নিউজ ডেস্কঃ প্রতিবেশী হিসেবে শান্তিপূর্ণ ও স্থিতিশীল মিয়ানমার দেখতে চায় বাংলাদেশ। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বলছে, ধরন যেটাই হোক দেশটির সরকারের সাথে আলোচনা অব্যাহত রাখবে ঢাকা। আশা, তাদের অভ্যন্তরীণ কারণে ব্যাহত হবে না প্রত্যাবাসন আলোচনা।
বিশ্লেষকরা বলছেন, সূচিকে আটকের ঘটনায় বিশ্ব সম্প্রদায়ের কাছে রোহিঙ্গা সঙ্কট যেন গুরুত্ব না হারায়, সেজন্য তৎপরতা বাড়াতে হবে বাংলাদেশকে।
মিয়ানমারের রাষ্ট্রীয় উপদেষ্টা অং সাং সুচি ও দেশটির প্রেসিডেন্ট উইন মিন্টসহ শীর্ষ নেতাদের আটক আর এক বছরের জরুরি অবস্থা জারির পর বাংলাদেশে সবচে বড় শঙ্কা, কী হবে রোহিঙ্গাদের ফেরত পাঠানোর?
চীনের মধ্যস্থতায় নির্বাচনের পর কিছুটা গতি পেয়েছিল প্রত্যাবাসন আলোচনা। তারই অংশ হিসেবে ফেব্রুয়ারির প্রথম সপ্তাহেই বসার কথা ছিল ওয়ার্কিং কমিটির। ঢাকার প্রত্যাশা রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন প্রক্রিয়া যথাযথভাবেই চলবে। মিয়ানমারে গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া এবং সংবিধান বহাল থাকবে বলেও আশা করে বাংলাদেশ।
কূটনৈতিক বিশ্লেষকরা মনে করছেন, রোহিঙ্গা ইস্যু যাতে সামরিক অভ্যুত্থানের কারণে পিছিয়ে না যায়, এজন্য সতর্ক থাকতে হবে।
এদিকে, সীমান্তে সজাগ থাকার জন্য সরকারের প্রতি আহ্বান বিশ্লেষকদের। তারা বলছেন, সামরিক অভ্যুত্থানের কারণে নতুন করে যেন রোহিঙ্গারা বাংলাদেশে না আসে, সে বিষয়ে শক্ত হতে হবে সরকারকে।