করা প্রয়োজন। অক্টোবর-নভেম্বর মাসে লতায় ফল দেখা যায়।

–পা জ্বালা, অর্শ্ব, রক্তপিত্ত, যোনির ক্ষত,নাড়ি সরে আসায়, আঁধার যোনি ক্ষতে,আমাশয়, দমকা ভেদ, মল কাঠিন্যে, দাঁতেরমাড়ি ক্ষতে, বগলে দুর্গন্ধ, কানের পুঁজে,গ্রন্থিবাত, কুজ্জতা বিভিন্ন রোগে লজ্জাবতীবেশ উপকারী।

আজ আমরা জেনে নেই কিভাবে লজ্জাবতীখেতে হবে

হাত–পা জ্বালা নিরাময়ে: হাত–পা জ্বালারসঙ্গে শরীরে জ্বর থাকে। এটা সাধারণত বর্ষাও শরৎকালে পিত্ত বিকারে দেখা দেয়। এক্ষেত্রে লজ্জাবতীর গাছ মূল পাতা ১০ গ্রাম ৪কাপ পানিতে সিদ্ধ করে এক কাপ থাকতেনামিয়ে ছেঁকে সেবন করলে উপকারে লাগে।

অর্শ্ব রোগ: অর্শ্বের বলিতে জ্বালা বেশি। ঝালনা খেয়েও যেন সেই রকম যন্ত্রণা। তার সঙ্গেরক্তস্রাবও বেশি হতে থাকে। এক্ষেত্রে গাছে ওমূলে ১০ গ্রাম আন্দাজ এক কাপ দুধ ও তিনকাপ পানি এক সঙ্গে মিশিয়ে একত্রে সিদ্ধকরে এক কাপ থাকতে নামিয়ে ছেঁকে নিয়েপ্রত্যেক দিন সকাল–বিকেল দু’বার খেতেহবে। ছাগলের দুধ হলে ভাল হবে।

নাড়ি সরে আসা: বহু প্রসূতি সন্তান প্রসবেরসময় ধাত্রীর অসাবধানতায় নাড়ি সরে যায়,উঁচু হয়ে বসতে গেলে অস্বস্তিবোধ করে।এক্ষেত্রে লজ্জাবতীর ১০ গ্রাম আন্দাজগাছপাতা চার কাপ পানিতে সিদ্ধ করে এককাপ থাকতে নামিয়ে ছেঁকে নিয়ে এটাপ্রতিদিন সকাল–বিকেল দু’বার খেলে ঠিকহয়ে যাবে।

আমাশয়: লজ্জাবতীর ডাঁটা পাতা মিলিয়ে ১০গ্রাম সিদ্ধ করে ছেঁকে খেতে হবে। আর যাদেরআমযুক্ত পায়খানা হয়, তারা শুধু পাঁচ বা ছয়গ্রাম সিদ্ধ করে ছেঁকে ওই পানি খেলে উপকারপাবেন।

ঘামের দুর্গন্ধ দূরে: অনেকের ঘামে দুর্গন্ধ হয়এবং পোশাকে হলদে দাগ লাগে। এক্ষেত্রেলজ্জাবতী গাছের ডাঁটা ও পাতার ক্বাথ তৈরিকরে বগল ও শরীর মাখতে হবে। তাহলে এঅসুবিধা দূর হবে।

যৌনি ক্ষতে: যে কোন কারনে যনিপথে ক্ষতহলে, প্রথমিক স্তরে মাঝে মাঝে অথবা প্রায়রোজই অল্প স্রাব চলতে থাকে, একটা আশটেগন্ধ, কখনো বা একটু লালচে স্রাব হয়, এসবক্ষেত্রে চিকিৎসক সাবধান করে থাকেন, এটিপরিণামে ক্যান্সার হয়ে যেতে পারে। এক্ষেত্রেদুধ–জলে সিদ্ধ করা লজ্জাবতীর কাথ দিনে ২বার খেলে এ রোগ উপশম হয়। একই সাথেলজ্জাবতীর ক্বাথ দিয়ে ডুশ দিলে বা যোনিপথধুলে তাড়াতাড়ি ক্ষত সেরে যায়।

আঁধার যোনি ক্ষতে: এ বিচিত্র রোগটিকৃষ্ণপক্ষে বেড়ে যায় আর শুক্লপক্ষে শুকাতেথাকে । এ ক্ষতটি হয় সাধারণত হাটুর নিচে,আর না হয় কুঁচকির দু’ধারে। এক্ষেত্রে গাছওপাতা (মূল বাদে) ১০ গ্রাম শুধু জল দিয়ে ক্বাথকরে খেতে হয় এবং ঐ ক্বাথ দিয়ে মুছতে হয়,ফলে অসুবিধা দুর হয়।

রমনে অতৃপ্তি: কয়েকটি সন্তান হওয়ার পরপ্রসবদ্বারের শৈথিল্য হয়েছে , সেটার অনেকটামেরামত করে দিয়ে থাকে এ লজ্জাবতীরক্বাথের ডুশ নেওয়ায়, আর গাছের পাতা সিদ্ধক্বাথ দিয়ে তৈরি তেলে ন্যাকড়া ভিজিয়েপিচুধারণ কারালে এছাড়া অন্ডকোষের পানিজমা সারাতে পাতার পেস্ট ব্যবহার করা হয়।

আমাশয়: অনেকের আছে পুরানো আমাশয় ।মল ত্যাগের বেগ হলে আর অপেক্ষা করতেপারে না । গিয়ে প্রথমে যা হল তারপর আরহতে চায় না ।আবার অনেকের শক্ত মলেরগায়ে সাদা সাদা আম জড়ানো থাকে। এক্ষেত্রে১০ গ্রাম লজ্জাবতীর ডাঁটা ও পাতা ৪ কাপপানিতে সিদ্ধ করে ১ কাপ থাকতে নামিয়েছেঁকে নিতে হবে। এ ক্বাথ খেলে তারা অবশ্যইউপকার পাবেন।

দুর্গন্ধ দুর করতে: অনেকের ঘামে দুর্গন্ধ হয়এবং জামায় বা গেঞ্জিতে হলদে দাগ লাগে,এক্ষেত্রে লজ্জাবতী গাছের ডাঁটা ও পাতারক্বাথ তৈরি করে বগল ও শরীর মুছতে হবে বালাগাতে হবে। তাহলে এ অসুবিধা দুর হবে।

কোষ্ঠকাঠিন্য: অনেকের মল গুলটে হয়ে যায়,বুলেটের মত কয়েকটা বের হয়, আর কিছুইনেই। এক্ষেত্রে মূল ৭ /৮ গ্রাম থেঁতো করে সিদ্ধকরতে হবে এবং ছেঁকে ঐ পানিটা খেতে হবে।তাহলে উপকার হবে।

সংবাদটি শেয়ার করুন


এই বিভাগ থেকে পড়ুন