সরকার কর্তৃক নিশংস ভাবে মানুষ হত্যা, হামলা, নারকীয় তান্ডব, এবং গণতান্ত্রিক ও সাংবিধানিক অধিকার হরণের প্রতিবাদে বিক্ষোভ সমাবেশ করেছে মেহেরপুর জেলা বিএনপি।
মঙ্গলবার (৩০ মার্চ) সকালে মেহেরপুর জেলা বিএনপি কার্যালয় চত্বরে এ বিক্ষোভ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।
মেহেরপুর ১ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য ও মেহেরপুর জেলা বিএনপির সভাপতি মাসুদ অরুনের সভাপতিত্বে সমাবেশে বক্তব্য রাখেন মেহেরপুর জেলা বিএনপি’র সিনিয়র সহ-সভাপতি আব্দুর রহমান, জাভেদ মাসুদ মিল্টন, সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুর রশিদ, জুলফিকার আলী ভুট্টো, দপ্তর সম্পাদক আবু সুফিয়ান হাবু,সদর উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল ইসলাম প্রমুখ।
সমাবেশে সভাপতির বক্তবে সাবেক সংসদ সদস্য ও জেলা বিএনপি’র সভাপতি মাসুদ অরুন বলেন, ৪০ টাকার চাল এখন ৬০-৬৫ টাকা এবং রোজার মাসে তা ১০০ টাকা হবে, গত এক মাসে তেলের দাম ২০০ টাকা বেড়েছে, সকল ভোগ্যপণ্য লাগামহীন, দুর্নীতি কারণে মানুষের ক্রয় ক্ষমতার বাইরে চলে গিয়েছে। জনগন আর করোনাকে ভয় করতে চাই না, কারণ মানুষ রুটি-রুজির সংগ্রারম নাভিশ্বাস, এতো অস্থির করোনা আর তার কাছে ভয়ের কারণ নই, বরং করোনার চেয়ে ভয়ের কারণ এই ভোটার বিহীন সরকার। যে সরকার জনগনের দায়ীত্ব নিতে চাই না, যে সরকার জনগনের সম্পদ লুন্ঠন করে, যে সরকার ৩০ লক্ষ শহীদের রক্তের উপর দাড়িয়ে সুবর্ণ জয়ন্তীতে আমার বাংলার ছাত্র যুবককে গুলি করে পাখির মত হত্যা করার মত সাহস দেখিয়েছে।
তিনি বলেন, ১৪ বছর ক্ষমতায় আছেন আমরা এক ফুটা তিস্তার পানি আমরা পাই নাই। ১৪ বছর ক্ষমতায় আছেন ভারত এক তরফা বাণিজ্য করে যাচ্ছে, সেটাকে বন্ধ করা যায় নাই। আর প্রতি নিয়ত বাংলাদেশের টেকনাফ থেকে তেতুলিয়া সিমান্তে বাংলাদেশীকে বিএসএফ হত্যা করে যাচ্ছে। আপনি বিনা পয়সায় ভারতকে ট্রানজিট দিচ্ছেন। পেয়াজের দাম যখন ২০০ শ টাকা ১০০ টা হয়ে যায় মোদী সরকার পেঁয়াজ বন্ধ করে দেয়। রপ্তানি-আমদানি করতে দেই না।
স্বাধীনতার ৫০ বছর পর আমরা যোগ-বিয়োগ করে দেখলাম একটি মানচিত্র আছে, যে মানচিত্র খেয়ে ফেলার চেষ্টা করছে প্রতিবেশী দেশ। একটি পতাকা আছে, লাল সবুজের পতাকা, আমরা যে জিনিষের জন্য সংগ্রাম করেছিলাম মানুষের স্বাধীনতা, আজ সেই স্বাধীনতা নেই, মানুষের কথা বলার অধিকার নেই। এই সরকারকে ক্ষমতা থেকে না সরানো পর্যন্ত জনগনের কোন অধিকার আদায় হবে না।
তিনি আরোও বলেন, ৩০ লক্ষ শহীদের রক্তের মধ্য দিয়ে যে বাংলাদেশ ৫০ বছরের স্বাধীনতার সূবর্নজয়ন্তী উদযাপন করবে, সেই সূবর্নজয়ন্তীকে রক্তে লাল করেছেন আপনারা। আমার পয়সায় যার বেতন হয়, সেই পেটুয়া বাহিনীকে লেলিয়ে দিয়ে ৫০ বছর পূর্তি উৎসবে সবুজের মধ্যে লাল পতাকা রক্তে রঞ্জিত করেছেন।
এই হত্যা কান্ডের সাথে যারা জড়িত, এই তান্ডবের সাথে যারা জড়িত তাদের বিচার করতে হবে। শহীদ পরিবারকে ক্ষতি পূরন দিতে হবে। আমাদের চিটাগংগের নেতা শাহাদত হোসেন সহ গত চার দিনে এ দেশের ছাত্র- জনতার নামে যে মিথ্যা মামলা হয়েছে তা প্রত্যাহার করতে হবে। এবং এই সরকারকে একটি চুড়ান্ত ওয়ারের মদ্য দিয়ে আপনার ভোটের অধিকার ফিড়িয়ে আসতে হবে।
মেহেরপুর সংবাদদাতা/দৈনিক দেশান্তর