fbpx
সংবাদ শিরোনাম

নওগাঁর ঐতিহ্যবাহী পাহাড়পুর

                                           
প্রকাশ : সোমবার, ১ ফেব্রুয়ারি, ২০২১
নওগাঁর ঐতিহ্যবাহী পাহাড়পুর

পাহাড়পুর বৌদ্ধবিহার বা সোমপুর বিহার বা সোমপুর মহাবিহার বর্তমানে ধ্বংসপ্রাপ্ত একটি প্রাচীন বৌদ্ধ বিহার। পালবংশের দ্বিতীয় রাজা শ্রী ধর্ম দেব(৭৮১-৮২১)অষ্টম শতকের শেষের দিকে বা নবমশতকে এই বিহার তৈরী করেছিলেন। পরে ১৮৭৯ সালে স্যার আলেকজান্ডার কানিংহাম এই বিশাল স্হাপনা আবিষ্কার করেন।

পাহাড়পুরকে পৃথিবীর সবচেয়ে বড় বৌদ্ধবিহার বলা যেতে পারে। আয়তানে এর সাথে ভরতের নালন্দা মহা বিহারের তুলনা হতে পারে। ৩০০ বছর ধরে এটি বৌদ্ধদের অতি বিখ্যাত ধর্ম শিক্ষাদান কেন্দ্র ছিল। ১৯৮৫ সালে ইউনেস্কো এটিকে বিশ্ব ঐতিহ্যবাহী স্হানের স্বীকৃতি প্রধান করে এর গঠনশৈলী এত সুন্দর। এমন বিশাল একটি স্থাপত্য নিমান করেছিল।এছাড়াও এখানে একটি যাদুঘর আছে।

পাহাড়পুর সংলগ্ন জাদুঘরে সংরক্ষিত উল্লেখযোগ্য মূর্তি বেলে পাথরের চামুন্ডা মূর্তি, লাল পাথরের দন্ডায়মান শীতল মূর্তি, কৃষ্ণ পাথরের বিষ্ণুর খন্ডাংশ কৃষ্ণ পাথরের দন্ডায়মান গনেশ, বেলে পাথরের কীর্তি মৃর্তি, দুবলহাটির মহারানীর তৈলচিত্র, হরগৌরী ক্ষতিগ্রস্ত মৃর্তি, কৃষ্ণ পাথরের লক্ষ্মী নারায়নের ভগ্ন মৃর্তি, কৃষ্ণ পাথরের উমা মুর্তি, বেলে পাথরের গৌরী মুর্তি, বেলে পাথরের বিষ্ণু মুর্তি, নন্দী মুর্তি, কৃষ্ণ পাথরের বিষ্ণু মুর্তি, সূর্য মুর্তি, কৃষ্ণ পাথরের শিবলিঙ্গ, বেলে পাথরের মনসা মুর্তি, বৌদ্ধবিহারের একটি পুরো মডেল ডিসপ্লে করা আছে। যা দেখে আপনি অনেকটাই প্রাচীন বৌদ্ধবিহারের ধারণা পাবেন না।

অষ্টম শতকের শেষের দিকে পালবংশের দ্বিতীয় রাজ শ্রী ধর্মপালদের এই বিহার তৈরী করেছিলেন। পাহাড় পুর বাংলাদেশের একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রত্নস্হল যা উওরবঙ্গের প্লাবন ভূমিতে অবস্থিত। এটি নওগাঁ জেলা ও বাধলগাছী থানায় অধীনস্থ পাহাড় পুর গ্রামে অবস্হিত। নামের উৎপত্তি বিস্তীর্ণ একটানা সমভূমির মাঝে। এক সুউচ্চ প্রাচীন মন্দিরের ধ্বংসারশেষে স্হানীয়ভাবে পাহাড় নামে পরিচিত। এ ধ্বংসেরশেষে অবস্থান থেকে পাহাড়পুর নামে উৎপত্তি হয়েছে এই বিহারে মোট ১৭৭ টি ঘর রয়েছে। ঘরগুলো বৌদ্ধ ভিক্ষরা বাস করতেন।বিহারের অন্তর্বর্তী স্হানের উন্মুক্ত চত্বরের মধ্যবর্তী স্হানে কেন্দ্রীয় মন্দিরের ধ্বংশারশেষ পাওয়া যায়।কালের বিবর্তন মন্দিরের সবচেয়ে উপরের অংশ ধসে গেছে। বিহারের দক্ষিণ -পূর্ব কোন থেকে প্রাচীন বাইরে শানবাঁধানো ঘাট আছে। এটাকে সন্ধ্যা বতীর ঘাট বলা হয়।

এটি ১৯১৯ সালে সংরক্ষিত পুরাকীর্তি হিসেবে ঘোষিত হয়। এটির অবস্থানঃ পাহাড়পুর নওগাঁ, বাংলাদেশ ভৌগোলিক স্হানান্কঃ ২৫.০৩১১ ডিগ্রি, উওর ৮৮.৯৭৭৩ ডিগ্রি পূর্ব, প্রতিষ্ঠানঃ রাজা ধর্মপাল, প্রতিষ্ঠার তারিখঃ ৮ম শতাব্দী যার উচ্চতা ঃ ৮০ ফুট(২৪মিটার)।

সংবাদটি শেয়ার করুন


এই বিভাগ থেকে পড়ুন