fbpx
সংবাদ শিরোনাম
মেহেরপুরে সাবেক জনপ্রশাসন মন্ত্রী ও পুলিশ সুপারসহ ১৯ জনের নামে হত‍্যা মামলা মিরসরাইয়ে পরিবহন শ্রমিক ইউনিয়নের কার্যকরী কমিটির শপথ গ্রহণ ঐতিহ্যবাহী নদী ও বিল দখল রোধে জরুরি ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে- পানিসম্পদ উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান কর্মকর্তাদের আইন মেনে পেশাদারিত্বের সঙ্গে কাজ করার আহবান নবনিযুক্ত স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার ছাত্র-শিক্ষক,কর্মকর্তা ও কর্মচারী রাজনীতি নিষিদ্ধ করেছে ববি কর্তৃপক্ষ  মেহেরপুরের গাংনীতে বিএনপির বিজয় সমাবেশ কোটা আন্দোলনকারীদের ৯ দফার পাশাপাশি; ববির প্রেক্ষাপটে চারদফা দাবি শিক্ষার্থীদের যশোরে কোটা আন্দোলনে শিক্ষার্থীদের ওপর ছাত্রলীগের হামলার অভিযোগ স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে ইন্টারনেটের অভাবনীয় শক্তি কাজে লাগাতে হবে: জুনাইদ আহমেদ পলক কোটার বিষয়ে আদালতকে পাশ কাটিয়ে কিছুই করবে না সরকার: আইনমন্ত্রী

বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে পালাক্রমে ধর্ষণ- ছাত্রলীগ নেতা তিতাসের বিরূদ্ধে মামলা

                                           
প্রকাশ : রবিবার, ২০ জুন, ২০২১

নিজস্ব প্রতিবেদকঃ মোবাইল ফোনে পরিচয়, এরপর গভীর প্রেম। একপর্যায়ে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে আবাসিক হোটেলে নিয়ে ধর্ষণ। এসব অভিযোগ উঠেছে ঢাকা মহানগর ছাত্রলীগের সহসভাপতি তিতাস উদ্দিনের বিরুদ্ধে। শুধু তাই না, এ ঘটনায় কোতোয়ালি থানায় মামলা হওয়ার পর জাল কাবিনে বিয়ে করে ঢাকায় নিয়ে যায় তিতাস। পরে প্রেমিকার কাছ থেকে সর্বস্ব কেড়ে নিয়ে মারপিট করে তাড়িয়ে দেন। এসব অভিযোগ এনে সম্প্রতি প্রতারিত মেয়েটি ঢাকার একটি আদালতে আরো একটি মামলা করেছেন। যা তদন্তে নেমেছে ঢাকার পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনের একটি তদন্ত টিম। এদিকে, ঢাকায় মামলা করার পর তিতাস আরও বেশি ভয়ঙ্কর হয়ে উঠেছেন। বিভিন্ন মাধ্যম দিয়ে তিনি ওই নারীকে নানাভাবে হুমকি ধামকি দিচ্ছেন। তিতাসের কাছে নানামুখি প্রতারণার শিকার হয়ে ওই তরুণী এখন দ্বারে দ্বারে ঘুরছেন। বিষয়টি নিয়ে সংশ্লিষ্ট মহলের সহযোগিতা কামনা করেন তিনি।

ওই নারীর পৃথক দু’ মামলার দায়ের করা অভিযোগ পর্যালোচনা করে জানা যায়, যশোর সদর উপজেলার সুলতানপুর মধ্যপাড়ার শাহ আলমের ছেলে তিতাস উদ্দিন গিয়াস ঢাকার ধানমন্ডি ঝিগাতলার আফসার উদ্দিন লেনের ৪১/৯/বি নম্বর ফ্ল্যাটের ৪/বি ফ্ল্যাটে বসবাস করেন। তিনি বর্তমানে ঢাকা মহানগর (উত্তর) ছাত্রলীগের সহসভাপতির দায়িত্ব পালন করছেন। মামলার বাদী যশোর শহরের পুরাতন কসবার লিচু বাগান এলাকার বাসিন্দা। তার সাথে ২০১৮ সালের ৬ সেপ্টেম্বর তিতাসের প্রথম মোবাইল ফোনে কথা হয়।

এরপর থেকে প্রায়ই তাদের মধ্যে কথা বার্তা চলতে থাকে। একপর্যায়ে প্রেমের সম্পর্ক তৈরি হয়। এরপর তিতাস ওই তরুণীকে বিয়ের প্রস্তাব দেন তিতাস। ২০১৮ সালের ২৭ সেপ্টেম্বর তিতাস ওই তরুণীকে দড়াটানা মোড়ে আসতে বলেন। সকাল ১১ টায় তিনি দড়াটানায় আসলে মোমিননগর সুপার মার্কেটের একটি আবাসিক হোটেলে নিয়ে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে ধর্ষণ করে। ২০১৯ সালের ১৩ জানুয়ারিতে একই হোটেলে নিয়ে ফের ধর্ষণ করে তিতাস। পরে ওই তরুণী বিয়ের কথা বললে তিতাস আজ না কাল বলে ঘুরাতে থাকে। বিভিন্ন অজুহাত দেখিয়ে ৮০ হাজার টাকা হজম করে সে। শেষমেষ বিয়ে করবেনা বলে জানিয়ে নানা ধরনের হুমকি দেয়।

এরপর কুল কিনারা না পেয়ে ওই তরুণী ২০১৯ সালের পহেলা জুলাই যশোর কোতোয়ালি থানায় তিতাসের বিরুদ্ধে ধর্ষণ ও প্রতারণার অভিযোগ এনে মামলা করে। মামলার পর তিতাস তাকে বিয়েতে রাজি হন। ২০১৯ সালের ২ অক্টোবর খুলনা নোটারি পাবলিক থেকে বিয়ের এফিডেভিট করে তা আদালতে জমা দিয়ে মামলা মীমাংসা করে নেন। এরপরই ওই তরুণীর জীবনে নেমে আসে অন্ধকার। তাকে ঢাকার সাভারে নিয়ে একটি ফ্ল্যাটে রাখে। সেখানে নিয়ে স্ত্রীর মর্যাদা না দিলেও বিভিন্ন সময় শারীরিক সম্পর্ক করেন। চলে অমানবিক নির্যাতন।

পরে বিয়ে ও এফিডেভিট ভুয়া এবং তাদের কোনো বিয়েই হয়নি বলে ওই তরুণীকে তাড়িয়ে দেন। এরপর বাধ্য হয়ে ওই তরুণী ঢাকার একটি আদালতে মামলা করেন। এ মামলায় যশোর সদর উপজেলার গোপালপুর গ্রামের মৃত ইউসুফ আলীর ছেলে আলামিন হোসেন, সুলতানপুরের শাহ আলমের মেয়ে মিতা ও খুলনার দৌলতপুরের শাহাদত হোসেনের ছেলে আমাদ হোসেনকে আসামি করা হয়। বাদীর অভিযোগ ভুয়া এফিডেভিট করতে অপর আসামিরা সহযোগিতা করেছেন।

এ বিষয়ে ওই তরুণী জানান, তিনি মামলা করার আগে ছাত্রলীগের নেতাদের জানাই। কিন্তু তারা কোনো সমাধান দেননি। এদিকে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা পিবিআই অফিসার বাদশাহ আলম তাকে ঢাকায় যেতে বলেছেন। অন্যদিকে তিতাস ঢাকায় গেলে খুন গুমের হুমকি দিচ্ছেন। ফলে তিনি উভয় সংকটে পড়েছেন।

এ বিষয়ে অভিযুক্ত তিতাস বলেন, ওই মেয়েকে জড়িয়ে একটি মহল তার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র শুরু করেছে। মামলা হয়েছে কিন্তু তার কোনো ভিত্তি নেই। ওই মেয়ের অভিযোগ মিথ্যা। রাজনৈতিক একটি মহল বিষয়টি নিয়ে কাদা ছুড়াছুড়ি করছে। এ বিষয়ে মামলার তদন্ত কর্মকতা পিবিআই ঢাকা জেলার পুলিশ পরিদর্শক বাদশাহ আলম বলেন, মামলাটির তদন্ত চলছে। দু’পক্ষকে হাজিরের জন্যে নির্দেশ দেয়া হয়েছে। সার্বিক তদন্ত শেষে আদালতে প্রতিবেদন দাখিল করা হবে।

সংবাদটি শেয়ার করুন


এই বিভাগ থেকে পড়ুন