মেহেরপুর প্রতিনিধিঃ মেহেরপুর জেলার গাংনী উপজেলার কাজিপুর ইউনিয়নের পীরতলা গ্রামের মো:জালাল হোসেনের ছেলে জাহাঙ্গীরের চলছে বিভিন্ন মাদক সহ ভারতীয় সার ও বিষের রমরমা ব্যবসা। ভারতীয় বিভিন্ন মদ ফেনসিডিল হেরোইন গাঁজা ও সার,বিষ স্থানীয় বিজিবি ও পুলিশের সদস্যদের চোখকে ফাঁকি দিয়ে সে দীর্ঘদিন ধরে তার ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছে। তার এই রমরমা ব্যবসা চালিয়ে ভাঙ্গা কুঁড়েঘর থেকেও তৈরি করেছেন পাকা দালান।স্থানীয়রা প্রতিবাদ করতে গেলেও তার হুমকি-ধামকিতে ভয়ে অনেকেই মুখ খুলতে নারাজ।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, একই ইউনিয়নের হাড়াভাঙ্গা গ্রামের মো:আবু বক্করের ছেলে স্যার ব্যবসায়ী ইলিয়াসের দোকানে ভারতীয় গ্যামাক্সিন পাউডার কেনার অজুহাতে জাহাঙ্গীর তার এক সহযোগীকে পাঠায়, তার সেই সহযোগী স্যার ব্যবসায়ী ইলিয়াসকে গ্যামাক্সিন পাউডার কিনবে বলে নগদ ৫ শ’ টাকা বায়নাও দিয়ে আসে
ঠিক একদিন পর জাহাঙ্গীর ইলিয়াসের দোকানে গিয়ে বলে আমার কাছে গ্যামাক্সিন পাউডার আছে এক বস্তা ২ হাজার টাকা আপনি কি ক্রয় করবেন যদি ক্রয় করতে চান তাহলে বলেন আগামীকাল চার বস্তা পাঠিয়ে দিব ঠিক তখন সার ব্যবসায়ী ইলিয়াস নগদ ৬ হাজার টাকা জাহাঙ্গীরকে দিয়ে পাঠিয়ে দিতে বলে। পরের দিন এক ভ্যানচালককে দিয়ে সে গ্যামাক্সিন পাউডারের বস্তাগুলো পাঠিয়ে দেয় এবং বাকি ২ হাজার টাকা বাকি রাখে ।
বস্তা খুলে ইলিয়াস দেখে সকল পাউডার গুলো ইন্ডিয়ান তাৎক্ষণিক দেরি না করে ইলিয়াস জাহাঙ্গীর কে ফোন দেয় ফোন দিয়ে বলে ভাই আমি তো মনে করেছিলাম বাংলাদেশি গ্যামাক্সিন পাউডার এখন দেখছি সবগুলো ইন্ডিয়ান আপনি এই বস্তাগুলো নিয়ে আমার টাকা ফেরত দিয়ে দেন, আমি সবেমাত্র নতুন ব্যবসা খুলেছি এই ধরনের অবৈধ ইন্ডিয়ান মালামাল বিক্রয় করব না।অবৈধ ভারতীয় পণ্য ব্যবসায়ী জাহাঙ্গীর সেই বস্তাগুলো ফেরত নিয়ে গেলেও স্যার ব্যবসায়ী ইলিয়াসের টাকা এখনো ফেরত দেয়নি আর শুধু তাই নয় একই গ্রামের আব্দুল খালেকের ছেলে সার ব্যবসায়ী তারিক ও মেহেরের ছেলে ইদ্রিসের সঙ্গেও প্রতারণা করেছে।
কাজিপুর ইউনিয়ন পরিষদের সাত নাম্বার ওয়ার্ড এর ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান রশিদ মেম্বার জাহাঙ্গীরের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি জানান, সে দীর্ঘদিন ধরে মাদকের ব্যবসার সাথে জড়িত আর শুধু তাই নয় তার নামে উপজেলা কৃষি অফিসে অবৈধ ইন্ডিয়ান গ্যামাক্সিন পাউডার ও সার বিক্রয়ের কারণে একটি মামলাও রয়েছে।
এ ব্যাপারে গত ১৩ই মে বৃহস্পতিবার বিকেলের দিকে সাংবাদিক তথ্য সংগ্রহ করতে গেলে জাহাঙ্গীর অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ ও দড়ি দিয়ে বেঁধে রাখার হুমকি-ধামকি দিতে থাকে।
উপজেলা কৃষি অফিসার কে এম শাহাবুদ্দিন আহমেদ জানান, গত কয়েক মাস আগে জাহাঙ্গীর এর ব্যাপারে একটি অভিযোগ পেয়েছিলাম এবং সে মুসলেখা দেয় যে আর কোনদিন আমি এই ধরনের অপকর্ম করবোনা যদি করি তবে আমার ব্যাপারে তদন্ত করে ব্যাবস্থা গ্রহণ করবেন।
গাংনী থানার অফিসার ইনচার্জ বজলুর রহমান কে বিষয়টি জানালে তিনি জানান, এব্যাপারে দ্রুত আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।