প্রিয়তমা জানো কি ভালোবাসার মানুষের সবকিছুই সহ্য করা যায়। কিন্তু তার অবহেলা সহ্য করা যায় না।
প্রিয়তমা তোমায় ভালোবাসি,বড্ড ভালোবাসি। এমন হাজার বার ভালোবাসি বলা মানুষগুলোও এক সময় ভালোবাসি বলতে ভুলে যাই বাস্তবতার নির্মম পরিহাসে। প্রিয়তমা তুমি কী শুনতে পাও আমার করুণ আর্তনাত নাকি ব্যস্ততার কড়াল অজুহাত তোমাকে স্তব্ধ করে রেখেছে! তোমার অমোঘ বাণী শোনার জন্য আমার হৃদয়ের রক্ত ক্ষরণ কি তোমার হৃদয় স্পর্শ করতে পারে নাই!
প্রিয়তমা তুমি বলো যে তোমার চেয়ে আমায় নাকি কেউ বেশি ভালোবাসতে পারবে না। এই কি তোমার ভালোবাসা! যা বার বার সময়ের বেড়াজালে ব্যস্ততার অজুহাতে অবহেলার জাতাকলে পিষে পিষে হৃদয়টাকে চুড়মার করতেছে! আচ্ছা বেশি ভালোবাসলে কি বেশি কষ্ট পেতে হয়! আমি একটু কথা বলার জন্য হটফট করি,তোমাকে মেসেজ দেয় তোমার হৃদয়ে কি সারা দেয় না? তোমার কি একবারো আমার সাথে কথা বলতে ইচ্ছে করে না? কালকে সারাদিন তোমার সাথে একটু কথা বলার জন্য ছটফট করেছি বার বার ছুটে গেছি তোমার ফোনের ইনবক্সে।
শতশত মেসেজ পড়ে আছে তোমার মেসেজ বক্সে। তারপরেও কি হৃদয় মাঝে আমার ভালোবাসার আর্তনাত পৌছাইনি? প্রিয়তমা তোমার চোখে আমার জন্য যে জল আনতে তাও কি তাহলে মেকি ছিল! ১৬ প্রহর পার হয়ে গেছে কিন্তু তোমার ব্যস্ততার প্রহর শেষ হচ্ছে না। তুমি কি আসলেই ব্যস্ত?নাকি তা অবহেলার নামান্তর মাত্র? শুনেছি সত্যিকারের ভালোবাসা নাকি হাজার ব্যস্ততার মাঝেও প্রিয় মানুষকে সময় দিতে ভুলে না।
প্রিয়তমা তুমি বার বার বলো যে তুমি মেয়ে তাই সব সময় কথা বলতে পারো না । কিন্তু আমি তোমার কাছে অতো সময় চাইনি। চলতে চলতে দশটা মিনিটও কি কোনো মেয়ে তার প্রিয় মানুষটাকে দিতে পারে না? নাকি সেটাও নিছক অজুহাত? কাল থেকে তোমার ব্যস্ততার জন্য তোমার সাথে একটু কথা বলার জন্য তোমার কনভার্সেশন হাজার বার চেক করেছি আর ভেবেছিলাম এই বুঝি তুমি মেসেজ দিলে! কিন্ত হতাশ হয়ে ফোন রাখতে হয়েছে।
পরে দেখি তুমি অনলাইনে অথচ আমাকে একটু সময় দাও নি। তাই অভিমান করেছিলাম।ভেবেছিলাম অভিমান ভেঙ্গে বুকে জড়িয়ে নিবে।তাই তোমাকে অভিমানের সুরে অভিযোগ করলাম। তুমি বললে ক্লাসের জন্য এসেছো। আমি বললাম ভার্সিটিতে শুক্রবার শনিবার ক্লাস হয় এটা হাস্যকর। ক্লাস হয় না সেটা তুমিও জানো কিন্তু উত্তরে তুমি সরাসরি বলে দিলে যে তুমি নাকি আমার সাথে কথা বলা প্রয়োজন মনে করো না!! একেই কি ভালোবাসা বলে!
আচ্ছা প্রিয়তমা একটা সম্পর্ক টিকিয়ে রাখতে কি দুজনের সমান না হলেও অন্তত দুইজনকেই যত্নশীন হতে হয় না কি? নাকি যে সর্ম্পকে টাকে টিকিয়ে রাখতে চাই সেই শুধু আঘাত অবহেলা আর কষ্ট পেয়ে অবহেলিত হয়ে অনবরত সব কিছু ঠিকঠাক রাখার লড়াই করে যাবে? আচ্ছা প্রিয়তমা এভাবে তিল তিল করে আমাকে শেষ করার পর আমি যখন অবহেলার অচির গহ্বরে হারিয়ে যাব তখনো কি আমার শুন্যতা তোমাকে কাঁদাবে না? নাকি তখনো এমন ডন্টকেয়ার ভাব দেখিয়ে দিব্বি চলে যাবে তোমার? যখন তোমার মায়া মাখানো চাঁদ মুখটা এক নজর দেখার জন্য ছটফট করি তখন তুমি বল আমি নাকি ঢং করি। আসলেই কি আমি ঢং করি? বারবার আমার আবেগ অনুভূতি গুলো কে এভাবে শেষ করে দিচ্ছ। আচ্ছা প্রিয়তমা তুমি কি আমাকে ছাড়া সত্যিই ভালো থাকতে পারবে?
সম্পর্ক ধরে রাখার জন্য সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হচ্ছে দুজনের দুইজনকে সময় দেওয়া, দুজনের দুইজনকে বোঝা। আবেগ অনুভূতির মূল্য দেওয়া। তোমার কাছে কি এসবের কোনই দাম নেই? অবহেলা শব্দটি অনেক ছোট হলেও এর যন্ত্রণা অনেক বেশি প্রিয়তমা। যেটা নিজে সহ্য করতে পাবে না তবে সেটা করো কেন??