fbpx
সংবাদ শিরোনাম
মোস্তাফিজুর রহমান দৈনিক খবরের কণ্ঠের জেলা প্রতিনিধি হিসেবে নিয়োগপ্রাপ্ত বৈষম্য বিরোধী আন্দোলনের শহীদ ও আহতদের স্বরণে স্বরণসভা ওয়ালিউল্লাহ ও মুকাদ্দাসের সন্ধানে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণসহ ১১০ দাবি গাংনীতে বিনামূল্যে স্বাস্থ্যসেবা ও পরামর্শ ক্যাম্প অনুষ্ঠিত  আইনজীবী হত্যার বিচারের দাবিতে মাভাবিপ্রবিতে বিক্ষোভ মিছিল বাংলাদেশে ভারতীয় চ্যানেল সম্প্রচার বন্ধ করা হোক মিরসরাইয়ে জাগ্রত প্রতিভার কার্যকরী পরিষদের দায়িত্ব হস্তান্তর ও গ্রহণ  জনগণের জানমালের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে কেমিক্যাল ব্যবসায়ীদের প্রতি শিল্প উপদেষ্টার আহ্বান কোন অবস্থায় মিথ্যা মামলা নেয়া যাবে না- স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বিএসসি’র ৬টি জাহাজ ক্রয় প্রকল্পের ঋণ পরিশোধের জন্য ৪৭৫.২৫ কোটি টাকার চেক হস্তান্তর

হারিয়ে যাচ্ছে বাঙালির ঐতিহ্যবাহী পালকির প্রচলন

                                           
মোসফিকা আক্তার
Update : মঙ্গলবার, ১৮ মে, ২০২১
হারিয়ে যাচ্ছে বাঙালির ঐতিহ্যবাহী পালকির প্রচলন

গ্রামের মেঠো পথ ধরে বেয়ারারা গানের সুরে পালকি বেয়ে চলেছেন, চার বেহারার পালকি চড়ে, যায়রে কন্যা স্বামীর ঘরে। পালকির ভিতর থেকে নববধু উঁকি মেরে দেখছে, এ জেনো এক অপরুপ দৃশ্য। কান্না ভেজা নয়ন তবু জেনো নতুনত্তের এক স্পন্দন।

এক সময় এই পালকি ছাড়া বিয়ের কথা ভাবাই যেতো না, গরীব, ধনী কিংবা মধ্যবিত্ত সকলেরই একটাই বাহন পালকি। সারাদেশের মতো রূপগঞ্জেও একই অবস্থা ছিল। কালের বির্বতনে চিরায়ত গ্রাম বাংলার ঐতিহ্যের ধারক পালকি আজ আর চোখে পড়ে না। পালকি এখন কালের সাক্ষী হয়ে আছে জাদুঘরে।

এক সময়ে গ্রামবাংলার হাটবাজারে পালকি সাজিয়ে রাখা হতো। বিয়ের আনুষ্ঠানিকতার আগেই পালকিওয়ালাদের কাছে ছুটে যেত বরের আত্মীয় – স্বজনরা। পালকি কাঠ দিয়ে তৈরি করা হতো। চার জনে মিলে পালকি বহন করত। সামনে পেছনে দু’জন করে পালকি কাঁধে নিত।

প্রথমে বরকে পালকিতে করে তার নিজ বাড়ি থেকে কনের বাড়িতে নিয়ে যাওয়া হতো। বিয়ে সম্পন্ন হওয়ার পর বর- কনেকে একসঙ্গে আবার বরের বাড়িতে নিয়ে আসত। পথে পালকিওয়ালাদের গানের সুরে সুরে মুগ্ধ হতেন আশপাশের মানুষ। পালকিওয়ালাদের সেই বিখ্যাত গান আর নাচ দেখার জন্য হুমড়ি খেয়ে পড়ত নানা বয়সী

পালকি নামটির উৎপত্তি ফারসি ও সংস্কৃত উভয় ইন্দো ভারতীয় ভাষা থেকে আর সেই সাথে ফরাসি থেকেও। চক্রযানের বিপ্লবে পালকির জায়গা দখল করে নিয়েছে আধুনিক যানবাহন।হারিয়ে যাচ্ছে বাঙালির ঐতিহ্যবাহী পালকির প্রচলন

