পিরোজপুর প্রতিনিধি: পিরোজপুরের ভান্ডারিয়ায় ১১৩নং সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের টিনসেট ঘরটি এখন ঐ বিদ্যালয়ের সভাপতির ছেলের ঔষধের ফার্মেসি। সেটি অপসারনের জন্য ইউএনওর সহোযোগীতা চান উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার।
জানগেছে, উপজেলার পূর্ব-পশারিবুনিয়া ১১৩নং সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের নতুন ভবন নির্মান কালীন সময়ে উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর থেকে ২লাখ টাকা বরাদ্ধ দেয়া হয় নির্মান কালীন সমেয়ে শিক্ষার্থীদের পাঠ দানের জন্য একটি অস্থায়ী টিনসেট ঘর করার জন্য। নতুন ভবন নির্মানের পর অস্থায়ী টিনসেট ঘরটিতে ঐ বিদ্যালয়ের সভাপতি মো. খালেক খানের ছেলে প্রভাব প্রতিপত্তি খাটিয়ে সেখানে তথাকথিত পশারিবুনিয়া পাবলিক লাইব্রেরী ও দাতব্য চিকিৎসালয়ের সাইনবোর্ড টাঙিয়ে ব্যবসা পরিচালনা করে আসছে।
মঙ্গলবার বিকালে স্থানীয় সাংবাদিকরা সরেজমিনে গেলে বিদ্যালয় লাগোয়া স্থান থেকে সভাপতির পুত্রবধূ এবং একই বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষিকা মোসাম্মৎ মরিয়ম আক্তার কথা বলেন। নিজের ইচ্ছা মত বিদ্যালয়ে এসে হাজিরা বইয়ে স্বাক্ষর করে কখোনো কখোনো চলে জান এ বিষয় জানতে চাইলে অস্বীকার করে মরিয়ম আক্তার বলেন,এ জমির বিষয় আমি বলতে পারবোনা। তা প্রধান শিক্ষক জানেন। তবে টিন সেটঘরটি তার স্বামী একটি ঔষধ কোম্পাণীর রিপ্রেজেন্টিভ মো.মাহামুদ হাসান খান পাবলিক লাইব্রেরী ও দাতব্য চিকিৎসালয়ের জন্য ব্যবহার করেন। পরবর্তী মুহুর্তেূই স্বামী মো.মাহামুদ হাসান খান ঘটনাস্থলে এসে দাবি করেন ঐটিনসেট ঘরটি আমি তুলেছি। তবে জমি সড়ক ও জনপথ বিভাগের।
এদিকে একজন ঔষধ বিপননকর্মী সাইনবোর্ডে পল্লীচিকিৎসক,ফার্মাসিস্ট,সাবেক মেডিকেল রিপ্রেজেন্টেটিভ লেখা নিয়ে এলাকায় রিতিমত একটি চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। এ ব্যাপারে জানতে চাইলে বিদ্যালয়ের সভাপতি মো. খালেক খান ঐ জমি তার দাবি করে বলেন, আমি স্কুলে যে জমি দান করেছি তা অন্যান্য দাগে রয়েছে। টিনসেট ঘরটি আমার জমিতে।
এদিকে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. মতিয়ার রহমান স্থানীয় ভাবে সভাপতির সাথে সমাধানে যেতে না পেরে প্রতিকার চেয়ে গত ৫ ডিসেম্বর ২০২১ইং তার উর্ধতন কর্তৃপক্ষ উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার বরাবরে আবেদন করেন। এ বিষয়ে উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার মো. নাসীর উদ্দিন খলিফা সেলফোনে বলেন,বিদ্যালয়টি নতুন ভবন নির্মান কালীন সময়ে শিক্ষার্থীদের পাঠ দানের জন্য একটি অস্থায়ী টিনসেট ঘর নির্মানের জন্য সময় ২ লাখ টাকা দেয়া হয়েছে। নতুন ভবন নির্মানের পর টিনসেট ঘরটি সড়িয়ে না নেয়ায় প্রধান শিক্ষক একটি লিখিত আবেদন দিয়েছেন। আবেদনের প্রেক্ষিতে প্রাথমিক তদন্তের জন্য ঘটনাস্থলে গিয়ে ঘরটি সড়াতে বলার পরেও তা করেনি তিনি। এ সময় তার বিরুদ্ধে বিদ্যালয়ে নানা সময়ে বরাদ্ধকৃত টাকার কাজ না করার অভিযোগ রয়েছে । এ বিষয়ে প্রতিকারের জন্য একই মাসের ৭ডিসেম্বর (স্মারক নং-উ:শি:অ:/ভান্ডা/৭০৬) উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কাছে লিখিতভাবে সহোযোগিতা চেয়েছি।