fbpx
সংবাদ শিরোনাম
জবির বরগুনা জেলা ছাত্রকল্যাণের সভাপতি সোয়েব, সম্পাদক আলিফ রিয়েলিটি শো বিউটি কুইনের দ্বিতীয় অডিশন ১৮ অক্টোবর খেলার মাঠের অভাবে যুবসমাজ বিপথগামী: নেশায় জড়াচ্ছে তরুণরা সংখ্যালঘুদের ক্ষতিপূরণ দেয়া হবে : উপদেষ্টা নাহিদ ইসলাম দ্রব্যমূল্য খুব সহসা নিয়ন্ত্রণে আসবে বলে সরকার আশাবাদী শিশুর বিরুদ্ধে সহিংসতা ও বাল্যবিবাহ প্রতিরোধে সম্মিলিতভাবে কাজ করতে হবে পর্নোগ্রাফি কি দেহ ও মনের ক্ষতি সাধন করে? সুন্দরবনে বাঘের সংখ্যা ১২৫, বাঘ বেড়েছে ১১টি, বৃদ্ধির হার ৯.৬৫ শতাংশ – পরিবেশ ও বন উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান মহানবী (সাঃ) কে কটুক্তি করায় মেহেরপুরে উলামা পরিষদের বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ মেহেরপুরে মাদক বিরোধী অভিযানে ৫ কেজি গাঁজাসহ গ্রেফতার ১
নোটিশ :

জনপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল ‘দৈনিক দেশান্তর’ এ সারাদেশে প্রতিনিধি নিয়োগ দেওয়া হচ্ছে। এজন্য দেশের বিভিন্ন জেলা, উপজেলা ও বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রতিনিধি হিসেবে কাজ করতে আগ্রহীদের কাছ থেকে আবেদন আহবান করেছে প্রতিষ্ঠানটি। আগ্রহীদের ই-মেইলে সিভি পাঠানোর জন্য বলা হয়েছে। সিভি পাঠানোর ই-মেইল: dainikdeshantar@gmail.com  অথবা ০১৭৮৮-৪০৫০৯১ এ যোগাযোগ করুন।

৩৬ বছরের যুবকের সাথে ১৫ বছরের কিশোরীর বিয়ে; মেহেদি রাঙা হাত নিয়েই নববধূর আত্মহত্যা

                                           
প্রকাশের সময় মঙ্গলবার, ৬ জুলাই, ২০২১

মোঃ আঞ্জুমান হোসেনঃ গরিব ঘরে জন্মালেও স্বপ্ন ছিল আকাশচুম্বী। ইচ্ছা ছিল সার্বোচ্চ ডিগ্রি অর্জনের। কিন্তু মেধাবী এ ছাত্রীর সব স্বপ্নই চুরমার করে দিল নানা-নানি। মাত্র ১৫ বছর বয়সে ৩৬ বছরের এক যুবকের সঙ্গে বিয়ে দেওয়া হয়। বাসর ঘরে গিয়ে কিশোরী বধূ জানলেন স্বামী এর আগেও তিনটি বিয়ে করেছেন। আর এ নিয়ে অভিমানে বেছে নেন আত্মহত্যার পথ। মেহেদি রাঙা হাত নিয়েই জীবনের ইতি টানেন নববধূ।

সোমবার বিকেলে উপজেলার কাজিপুর গ্রাম থেকে মিতার ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। তার স্বামীর নাম রফিকুল ইসলাম। তিনি একই গ্রামের বাসিন্দা। রোববার বিকেলে পরিবারের চাপে বিয়ের পিঁড়িতে বসতে বাধ্য হন মিতা।

স্থানীয়রা জানায়, মিতার স্বামী রফিকুল প্রথমে ভারতীয় এক মেয়েকে বিয়ে করেন। এরপর তাদের বিচ্ছেদ হয়। বছর দুয়েক আগে তিনি আরো দুটি বিয়ে করেন। কিন্তু এক সপ্তাহ না যেতেই তারাও চলে যান। এটি ছিল তার চতুর্থ বিয়ে। কোনো স্ত্রীকে ভাত-কাপড় না দেওয়ায় এমনটি হয়েছে বলে দাবি স্থানীয়দের।

মিতার স্বজনরা জানান, মিতার বাবা মহিদুলের বাড়ি কুষ্টিয়ার দৌলতপুর উপজেলার ধর্মদহ গ্রামে। বাবার সঙ্গে মা ববিতা খাতুনের ছাড়াছাড়ি হওয়ার পর কাজিপুর হালশানাপাড়ায় নানা ইন্নাল হকের কাছে চলে আসেন মিতা ও তার মা। সেখানে থেকেই মিতা লেখাপড়া করতেন আর মা ববিতা খাতুন ঢাকায় গার্মেন্টসে কাজ করেন।

মিতার নানি মর্জিনা খাতুন বলেন, ‘আমি কোলে-পিঠে করে মানুষ করেছি। অভাবের সংসার আমার। তাই বিদেশি ছেলের সঙ্গে সুখে থাকবে বলে নাতনিকে বিয়ে দেই। কিন্তু নাতনি আমাদের ছেড়ে চলে গেল।

জানা গেছে, বাল্যবিয়ের ভয়ে বাড়ি ছেড়ে সাহেবনগর গ্রামে এক আত্মীয়ের বাড়িতে চলে যান মিতা। তবু রক্ষা পাননি তিনি। নানাবাড়ির লোকজন ধরে এনে জোর করে রফিকুলের সঙ্গে বিয়ে দেন। আর এ ক্ষোভ থেকেই আত্মহত্যা করেন।

কাজিপুর মধ্যপাড়া মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক হাবীবা দিপা বলেন, মিতা অত্যন্ত মেধাবী ছিল। কোনো ছেলের সঙ্গে কখনো কথা বলতে দেখিনি। তার এ সুন্দর জীবনটা নিয়ে খেলা করা হয়েছে। সত্যিই খুব দুঃখজনক ঘটনা ঘটেছে।

গাংনী থানার ওসি বজলুর রহমান জানান, লাশ উদ্ধার করে মেহেরপুর জেনারেল হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। তবে এটি হত্যা নাকি আত্মহত্যা তা এখনই বলা যাচ্ছে না। ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন পেলে মৃত্যুর আসল কারণ জানা যাবে। এ ঘটনায় একটি অপমৃত্যু মামলা হয়েছে।

সংবাদটি শেয়ার করুন

বিজ্ঞাপন

Raw Food BD Mustard Oil

আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই বিভাগ থেকে পড়ুন
Raw Food BD Mustard Oil