হালের লাঙ্গল যেমন গ্রামেও অচল, তেমনি ধনী গরিব নির্বিশেষে সকলের নানা অনুষ্ঠানে ব্যবহার করছে আধুনিক যানবাহন। এমন কি আধুনিকতার ছোঁয়ায় ইদানিং বর-কনের বাহনে যোগ হয়েছে ব্যয়বহুল হেলিকপ্টারও।

এলাকা থেকে হেলিকপ্টারে করে বর যাত্রা গিয়েছেন সফিক মিয়া। হেলিকপ্টারে বর-কনে বহনের ঘটনা তখন পুরো এলাকায় বেশ আলোড়ন সৃষ্টি করেছিল।পালকির কথা শুনলেই নতুন প্রজন্মের ধারকরা হা করে তাকিয়ে থাকেন। ‘পালকি চলে, পালকি চলে গগন তলে আগুন জ্বলে, স্তব্দ গায়ে,আদুল গায়ে যাচ্ছে তারা রৌদ্র সাড়া।’ কিংবা, ‘মনে কর জেনো বিদেশ ঘুরে মাকে নিয়ে যাচ্ছি অনেক দূরে, তুমি যাচ্ছ পালকি তে মা চড়ে।’

বইয়ের পাতায় পালকির কথা আজো উল্লেখ থাকলেও বাস্তবিক সমাজে দেখা মেলেনা পালকির! সভ্যতার ক্রমবিকাশ, যান্ত্রিক যুগ, বিজ্ঞানের অগ্রযাত্রায় হারিয়ে গেছে বাঙ্গালীর ঐতিহ্যের পালকির প্রচলন। এক সময় এই পালকিতে চড়েই নববধু আসতো স্বামীর বাড়িতে। এছাড়া কোথাও বেড়াতে গেলেও পালকিই ছিলো তাদের একমাত্র বাহন! আজ আধুনিকতা আর প্রযুক্তির ছোঁয়ায় মানুষ দ্রুতগতিতে ছুটে চলেছে। ভুলতে বসেছে সংস্কৃতির নিদর্শন গুলো।

এইতো কয়েকটা বছর আগেও যখন মানুষের যোগাযোগের তেমন কোন মাধ্যম ছিলো না তখন একমাত্র যোগাযোগ ব্যাবস্থা ছিলো পালকি। ততকালের জমিদারদের প্রত্যেকেরই পালকি ছিলো, যদিও সাধারণ মানুষের ছিলো না তবে পালকি ভাড়া দিতো একটা সম্প্রদায়। আবহমান বাংলার ঐতিহ্যে ধারক বা বাহন ছিলো এই পালকি। গ্রাম বাংলার প্রকৃতির সাথেই জেনো মিশে গেছে পালকি।

গ্রামের মেঠো পথ ধরে বেয়ারারা গানের সুরে পালকি বেয়ে চলেছেন, চার বেহারার পালকি চড়ে, যায়রে কন্যা স্বামীর ঘরে। পালকির ভিতর থেকে নববধু উঁকি মেরে দেখছে, এ জেনো এক অপরুপ দৃশ্য। কান্না ভেজা নয়ন তবু জেনো নতুনত্তের এক স্পন্দন। এক সময় এই পালকি ছাড়া বিয়ের কথা ভাবাই যেতো না,গরীব, ধনী কিংবা মধ্যবিত্ত সকলেরই একটাই বাহন পালকি।পালকির কথা শুনলেই নতুন প্রজন্মের ধারকরা হা করে তাকিয়ে থাকেন। ‘পালকি চলে, পালকি চলে গগন তলে আগুন জ্বলে, স্তব্দ গায়ে,আদুল গায়ে যাচ্ছে তারা রৌদ্র সাড়া।’ কিংবা, ‘মনে কর জেনো বিদেশ ঘুরে মাকে নিয়ে যাচ্ছি অনেক দূরে, তুমি যাচ্ছ পালকি তে মা চড়ে।’

