ভালোবাসায় পরিপূর্ণ একটি আকাশ–
তোমার হাতে তুলে দিয়ে বলেছিলাম,
“নাও, এই সুখকর নীলাভ আকাশ তোমার।
ভালোবাসার ডানায় ভর করে যেমন পারো উড়ো…।”
কিছুদিন যেমন খুশি তেমন উড়োউড়ির পর বললে,
“এই আকাশ আমার হবে না,
এমন আকাশ আমি চাইনি।
আরো বিশাল চাই, আরো বিশাল, আরো নীলাভ ও সুখকর আকাশ চাই।”
মৃদু হেসে সরল ভঙ্গিতে বললাম,
তবে, কোন আকাশ চাও তুমি?
ওই ভালোবাসাহীন শূন্য আকাশ চাও বুঝি?
যেখানে পাখিরাও এখন আকাশ ভালোবেসে–
মুক্ত ডানায় ভর করে উড়তে পারে না।
যেখানে বাতাসের সাথে নীলাভ আকাশ হতে–
কোনো সুখকর বার্তা বয়ে আসে না।
যে আকাশ এখন দগ্ধ প্রায়, পুড়ে যাওয়া ক্ষত নিয়ে বয়ে বেড়ায়;
পুড়া পুড়া গন্ধ বের হয় পাখি এবং পাখিদের ডানা হতে।
তুমি ওই আকাশ চাও?
নীল আকাশের ঝরো ঝরো বৃষ্টি ভালোবেসে জোড়া শালিকও–
এখন আর ঠোঁট ভিজায় না ভয়ে-আতঙ্কে; বিষাক্ত বৃষ্টি।
রুক্ষ তাদের ঠোঁট ভালোবাসাহীনতায়,
নেই কোনো শুদ্ধতম চুম্বনের উষ্ণতা।
পাশাপাশি অথচ মুখ ফিরিয়ে শূন্য দিগন্ত দেখে জোড়াশালিক,
তারা প্রেম ও সুখকর সঙ্গমে এখন আর তেমন মাতে না।
শূন্য, খাঁ খাঁ করা আকাশের নিচে এক ফোঁটা শুদ্ধ ভালোবাসা পাওয়ার জন্য
তারা এখন চাতক-চাতকী;
ঊর্ধ্বমুখি বছরের পর বছর ধরে– কোথাও ভালোবাসা নেই।
তুমি এই আকাশ চাও?
আকাশ ভালোবেসে যারা বৃষ্টি ছুঁতে চায়
কিংবা বৃষ্টি ভালোবেসে যারা আকাশও ছুঁয়ে দিতে চায়;
এই আকাল দিনে পুড়ে যাচ্ছে তাদের সরল ভালোবাসার ঘর
পুড়ে যাচ্ছে হলুদ আভার ত্বক, শরীর
পুড়ে যাছে শুদ্ধতম প্রেম
পুড়ে যাচ্ছে সুন্দর ও সুন্দরতম রমণী
পুড়ে যাচ্ছে চোখ
পুড়ে যাচ্ছে হৃদয়।
আমি তোমাকে শূন্য আকাশ নয়,
বরং দিয়েছিলাম ভালোবাসায় পরিপূর্ণ একটি হৃদয়;
হৃদয়ের চেয়ে বড় কোনো আকাশ নেই।