নিজস্ব প্রতিবেদকঃ মেহেরপুরের গাংনীতে মোটরসাইকেলের ধাক্কায় তাহাজ উদ্দিন(৫৫)নামের এক পথচারির চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যু হয়েছে। বুধবার(১২মে) সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে মোটরসাইকেলের ধাক্কায় তিনি আহত হন
নিহত তাহাজ উদ্দীন উপজেলার তেঁতুলবাড়িয়া ইউনিয়নের করমদী বহাল পাড়া গ্রামের মৃত আবুল হোসেনের ছেলে।
স্থানীয়রা জানান, সন্ধ্যার দিকে কুমারপাড়ার মকলেচ আলীর ছেলে লাবলু হোসেন (২৫) ও কুবলুসের ছেলে সরল হোসেন (২০) দ্রুত গতিতে মোটরসাইকেল পাল্লা দেয়ার সময় রাস্তার পাশ দিয়ে হেঁটে যাওয়া তাহাজ উদ্দীনকে স্বজোরে ধাক্কা দিয়ে পালিয়ে যায়। পরে স্থানীয় লোকজন গুরুতর আহত তাহাজ উদ্দীনকে স্থানীয় সন্ধানী হাসপাতালে নিয়ে যায়। পরে
নিহতের ভাতিজা আশরাফুল ইসলাম জানান, আমার চাচাকে গ্রামের কুমারপাড়ার গাইড়ির মাঠে মোটরসাইকল দিয়ে চাপা দিয়েছে আমার গ্রামের কুমার পাড়ার মকলেচ আলীর ছেলে লাবলু(২৫)। এমন সংবাদে ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখি স্থানীয়রা সন্ধানী হাসপাতালে নিয়ে গেছে। সেখানে তার শারিরিক অবস্থার অবনতি হলে প্রথমে কুষ্টিয়া মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে এবং পরবর্তীতে ঢাকা উত্তরা হায়কেয়ার হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আজ রবিবার ভোর ৫টার দিকে তার মৃত্য হয়। তিনি আরো জানান, দুর্ঘটনার পর থেকে লাভলু ও তার পরিবারের লোকজন কোন খোঁজখবর নেয়নি চিকিৎসার জন্য কোনো সহযোগিতা করেনি।
নিহতের ভাতিজা দোলাল হোসেন জানান,চিকিৎসার ব্যাপারে লাভলুর পরিবারের সাথে যোগাযোগ করতে গেলে,তারা আমাকে বলে, এখন কোন টাকা পয়সা দিতে পারব না, মরে গেলে তারপর দেখব।
নিহতে স্ত্রী মাসুরা জানান, আমার স্বামীকে মোটরসাইকেল চাপা দিয়ে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়েছে আমি এর সুষ্ঠু বিচার চাই।
তেঁতুলবাড়িয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর আলম জানান,আমি ঘটনাটি শুনেছি স্থানীয় লোকজন গ্রাম থেকে টাকা পয়সাও উত্তোলন করে তাহাজ উদ্দিন এর চিকিৎসা ব্যায়-ভার চালিয়ে আসছিল। রবিবার ভোরে তার মৃত্যু হয়েছে।
গাংনী ওসি মোঃ বজলুর রহমান জানান, নিহতের পরিবারের পক্ষ থেকে এখন পর্যন্ত লিখিত অভিযোগ পাওয়া যায়নি।লিখিত অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।
উল্লেখ্য, আশরাফুল ইসলামের দাবী, দুর্ঘটনার সপ্তাহ খানেক আগে একটি বিষয় নিয়ে আমার সাথে লাভলুর বাকবিতন্ডা হয় এবং আমাকে হুমকি ধামকি দেয়। এর জের ধরে আমার চাচাকে পরিকল্পিত ভাবে হত্যার উদ্দেশ্যে পিছন থেকে ধাক্কা দিয়েছে। আমি এই হত্যা কান্ডের বিচার চাই।