fbpx
সংবাদ শিরোনাম
মিরসরাইয়ে পরিবহন শ্রমিক ইউনিয়নের কার্যকরী কমিটির শপথ গ্রহণ ঐতিহ্যবাহী নদী ও বিল দখল রোধে জরুরি ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে- পানিসম্পদ উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান কর্মকর্তাদের আইন মেনে পেশাদারিত্বের সঙ্গে কাজ করার আহবান নবনিযুক্ত স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার ছাত্র-শিক্ষক,কর্মকর্তা ও কর্মচারী রাজনীতি নিষিদ্ধ করেছে ববি কর্তৃপক্ষ  মেহেরপুরের গাংনীতে বিএনপির বিজয় সমাবেশ কোটা আন্দোলনকারীদের ৯ দফার পাশাপাশি; ববির প্রেক্ষাপটে চারদফা দাবি শিক্ষার্থীদের যশোরে কোটা আন্দোলনে শিক্ষার্থীদের ওপর ছাত্রলীগের হামলার অভিযোগ স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে ইন্টারনেটের অভাবনীয় শক্তি কাজে লাগাতে হবে: জুনাইদ আহমেদ পলক কোটার বিষয়ে আদালতকে পাশ কাটিয়ে কিছুই করবে না সরকার: আইনমন্ত্রী যারা রাজাকারের পক্ষে শ্লোগানে নেতৃত্ব দিয়েছে তাদের বিরূদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া প্রয়োজন : পররাষ্ট্রমন্ত্রী

হারিয়ে যাচ্ছে গ্রাম বাংলা ঐতিহ্য

                                           
প্রকাশ : শনিবার, ১ মে, ২০২১

মোসফিকা আক্তারঃ গ্রাম শব্দটা শুনলেই যেন মনের ভেতর একটি ভালোলাগা শুরু হয়ে যায়।সুজলা – সুফলা, শশ্য শ্যামলা আমাদের এই জন্মভূমি। সকালে পাখির কিচিরমিচির শব্দে ঘুম ভাঙে।শীতের সকালের মিষ্টি রোদে আনন্দের ঢেউ খেলে যায়. পুরো শরীরজুড়ে।

বিশেষ করে যারা পরিবারের প্রথম প্রজন্ম হিসেবে গ্রাম ছেড়ে জীবন – জীবিকা বা অন্য কোনো কারণে ইটপাথর আর যান্ত্রিকতার এ নগরে বাস করেন, তাদের কাছে এ আনন্দ যেন আর ও বেশি। এ উপমা দিতে হলেও অন্তত ফিরে যেতে হয় গ্রামীণ পরিবেশ। দিগন্ত বিস্তৃত মাঠ,আঁকাবাঁকা মেঠোপথ, উঁচু সবুজ গাছের ডাল থেকে পুকুর কিংবা বর্ষার স্বচ্ছ পানিতে ঝাঁপ দেওয়া, টিনের চালে ঝুম ঝুম বৃষ্টির শব্দ থেকে শুরু করে প্রকৃতি।আনন্দের জন্য আর কি চাই।

অথচ কালের বিবর্তনে এখন হারিয়ে যাচ্ছে অনেক রূপসী গ্রাম।বাংলায় এখন আর দেখা যায় না,আগের ঐতিহ্য ও শৈশবের সৃতি। গ্রামের গাছে ওঠা পুতুল খেলা,কানামাছি, বৌচি খেলা,আম লিচু চুরি ইত্যাদি শৈশবের সৃতিগুলো এখন বিলীন হয়ে যাচ্ছে। উল্লেখ্য, ছোটবেলায় বইয়ের পাতায় পড়তাম আমাদের গ্রামগুলো একসময় স্বয়ংসম্পূর্ণ ছিল একসময় গ্রামে গোলা ভরা ধান ছিল,গোয়াল ভরা গরু ছিল,পুকুর ভরা মাছ ছিল।এসব পড়তাম আর ভাবতাম, বইয়ের পাতায় এসব কেন? বইয়ে থাকবে অজানা কিছু যা আমরা জানি না।

এসব তো এখন ও আছে। কিন্তু দুই দশকের এ কম সময়ে নীরবে পরিবর্তিত হচ্ছে গ্রামগুলো।সেখানে নীরবেই চলছে যেন এক পরিবর্তত হচ্ছে গ্রামগুলো সেখানে নীরবেই চলছে। যেন পরিবর্তন । পড়াশোনা শেষ হলেই যেন গ্রামের সঙ্গে আমাদের যোগাযোগ আর সম্পর্কটা কমাতে থাকে। সবাই ছুটে শহরের দিকে,সবাই ভাবে শহর নিয়ে সব পরিকল্পনা আর বাজেট যেন শহর কেন্দ্রিক।গ্রাম কোনো পরিকল্পনা নেই। গ্রামগুলি কেউ পরিকল্পনা করে না।গত কয়েক বৎসর আর যোগাযোগ ব্যবস্হার কল্যাণে পাল্টে গেছে আমাদের গ্রামগুলো।

অনেক গ্রাম এখন গড়ে উঠছে অপরিকল্পিত নগরায়ন। প্রতিটি গ্রামেই এখন অসংখ্য প্রবাদ বসবাস।যাতায়াত ব্যবস্হা ভালো হওয়ার অনেক গ্রামেই পাল্টে যাচ্ছে গ্রামীণ অর্থরীতি। সরকার ও ধীরে ধীরে শিল্পায়নের বিকেন্দ্রীকরণ করেছে। ফলে গ্রামে এখন অনেক শিল্পকারখানা গড়ে উঠেছে। অর্থনৈতিক সমৃদ্ধি এসেছে। আর এতে করে ভেঙে যাচ্ছে আগের ছল মাটি বা টিনের ঘর।নতুন করে সেখানে স্থান নিচ্ছে পাকা দালান বাড়ি। সংকুতি হচ্ছে কৃষিজমি, পরিবর্তিত হচ্ছে গ্রামীণ বাস্তর পাল্টে যাচ্ছে গ্রামীণ জনপদ। গ্রামের ঐতিহ্যবাহী জিনিসপত্রগুলো আজ বিলীন হয়ে যাচ্ছে ।

এ পরিবর্তন হচ্ছে খুব ধীরে ধীরে আপনি হয়তো কিছুটা খেয়াল করেন কিংবা ভাবেন।আবার মনে হয় বাহ! বেশ ভালো তো। গ্রামে তা উন্নয়ন হচ্ছে। কিন্তু আবার মনে হচ্ছে আগেই তো ভালো ছিল আসলে উন্নয়ন তো আমরা সবাই চাই। রাস্তা ঘাট বেকারত্ব দূরীকরণ, বিদ্যুৎ, জীবনযাত্রার মান কর্মসংস্হান।সেই সঙ্গে চাই গ্রামীণ পরিবেশ মতো অপরিকল্পিত নগরায়ন যেন না ঢুকে পাই কোনো গ্রামে। যেন হারিয়ে না যায় কোনো গ্রাম।যেন কালের বিবর্তনে হারিয়ে না যায় ছোটবেলার সৃতি গুলো।

সংবাদটি শেয়ার করুন


এই বিভাগ থেকে পড়ুন