যশোরের নবাগত জেলা প্রশাসক ও বিজ্ঞ জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মো. আজাহারুল ইসলাম বলেছেন, সমালোচনা করবেন, সমালোচনাকে সাদরে গ্রহণ করব। সমালোচনার মাধ্যমে যশোরের যদি কিছু উপকার হয় ইনশাআল্লাহ সেটাই হবে আমার জীবনের সবচেয়ে বড় প্রাপ্তি।
যশোর জেলা প্রশাসকের কার্যালয় ‘অমিত্রাক্ষর’ সভাকক্ষে সাংবাদিকদের সঙ্গে বিকেল সাড়ে ৪টায় শুরু হয়ে মতবিনিময় সভা চলে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত। সভার শুরুতে জুলাই গণহত্যায় নিহতদের স্মরণে এক মিনিট নিরবতা পালন করা হয়।
জেলা প্রশাসক মোঃ আজাহারুল ইসলাম সাংবাদিকদের উদ্দেশে আরও বলেন, আপনাদের সঙ্গে পরিচয় পর্বের মাধ্যমে যশোর সম্পর্কে জানলাম।
তিনি জুলাই ছাত্র-জনতার আন্দোলনের প্রসঙ্গ টেনে বলেন, আপনাদের একটা বিষয় খেয়াল আছে কিনা, জুলাই মাসে আন্দোলন শুরু হয়েছিল। ৩১ জুলাইয়ের পর ছাত্রদের পক্ষ থেকে পরবর্তী তারিখ গণনা করা হচ্ছিল ৩২ জুলাই, ৩৩ জুলাই। এভাবে ৩৬ জুলাই চূড়ান্ত দিন পর্যন্ত গণনা করা হচ্ছিল। আপনাদের কাছে প্রশ্ন জাগেনি এটা কি ধরনের তারিখ? যতক্ষণ না স্বাধীনতা আসবে ততক্ষণ জুলাই মাস শেষ হবে না। এমনটাই ছিল ছাত্রদের কথা। তিনি আরো বলেন, ছাত্র-জনতার গণআন্দোলনে সাংবাদিকরাও জীবন দিয়েছেন। অর্জিত এই স্বাধীনতার মাধ্যমে সাংবাদিকদেরও স্বাধীনতা এসেছে।
নবাগত ডিসি বলেন, বিগত সময়ের সাংবাদিকতা নৈতিকতা, এথিকাল এবং প্রিন্সিপালের জায়গায় ছিল না। আমরা আশা করি সাংবাদিকতার সঠিক জায়গা থেকে সাংবাদিকতা আসবে।
মতবিনিময় সভায় যশোর থেকে প্রকাশিত বিভিন্ন পত্রিকা এবং ঢাকার বিভিন্ন জাতীয় পত্রিকা, টেলিভিশন চ্যানেল এবং অনলাইন মিডিয়ার সাংবাদিকরা উপস্থিত ছিলেন।
এসময় আরও বক্তব্য রাখেন প্রেসক্লাব যশোরের সভাপতি জাহিদ হাসান টুকুন, সাধারণ সম্পাদক এস এম তৌহিদুর রহমান, দৈনিক কল্যাণ সম্পাদক একরাম উদ দ্দৌলা, দৈনিক লোকসমাজের ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক আনোয়ারুল কবীর নান্টু, দৈনিক টেলিগ্রাম সম্পাদক বিনয় কৃষ্ণ মল্লিক, সাংবাদিক ইউনিয়ন যশোরের সভাপতি আকরামুজ্জামান, এস এম ফরহাদ, সাবেক সভাপতি ও নয়াদিগন্ত প্রতিনিধি এম আইউব, যশোর সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি মনোতোষ বসু, সাধারণ সম্পাদক এইচ আর তুহিন, দৈনিক ইত্তেফাকের ফারাজী আহমেদ সাঈদ বুলবুল প্রমুখ।
বিকেল সাড়ে ৪টায় শুরু হয়ে মতবিনিময় সভা চলে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত। সভার শুরুতে জুলাই গণহত্যায় নিহতদের স্মরণে এক মিনিট নিরবতা পালন করা হয়।