বইয়ের পাতায় পালকির কথা আজো উল্লেখ থাকলেও বাস্তবিক সমাজে দেখা মেলেনা পালকির! সভ্যতার ক্রমবিকাশ, যান্ত্রিক যুগ, বিজ্ঞানের অগ্রযাত্রায় হারিয়ে গেছে বাঙ্গালীর ঐতিহ্যের পালকির প্রচলন। এক সময় এই পালকিতে চড়েই নববধু আসতো স্বামীর বাড়িতে। এছাড়া কোথাও বেড়াতে গেলেও পালকিই ছিলো তাদের একমাত্র বাহন! আজ আধুনিকতা আর প্রযুক্তির ছোঁয়ায় মানুষ দ্রুতগতিতে ছুটে চলেছে। ভুলতে বসেছে সংস্কৃতির নিদর্শন গুলো।

এইতো কয়েকটা বছর আগেও যখন মানুষের যোগাযোগের তেমন কোন মাধ্যম ছিলো না তখন একমাত্র যোগাযোগ ব্যাবস্থা ছিলো পালকি। ততকালের জমিদারদের প্রত্যেকেরই পালকি ছিলো, যদিও সাধারণ মানুষের ছিলো না তবে পালকি ভাড়া দিতো একটা সম্প্রদায়। আবহমান বাংলার ঐতিহ্যে ধারক বা বাহন ছিলো এই পালকি। গ্রাম বাংলার প্রকৃতির সাথেই জেনো মিশে গেছে পালকি।

গ্রামের মেঠো পথ ধরে বেয়ারারা গানের সুরে পালকি বেয়ে চলেছেন, চার বেহারার পালকি চড়ে, যায়রে কন্যা স্বামীর ঘরে। পালকির ভিতর থেকে নববধু উঁকি মেরে দেখছে, এ জেনো এক অপরুপ দৃশ্য। কান্না ভেজা নয়ন তবু জেনো নতুনত্তের এক স্পন্দন। এক সময় এই পালকি ছাড়া বিয়ের কথা ভাবাই যেতো না,গরীব, ধনী কিংবা মধ্যবিত্ত সকলেরই একটাই বাহন পালকি।পালকির কথা শুনলেই নতুন প্রজন্মের ধারকরা হা করে তাকিয়ে থাকেন। ‘পালকি চলে, পালকি চলে গগন তলে আগুন জ্বলে, স্তব্দ গায়ে,আদুল গায়ে যাচ্ছে তারা রৌদ্র সাড়া।’ কিংবা, ‘মনে কর জেনো বিদেশ ঘুরে মাকে নিয়ে যাচ্ছি অনেক দূরে, তুমি যাচ্ছ পালকি তে মা চড়ে।’

ছন্দের জাদুকর সত্যেন্দ্র নাথ দত্তের ভাষায়, রবীন্দ্রনাথের কবিতায়, হেমন্তের গানে কিংবা ভূপেন হাজারিকার মাদল মাদক তানে চলা পালকি এখন ঐতিহ্যের খাতায় নাম লেখাচ্ছে। সেই ন্যাংটা পুঁটো ছেলেটা আর বলে না- “পালকি চলে, পালকি চলে, আদুল গায়ে যাচ্ছে কারা — যাচ্ছে কারা হনহনিয়ে”। দিনদিন যান্ত্রিক সভ্যতার উৎকর্ষে বিলুপ্ত প্রায় এ পালকি এখন নানা জাদুঘরে শোভা পাচ্ছে।

নতুন প্রজন্ম তেমন একটা জানেও না পালকির ইতিহাস।

এইতো কয়েকটা বছর আগেও যখন মানুষের যোগাযোগের তেমন কোন মাধ্যম ছিলো না তখন একমাত্র যোগাযোগ ব্যাবস্থা ছিলো পালকি। ততকালের জমিদারদের প্রত্যেকেরই পালকি ছিলো, যদিও সাধারণ মানুষের ছিলো না তবে পালকি ভাড়া দিতো একটা সম্প্রদায়। আবহমান বাংলার ঐতিহ্যে ধারক বা বাহ।

সংবাদটি শেয়ার করুন

বিজ্ঞাপন

Raw Food BD Mustard Oil

আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category
Raw Food BD Mustard Oil