লাইলাতুল ক্বদর বা শবে ক্বদরের রাতকে মহান আল্লাহ তায়ালা রমজানের শেষ দশকের বেজোড় রাতে লুকিয়ে রেখেছেন। বান্দাহ বিনিদ্র রজনী কাটাবে, সবর করবে। আর এর মধ্যে খুঁজে পাবে সম্মানিত রাত, আল্লাহর রহমত ও মাগফিরাত। এছাড়াও এ রাতে ফেরেশতার অদৃশ্য মোলাকাতে সিক্ত হবে ইবাদতকারীর হৃদয়, আপন রবের ভালোবাসায় হবে সে উদ্বেলিত। এ যেন দীর্ঘ বিরহের পর আপনজনকে ফিরে পাওয়ার আনন্দ। তাই এ তাৎপর্যপূর্ণ রাতকে আমাদেরকে নামাজসহ বিভিন্ন ইবাদতের মধ্যে কাঁটিয়ে দিতে হবে।
শবে কদরের জন্য কোন দিন নির্ধারিত নেই তাহলে কোন আমল নির্ধারিত হয় কি করে??
এর জন্য কোন নির্ধারিত আমল নেই।
রমজানের শেষ দশকের বেজোড় রাতে বেশি বেশি আমল করা।
চাই নামাজ পড়ে বা কোরআন তেলাওয়াত করে বা জিকির আজকার করে হোক।
মোটকথা এসকল রাতো বেশি ইবাদত করার কথা হাদীসে পাওয়া যায়।
মুসলমানদের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ন এই রাত সর্ম্পকে হাদিস শরীফে বর্ণনা রয়েছে। এমনকি মুসলমানদের প্রধান ধর্মীয় গ্রন্থ আল কোরআনে সূরা ক্বদর নামে স্বতন্ত্র একটি পূর্ণ সুরা নাজিল হয়েছে। এই সুরায় শবে কদরের রাত্রিকে হাজার মাসের চেয়ে উত্তম বলে উল্লেখ করা হয়েছে।
এ রাতে আমরা কিছু আমল করতে পারিঃ-
-আল্লাহর কাছে ক্ষমা চাওয়া।
-বেশি বেশি কোরআন তেলাওয়াত করা।
-বেশি বেশি নামাজ পড়া।
-জিকির-আজকার করা।
-এছাড়া সালাতুত তওবা, সালাতুল হাজত, সালাতুত তাসবিহ নামাজও পড়া যেতে পারে।
-নিজের জন্য, পিতা-মাতার জন্য, আত্মীয়স্বজন, বন্ধুবান্ধব ও সব মোমিন মুসলমানের জন্য ক্ষমা প্রার্থনা করা এবং দেশ ও জাতির কল্যাণ ও সমৃদ্ধি কামনায় দোয়া করা।
কিছু প্রচলিত ভুলঃ-
এরাতে নির্ধারিত কোন আমল নেই,নির্ধারিত কোন দোআ নেই,নির্ধারিত কোন দিন নেই তবে শেষ দশকের বেজোড় রাতের কোন এক রাত,নির্ধারিত কোন সূরা নেই।
মসজিদে বা কোন অনুষ্ঠান করে আয়োজন করার কোন কথা কোরআন হাদীসে উল্লেখ নেই।
উল্লেখ্যঃ-
আমাদের সমাজে মোকছুদুল মোমিনিন ও
নেয়ামুল কোরআন এ জাতিয় কিছু বইয়ের লিখিত কথানুযায়ী আমল করে সাধারন মানুষ শবে ক্বদরের বিষয়টিকে কঠিন করে ফেলেছে।
অথচ এসব বইয়ের অনেক বিষরই সঠিক নয়।
আল্লাহ তায়ালা আমাদেরকে এই মহিমান্বিত রাত্রিতে বেশি বেশি আমল করার তাওফিক দান করুন