বসন্ত আসুক আর নাই আসুক স্বর্ণালী মুকুল ঝরিয়ে শাখা-প্রশাখায় দোল খেতে শুরু করেছে আমের গুটি এবং গাছে দেখা মিলেছে থোকায় থোকায় আমও। এ বছর মৌসুমের প্রথম থেকেই আবহাওয়া ভালো। নেই তেমন ঘন কুয়াশা, তাপপ্রবাহ, শিলাবৃষ্টি।
প্রকৃতি অনুকূল হওয়ায় এবার আমের ফলন ভালো হবে বলে জানাচ্ছেন চাষি ও বিশেষজ্ঞরা। তারা জানাচ্ছেন, এবার পিরোজপুরের ভান্ডারিয়া সহ উপকূলীয় অঞ্চলের আম গাছে যে মুকুল এসেছে তার ১ শতাংশ গুটি থাকলে বাম্পার ফলন হবে।
শনিবার (৫ ফেব্রুয়ারী) বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, এরই মধ্যে কুয়াশা, ঝড়-ঝঞ্ঝা আর শিলাবৃষ্টির কোন ধকল এখন পর্যন্ত নেই। এখন দানা বেঁধেছে আমের গুটি ও অনেক গাছে আমও ঝুঁলতে দেখা গেছে। স্বর্ণালী মুকুল ঝরিয়ে শাখা-প্রশাখায় দোল খেতে শুরু করেছে সেই গুটি, দেখা মিলেছে থোকায় থোকায় আমও।
গুটিবাঁধা সেই সবুজ দানাতেই এখন স্বপ্ন দেখছেন উপকূলীয় আমবাগানীরা। অন্য বছরের তুলনায় এবার ভান্ডারিয়ায় প্রায় গাছেই পর্যাপ্ত মুকুল এসেছে। এগুলোর বেশিরভাগেই গুটি বেঁধেছে আম। ছত্রাকনাশক কীটনাশক স্প্রে করলে লাভবান হবে আম বাগানীরা বলে বিশেষজ্ঞরা জানান ।
ভান্ডারিয়া উপজেলা কৃষি অফিস আব্দুল্লাহ আল মামুন জানান, এবার কোথাও কুয়াশা নেই। আবহাওয়া ভালো থাকায় ফলন ভালো হবে। এখনো কোন প্রাকৃতিক সমস্যা দেখা যায়নি। চাষিদের আম ও আমারে গুটিতে কীটনাশক প্রয়োগের পরামর্শ দিয়েছি।