স্টাফ রিপোর্টারঃ করোনার বিদ্যমান পরিস্থিতিতে শিশু, বৃদ্ধ, অসুস্থ ব্যক্তি এবং তাদের সেবায় নিয়োজিতদের নামাজের জন্য মসজিদের জামাতে অংশগ্রহণ না করার অনুরোধ জানিয়ে নির্দেশনা জারি করেছে ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয়। একইসঙ্গে যারা জামাতে অংশ নেবেন তাদের অবশ্যই স্বাস্থ্যবিধি মেনে সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে দাঁড়াতে বলা হয়েছে।
সারা দেশে করোনায় আক্রান্ত ও মৃত্যুর হার বৃদ্ধি পাওয়ায় মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ আরোপিত বিধিনিষেধের আলোকে বুধবার (৩০ জুন) ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয় থেকে এ সংক্রান্ত নির্দেশনা জারি করা হয়। এই নির্দেশনা আজ বৃহস্পতিবার (১ জুলাই) থেকে কার্যকর হবে।
ওই নির্দেশনায় বলা হয়, করোনাভাইরাসের (কোভিড-১৯) সংক্রমণের কারণে সারাদেশে মৃত্যুর হার অস্বাভাবিকভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে। তাই বর্তমান পরিস্থিতি বিবেচনায় মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে জারি করা বিধিনিষেধের প্রেক্ষিতে ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয় কর্তৃক বিভিন্ন ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানে প্রার্থনা এবং মসজিদসমূহে জামাতের নামাজের জন্য আবশ্যিকভাবে নিচের শর্তসমূহ পালনের জন্য অনুরোধ করা হলো।
নির্দেশনাগুলো হলো— মসজিদের প্রবেশের পথে হ্যান্ড স্যানিটাইজার বা হাত ধোয়ার ব্যবস্থাসহ সাবান-পানি রাখতে হবে এবং আগত মুসল্লিদের অবশ্যই মাস্ক পরে মসজিদে আসতে হবে, প্রত্যেককে নিজ নিজ বাসা থেকে অজু করে ও সুন্নাত নামাজ ঘরে আদায় করে মসজিদে আসতে হবে এবং অজু করার সময় কমপক্ষে ২০ সেকেন্ড সাবান দিয়ে হাত ধুতে হবে, মসজিদে কারপেট বিছানো যাবে না, পাঁচ ওয়াক্ত নামাজের পূর্বে সম্পূর্ণ মসজিদ জীবানুনাশক দ্বারা পরিষ্কার করতে হবে, মুসল্লিগণ প্রত্যেকে নিজ নিজ দায়িত্বে জায়নামাজ নিয়ে আসতে হবে, কাতারে নামাজে দাঁড়ানোর ক্ষেত্রে সামাজিক দূরত্ব নিশ্চিত করতে হবে।
শিশু-বৃদ্ধ-অসুস্থ ব্যক্তি এবং তাদের সেবায় নিয়োজিতরা জামাতে অংশগ্রহণ করা হতে বিরত থাকবে, সংক্রমণ রোধ নিশ্চিত করার জন্য মসজিদের অজুখানায় সাবান ও হ্যান্ড স্যানিটাইজার রাখতে হবে, মসজিদে সংরক্ষিত জায়নামাজ ও টুপি ব্যবহার করা যাবে না— ওই নির্দেশনায় উল্লেখ করা হয়
করোনা মহামারি থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্য নামাজ শেষে মহান রাব্বুল আলামিনের দরবারে খতিব, ইমাম ও মুসল্লিগণ দোয়া করবেন এবং সম্মানিত খতিব, ইমাম এবং মসজিদ পরিচালনা কমিটি বিষয়গুলো বাস্তবায়ন নিশ্চিত করবেন বলে ওই নির্দেশনায় উল্লেখ করা হয়।
নির্দেশনায় আরও বলা হয়, অন্যান্য সকল ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান ও উপাসনালয়ে প্রবেশের ক্ষেত্রে মাস্ক পরিধান, হ্যান্ড স্যানিটাইজার ও সাবান দিয়ে হাত ধোয়াসহ স্বাস্থ্যবিধি মেনে সামাজিক ও শারীরিক দূরত্ব যথাযথভাবে অনুসরণ করতে হবে।
উল্লিখিত নির্দেশনা লঙ্ঘিত হলে স্থানীয় প্রশাসন ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী সংশ্লিষ্ট দায়িত্বশীলদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন।