স্টাফ রিপোর্টারঃ বাংলাদেশ সরকার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বার বার ঘোষণা দিয়েছেন বাংলাদেশকে শতভাগ বিদুৎ ব্যাবস্থার আওতায় অন্তর্ভুক্ত করা হবে,কারন দেশ ডিজিটাল করতে হলে দেশে বিদ্যুৎ ব্যাবস্থার উন্নয়ন ঘটাতে হবে তানাহলে সকল সেবা দেশের জনগনের মাঝে পৌছানো সম্ভব হবেনা। বাংলাদেশের বিভিন্ন জেলার মানুষেরা ইতিপূর্বে বিদ্যুৎ ব্যাবস্থা নিয়ে সন্তোস প্রকাশ করলেও অনেক জায়গায় বিদ্যুৎ ব্যাবস্থা নিয়েই প্রশ্ন তুলেছেন গ্রাহকেরা।
মেহেরপুর জেলার গাংনী উপজেলার অনেক এলাকায় বিদ্যুৎ ব্যাবস্থা নিয়ে মানুষের ব্যাপক অভিযোগ পাওয়া গেছে, তবে এ অভিযোগ দেওয়ার পরেও কোনো সমাধান পায়নি তারা।বিশেষ করে বামুন্দি সাব জোনাল অফিসের আন্ডারে বেতবাড়ীয়া,ভবানিপুর,পীরতলা সহ এই এলাকার মানুষের বিদ্যুৎ ব্যাবস্থা নিয়ে বেশি ভুগছে তবে পল্লিবিদ্যুৎ এর সাথে জড়িত কাউকে কিছু বলতে পারছেন না,কারন বিভিন্ন সময় পল্লিবিদ্যুৎ এর লাইনম্যানদের সাথে কথা কাটাকাটি করায় জরিমানা দিতে বাধ্য হয়েছেন অনেক গ্রাহক।
বেতবাড়ীয়া গ্রামের মৃত নুরেল মোল্লার ছেলে মুদি দোকানদার আসাদুল ইসলাম জানান, আমার বিল বকেয়া থাকার কারনে আমার লাইন বিছিন্ন করতে আসলে আমি তাদের বিভিন্ন ভাবে অনুরোধ করি বলি আমি গরীব মানুষ আমার লাইনটা দয়া করে বিছিন্ন করবেননা। আমি কালকের ভিতরে বিল পরিশোধ করে দিব কিন্তু তারা আমার কথা না শুনেই লাইন বিছিন্ন করে দেয়। আমি পরের দিন বিল পরিশোধ করতে গিয়ে দেখি আমার ২৫০০ টাকা জরিমানা করা হয়েছে,পরে জানতে পারি আমার উপর খুব্ধ হয়ে অন্যায়ভাবে এই জরিমানা করা হয়।
গ্রাহকদের অভিযোগ পবিত্র রমজান মাসে ইফতার ও সাহরির সময় বিদ্যুৎ থাকতো না পল্লিবিদুৎ অফিসে কল দিলে তারা বলতো লোডশেডিং চলছে,বিশেষ করে মেঘ বা একটু বাতাশ হলেই বিদ্যুৎ বন্ধ করে দেওয়া হয় ঘন্টার পর ঘন্টা অপেক্ষা করেও বিদ্যুৎ লাইন পাইনা,তখন অফিসে কল দিলে তারা বলে লাইনের কাজ চলছে,তাছাড়া বিভিন্ন সময় কল দিলে তারা রিসিভ করেনা,তুষার আহমেদ নামের এক গ্রাহক জানান,অন্য জেলার মানুষেরা আমাদের বিদ্যুৎ ব্যাবস্থা নিয়ে হাসিঠাট্টা করে।
একজন গ্রাহক জানান আজকে ১৫ জুন পল্লিবিদুৎ এর কিছু লোকজন এসে বলেন যারা কৃষি বাংকে বিদ্যুৎ বিল দিয়েছেন তাদের লাইন বিছিন্ন করে দেওয়া হবে কিন্তু ঐ গ্রাহক জানতে চান কেন লাইন কেটে দিবেন বিস্তারিত না বলেই স্তান ত্যাগ করে চলে যান তারা।
পাশের জেলা কুষ্টিয়ার দৌলাতপুর উপজেলার বিদুৎ ব্যাবস্থা নিয়ে ব্যাপক প্রশংসা করেন বেতবাড়ীয়া গ্রামের অনেক গ্রাহক,তারা বলেন আমাদের এখানে একটু বাতাশ বা মেঘ হলে বিদ্যুৎ থাকেনা তখন আমাদের জরুরি প্রয়োজনে গোয়ালগ্রাম বাজারে গিয়ে কাজ করি,ঐ গ্রাহক বলেন আমাদের বেতবাড়ীয়াতে ঝড় হলে পাশের গ্রাম নাটনাপাড়া ও গোয়ালগ্রামেও ঝড় হয়,কিন্তু দেখা যাবে আমাদের এখানে বিদ্যুৎ নাই কিন্তু গোয়ালগ্রামে ঝড় শেষ হলেই বিদ্যুৎ চলে আসে,কারন এরা দ্রুত লাইনের কাজ করতে চাইনা।
একদিকে স্কুল কলেজ বন্ধ থাকার কারনে ছাত্ররা অল্প খরচে অনলাইন ক্লাস করার জন্য ওয়াইফাই ব্যাবহার করে কিন্তু কোন মাইকিং বা অবগত না করে লাইন বন্ধ রাখার কারনে গরিব ছাত্ররা ব্যাপক সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছে। কিছুদিন আগে এক গ্রাহকের অতিরিক্ত বিল আসার কারন জানতে স্তানীয় কয়েকজন সাংবাদিক তাদের অফিসে গেলে লাইভ করতে নিষেধ করেন এখন ক্যামেরার সামনে কথা বলতে রাজি হয়নি এজিএম।
উল্লেখ গতকাল ১৫ই জুন দুপুর থেকে বিকেল পর্যন্ত বিদ্যুৎ বন্ধ ছিল,আজ মঙ্গলবার সকাল থেকেই বিদ্যুৎ আসছে আর যাচ্ছে তবে বেলা বারোটার দিকে আকাশে মেঘ দেখা দিলে আবারো বিদুৎ বন্ধ করে দেয়,অকারনে বিদ্যুৎ বন্ধ করে দেওয়ার কারন জানতে এক গ্রাহক অফিসে কল দিলে তারা বলে লাইনে গাছ কাটার কাজ চলছে তাই বলে ফোন কেটে দেন বিস্তারিত জানতে হলে স্যারকে কল দিন।
এ বিষয়ে জানতে আবারো অফিসের নাম্বারে কল দিলে জয়নাল নামের এক পল্লিবিদুৎ এর স্টাফ মেজাজ দেখিয়ে ফোন কেটে দেয়। তবে এ বিষয়ে বামুনি সাব-জোনাল অফিসের এজিএম কম জানান আজ ও কালকে লাইনে কাজ চলার কারনে লাইন বন্ধ রাখা হয়েছে, মাইকিং বা গ্রাহককে অবগত না করে লাইন বন্ধ করার বিধান আছে কি? এ প্রশ্নের সৎ দিতে পারেনি এজিএম কম, এবং কৃষি বাংকে যারা বিল দিয়েছে তাদের লাইন কেন কেটে দেয়া হবে এ প্রসঙ্গে এজিএম কম বলেন এটা বলার কোনো সুযোগ নাই বিষয়টা ক্ষতিয়ে দেখছি।